লালমনিরহাট সদরসহ ৫টি উপজেলা টপ টপ করে ঝরতে দেখা গেছে কুয়াশা। মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে বাস ও ট্রাক চলছে। ধীরগতিতে যানবাহন। কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হিমেল হাওয়া এতে স্থবির হয়ে পড়েছে কর্মজীবী মানুষের জীবন।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চিন্তিত অভিভাবকরাও। ঠান্ডাজনিত রোগের কারণে গত কয়েক দিনের মধ্যে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রায় শতাধিক শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোগীর স্বজনেরা জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, শীতের প্রকোপের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। হাসপাতালটিতে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি ও শীতকালীন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। আক্রান্ত হওয়া শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন তাদের বাবা-মায়েরা।
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তপন কুমার রায় বলেন, লালমনিরহাটে তীব্র শীতের কারণে শিশু এবং বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি এ সময়টা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, শীত ও ঠান্ডার মধ্যে আপাতত ফসল নিরাপদ রয়েছে এবং কৃষকদের ক্ষতি রোধে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম রকিব হায়দার জানান, জেলায় ইতোমধ্যে কিছু কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্ত মানুষের চাহিদা বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার কম্বলের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এ খাতে প্রায় ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কম্বল কেনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শীঘ্রই দুর্গম এলাকাগুলোতে কম্বল বিতরণ করা হবে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

