চৌহালীতে এডিপি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

উপজেলা প্রতিনিধি, চৌহালী (সিরাজগঞ্জ)
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ২৬

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

‘উপজেলা পরিষদের নৌকা মেরামত, প্রিন্টার ও মনিটর সরবরাহ’ প্রকল্পের জন্য ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইঞ্জিনচালিত নৌকাটিতে মেরামতের কোনো কাজই করা হয়নি। উপজেলার জোতপাড়া ঘাটে উঠিয়ে অযত্নে ফেলে রাখা হয়েছে গত জুন মাস থেকে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদে নতুন কোনো প্রিন্টার বা মনিটর সরবরাহের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবুও প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নৌকা মেরামত পারপাস ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি মেশিন কেনা হয়েছে। এদিকে প্রকল্পের ক্রয় রশিদে দেখানো হয়েছে, ডিজেল ইঞ্জিন (১৬ এইচপি হরাইজন্টাল ৪ স্ট্রোক) ৮১ হাজার টাকা। ফলে ক্রয় রশিদ ও ইউএনওর বক্তব্যে বড় ধরনের অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।

ক্রয় রশিদে আরও দেখা যায়, এইচপি লেজার জেট প্রো ৪০৪ প্রিন্টার ৫৬ হাজার, নামহীন কালার প্রিন্টার ৩৩ হাজার এবং ২১.৫ ইঞ্চি নামহীন মনিটর ২১ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে যা বাজার দরের চেয়ে অনেকাংশে বেশি বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

অনুসন্ধানে উঠে আসে ইউএনও অফিসের হিসাব সহকারী মো. আশরাফুল ইসলাম এর মাধ্যমে ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্দিষ্ট কিছু ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকল্পের সভাপতি নির্বাচন করেন এবং তাদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে অগ্রীম ব্যাংক একাউন্টের ব্লাংক চেক নিয়ে রাখেন। তারপর নিজেরাই প্রকল্পের কাজ করেন এবং অর্থ উত্তোলন করেন।

প্রকল্প সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান জানান, আমি জানি যে, স্যার কাজ করবে তাই ব্যাংক চেক দিতে দ্বিধা করিনি। জানতাম উনি ভালো মানুষ। শুনলাম প্রিন্টার ও মনিটর অফিসে আছে। এদিকে ইউএনও দাবি করেন, প্রিন্টার ও মনিটর কেনা হয়েছে এবং বিতরণও করা হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত