
বাদশাহ ওসমানী, রংপুর

রংপুরে আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা ও নর্থ ভিউ হোটেলের মালিক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিয়ে এক যুবককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী যুবক রাকিবুজ্জামান রাব্বি (জামান) অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী ওই ব্যবসায়ী প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে তার দামি হোটেলে ফ্রি থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজন ও তাদের পছন্দের লোকদের। এভাবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছেন।
জামান জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন এসটিআর মোবাইল গ্যালারি ও এলডি হাউস–এ সফ্টওয়্যার ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। প্রতিষ্ঠানটি রিয়েলমি, ইনফিনিক্স ও ওয়ানপ্লাসের অনুমোদিত ডিলার।
চাকরি ও আর্থিক লেনদেনের শুরু ২০১৭ সালে এলডি হাউসে যোগ দিয়ে জামান ২০২২ সাল পর্যন্ত সফ্টওয়্যার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কাজ ছিল কোম্পানি থেকে আসা মোবাইলের আইএমইআই সফটওয়্যারে সংরক্ষণ ও বিক্রির হিসাব রাখা।
প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী ম্যানেজার জাকারিয়া রায়হান জয় এবং প্রধান ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে জামান ‘জামান এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ব্যাবসাও শুরু করেন এবং ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৫২ লাখ টাকা ঋণ নেন। অফিসে তার চেক বই রাখা থাকত, যার ডুপ্লিকেট চাবি ছিল জাকারিয়া রায়হান জয়ের কাছে— যা পরে জামান জানতে পারেন।
ঘটনার সূত্রপাত জামানের মামার সঙ্গে আব্দুর রহমানের পারিবারিক বিরোধের জেরে। এরপর জামানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয় বলে অভিযোগ তার।
এদিকে, মালিক শফিকুল ইসলাম যখন আব্দুর রহমানকে বিগত কয়েক বছরের হিসাব দিতে বলেন, ওইসময় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামান। একপর্যায়ে তাকে নিয়ে কবিরাজের কাছে যান সিফাত। কবিরাজের ওষুধ খেয়ে আরো শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামান। ধীরে ধীরে তার স্মৃতিভ্রম ঘটতে থাকে। এ সময় তার অফিসিয়াল কাজ সিফাত ও জাকারিয়া রায়হান জয়সহ অন্য স্টাফরা করে দিতেন।
এই সুযোগে আব্দুর রহমান, জয় ও সিফাত নামের আরেক কর্মচারী সফটওয়্যারে কারসাজি করে ২০ লাখ টাকার ঘাটতি দেখান বলে দাবি জামানের।
জামান জানান, অফিসে ধার দেয়া ৩০ লাখ টাকার পাওনা ফেরত চাইলে উলটো তাকে হুমকি দেয়া হয় এবং শফিকুল ইসলামের নির্দেশে তার নামে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার আত্মসাৎ মামলা দায়ের করা হয়।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে রংপুর কোতোয়ালি থানার এসআই শাহানুর হোসেন ঢাকায় জামানকে গ্রেপ্তার করে রংপুরে নিয়ে যান। জামানের অভিযোগ, পথে তাকে ‘ক্রসফায়ার’-এর হুমকি দিয়ে বাধ্যতামূলক স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়। পরে আদালতে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
১৪ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি জানতে পারেন, তার নামে আরো চারটি মামলা ও একটি জিডি হয়েছে, যার মধ্যে দুটি চেক প্রতারণার মামলা।
একটি মামলায় তার হারিয়ে যাওয়া চেকবইয়ের পাতা ব্যবহার করে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বসানো হয়, যদিও ব্যাংক সেই চেক বাতিল করে। অন্য একটি মামলায় সহকারী ম্যানেজার জয়ের শ্বশুরের নামে ৬২ লাখ টাকার জাল চেক মামলা করা হয়, যার সঙ্গে জামানের কোনো লেনদেন ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
জামান বলেন, ‘আমি কোনো অর্থ আত্মসাৎ করিনি। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার নিজেরা কারসাজি করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। মালিক শফিকুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা করেছেন। এখন প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় ঘুরছি। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের দাবি জানান।
প্রধান ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মচারী আছে। আমি, রাসিফ, সিফাত ও জয় মিলে সবকিছু দেখি। জামান আমাদের মূল ম্যানেজার ছিলেন। তার কাছেই লকারের চাবি থাকত।’ তিনি দাবি করেন, ‘জামান প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে—এ বিষয়ে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।’
নিজের সম্পদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ২৩-২৪ বছর ধরে চাকরি করছি। গ্রামের কিছু জমি ছাড়া তেমন কিছু নেই, প্রমাণও আছে।’
এদিকে, ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম–এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব দেননি।
ভুক্তভোগী জামান ও তার পরিবার এখন প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন সুষ্ঠু তদন্তের আশায়। তার জীবনের গত সাত বছর ধরে যে নাটক চলে আসছে, তার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছেন তিনি।

রংপুরে আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা ও নর্থ ভিউ হোটেলের মালিক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিয়ে এক যুবককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী যুবক রাকিবুজ্জামান রাব্বি (জামান) অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী ওই ব্যবসায়ী প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে তার দামি হোটেলে ফ্রি থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজন ও তাদের পছন্দের লোকদের। এভাবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছেন।
জামান জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন এসটিআর মোবাইল গ্যালারি ও এলডি হাউস–এ সফ্টওয়্যার ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। প্রতিষ্ঠানটি রিয়েলমি, ইনফিনিক্স ও ওয়ানপ্লাসের অনুমোদিত ডিলার।
চাকরি ও আর্থিক লেনদেনের শুরু ২০১৭ সালে এলডি হাউসে যোগ দিয়ে জামান ২০২২ সাল পর্যন্ত সফ্টওয়্যার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কাজ ছিল কোম্পানি থেকে আসা মোবাইলের আইএমইআই সফটওয়্যারে সংরক্ষণ ও বিক্রির হিসাব রাখা।
প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী ম্যানেজার জাকারিয়া রায়হান জয় এবং প্রধান ম্যানেজার আব্দুর রহমান।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে জামান ‘জামান এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ব্যাবসাও শুরু করেন এবং ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৫২ লাখ টাকা ঋণ নেন। অফিসে তার চেক বই রাখা থাকত, যার ডুপ্লিকেট চাবি ছিল জাকারিয়া রায়হান জয়ের কাছে— যা পরে জামান জানতে পারেন।
ঘটনার সূত্রপাত জামানের মামার সঙ্গে আব্দুর রহমানের পারিবারিক বিরোধের জেরে। এরপর জামানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু হয় বলে অভিযোগ তার।
এদিকে, মালিক শফিকুল ইসলাম যখন আব্দুর রহমানকে বিগত কয়েক বছরের হিসাব দিতে বলেন, ওইসময় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামান। একপর্যায়ে তাকে নিয়ে কবিরাজের কাছে যান সিফাত। কবিরাজের ওষুধ খেয়ে আরো শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামান। ধীরে ধীরে তার স্মৃতিভ্রম ঘটতে থাকে। এ সময় তার অফিসিয়াল কাজ সিফাত ও জাকারিয়া রায়হান জয়সহ অন্য স্টাফরা করে দিতেন।
এই সুযোগে আব্দুর রহমান, জয় ও সিফাত নামের আরেক কর্মচারী সফটওয়্যারে কারসাজি করে ২০ লাখ টাকার ঘাটতি দেখান বলে দাবি জামানের।
জামান জানান, অফিসে ধার দেয়া ৩০ লাখ টাকার পাওনা ফেরত চাইলে উলটো তাকে হুমকি দেয়া হয় এবং শফিকুল ইসলামের নির্দেশে তার নামে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার আত্মসাৎ মামলা দায়ের করা হয়।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে রংপুর কোতোয়ালি থানার এসআই শাহানুর হোসেন ঢাকায় জামানকে গ্রেপ্তার করে রংপুরে নিয়ে যান। জামানের অভিযোগ, পথে তাকে ‘ক্রসফায়ার’-এর হুমকি দিয়ে বাধ্যতামূলক স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়। পরে আদালতে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
১৪ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি জানতে পারেন, তার নামে আরো চারটি মামলা ও একটি জিডি হয়েছে, যার মধ্যে দুটি চেক প্রতারণার মামলা।
একটি মামলায় তার হারিয়ে যাওয়া চেকবইয়ের পাতা ব্যবহার করে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বসানো হয়, যদিও ব্যাংক সেই চেক বাতিল করে। অন্য একটি মামলায় সহকারী ম্যানেজার জয়ের শ্বশুরের নামে ৬২ লাখ টাকার জাল চেক মামলা করা হয়, যার সঙ্গে জামানের কোনো লেনদেন ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
জামান বলেন, ‘আমি কোনো অর্থ আত্মসাৎ করিনি। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার নিজেরা কারসাজি করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। মালিক শফিকুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা করেছেন। এখন প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় ঘুরছি। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের দাবি জানান।
প্রধান ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মচারী আছে। আমি, রাসিফ, সিফাত ও জয় মিলে সবকিছু দেখি। জামান আমাদের মূল ম্যানেজার ছিলেন। তার কাছেই লকারের চাবি থাকত।’ তিনি দাবি করেন, ‘জামান প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে—এ বিষয়ে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।’
নিজের সম্পদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ২৩-২৪ বছর ধরে চাকরি করছি। গ্রামের কিছু জমি ছাড়া তেমন কিছু নেই, প্রমাণও আছে।’
এদিকে, ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম–এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব দেননি।
ভুক্তভোগী জামান ও তার পরিবার এখন প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন সুষ্ঠু তদন্তের আশায়। তার জীবনের গত সাত বছর ধরে যে নাটক চলে আসছে, তার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছেন তিনি।

বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে শনিবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান এবং ভারতের গেদে-৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে
মামলার এজাহার ও ভিকটিম পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুসলিহুল উম্মাহ মাদানী মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ওয়াসিম মাঝ মাঝেই শিশু শিক্ষার্থীকে তার শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করত। অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখে প্রথম শ্রেণির এক শিশু মাদ্রাসায় যেতে চায়নি। এ বিষয়ে তার মা বার বার জানতে চায়। পরে শিশুটি কান্না করে ওই শি
১ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, বেলাব হোসেন নগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালে আমাদের পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা জমি দান করাসহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন এবং ভবিষ্যতেও স্কুলের সামগ্রিক সহায়তার জন্য বিত্তবানরা এগিয়ে আসবেন। মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিকল্প নেই।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের সমাজে গরিবদের ঘুস-সুদ দিতে হয়। কারণ ধনীরা সুদের বিনিময়ে গরিবদের টাকা দিয়ে থাকে। ভ্যান, ইজিবাইক কেনার জন্য গরিবদের এই টাকা নিতে হয়। এ সময় তিনি জাকাতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত এ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ধনীদের সম্পত্তিতে গরিবদের হক রাখা হয়েছে। এতে গরিবরা স্বাবলম্বী হবেন।
১ ঘণ্টা আগে