
আমার দেশ অনলাইন

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে দাবিদার ভারতের মুসলমানরা প্রতিনিয়তই তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে বৈষ্যমের শিকার হচ্ছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনমূলক আইন কিংবা তুচ্ছ অভিযোগে মুসলিম পিটিয়ে হত্যা, ভারতের গণতন্ত্রকে ক্রমাগতভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে। এমতাবস্থায় ভারতকে ভন্ডামি গণতন্ত্র থেকে বের করে প্রকৃত গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে আসতে, মধ্যপ্রাচ্যের উচিত সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) মিডল ইস্ট মনিটর-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমন মতামত দিয়েছেন লেখক রনি পি সাসমিতা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাম্প্রতিক খবরগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় যে, ভারতের গণতন্ত্র তার নৈতিকতার ভিত্তি থেকে সরে গেছে। বিশেষত ইসলামের প্রতি বৈষম্যের ঘটনাগুলো এখন আর বিচ্ছিন্ন বা দুর্ঘটনাজনিত বলে বিশ্বাসযোগ্য নয়।
গরু রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলে গণপিটুনি কিংবা গবাদি পশু পরিবহনের তুচ্ছ অভিযোগে মুসলিম পিটিয়ে হত্যার ঘটনা উদ্বেগজনকহারে নিয়মিত ঘটেছে। আর এসব ঘটনা খুব কমই আইনি গুরুত্ব পাচ্ছে। অন্যদিকে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের শিকার হচ্ছেন কেবল মুসলিমরা। ভারত বিদেশে নিজেদের বহুত্ববাদী ভাষাভাষী দেশ বলে প্রচার করে অথচ ঘরে বৈষম্যকে সমর্থন করে।
ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব মুসলিমদের এই নির্যাতন সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে সচেতন; কিন্তু তারা সেগুলিকে ছোট করে দেখছেন। অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা তদন্তে ধীরগতি বা অনীহা দেখিয়েছে। কিংবা স্থানীয় কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক বক্তৃতার প্রতি উদাসীনতা দেখিয়েছে। তাদের ভণ্ডামি স্পষ্ট। ভারত বিশ্ব মঞ্চে সম্মান দাবি করে অথচ তারা নিজেদের নাগরিকদের মৌলিক সুরক্ষা দিতে সমর্থ নয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতীয় জনতা পার্টির আমলে নাটকীয়ভাবে এই বৈষম্য তীব্রতর হয়েছে। মোদির বক্তৃতাতে প্রায়শই ঐক্য এবং উন্নয়নের কথা বলা হয়, কিন্তু তার রাজনৈতিক ভিত্তি এখনও হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদ দ্বারা উজ্জীবিত, যারা মুসলমানদের সরাসরি সন্দেহ বা শত্রুতার চোখে দেখে।
নয়াদিল্লির সাথে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য আগ্রহী মধ্যপ্রাচ্যের দেশগেুলোর এখনই জেগে উঠা উচিত। কৌশলগতভাবে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির উচিত ভারতের উপর চাপ প্রয়োগ করা। বিশেষত ভারতকে জ্বালানির বাজারে সুবিধাজনক প্রবেশাধিকার হ্রাস করা, অপরিশোধিত তেল রপ্তানির উপর অস্থায়ী বিধিনিষেধ আরোপ করা। এছাড়াও ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সহযোগিতার শর্ত দেওয়া। ইসলামী ঐতিহ্যের দেশগুলির কখনোই এমনটা করা উচিত হবে না- যা মুসলমানদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে এমন দেশেকে বা সরকারকে পুরস্কৃত করবে।
এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারতীয় অবকাঠামো এবং রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগকে ভারতীয় রাজনীতিবিদরা বৈশ্বিক মর্যাদার প্রমাণ হিসেবে নিরূপণ করেন। কিন্তু মর্যাদা কখনোই সস্তা হওয়া উচিত নয়। মধ্যপ্রাচ্যের উচিত সার্বভৌম সম্পদগুলিকে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমান নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে এমন নীতিগত সংস্কারের উপর জোর দিয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে দাবিদার ভারতের মুসলমানরা প্রতিনিয়তই তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে বৈষ্যমের শিকার হচ্ছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনমূলক আইন কিংবা তুচ্ছ অভিযোগে মুসলিম পিটিয়ে হত্যা, ভারতের গণতন্ত্রকে ক্রমাগতভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে। এমতাবস্থায় ভারতকে ভন্ডামি গণতন্ত্র থেকে বের করে প্রকৃত গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে আসতে, মধ্যপ্রাচ্যের উচিত সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) মিডল ইস্ট মনিটর-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে এমন মতামত দিয়েছেন লেখক রনি পি সাসমিতা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাম্প্রতিক খবরগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় যে, ভারতের গণতন্ত্র তার নৈতিকতার ভিত্তি থেকে সরে গেছে। বিশেষত ইসলামের প্রতি বৈষম্যের ঘটনাগুলো এখন আর বিচ্ছিন্ন বা দুর্ঘটনাজনিত বলে বিশ্বাসযোগ্য নয়।
গরু রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলে গণপিটুনি কিংবা গবাদি পশু পরিবহনের তুচ্ছ অভিযোগে মুসলিম পিটিয়ে হত্যার ঘটনা উদ্বেগজনকহারে নিয়মিত ঘটেছে। আর এসব ঘটনা খুব কমই আইনি গুরুত্ব পাচ্ছে। অন্যদিকে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের শিকার হচ্ছেন কেবল মুসলিমরা। ভারত বিদেশে নিজেদের বহুত্ববাদী ভাষাভাষী দেশ বলে প্রচার করে অথচ ঘরে বৈষম্যকে সমর্থন করে।
ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব মুসলিমদের এই নির্যাতন সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে সচেতন; কিন্তু তারা সেগুলিকে ছোট করে দেখছেন। অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা তদন্তে ধীরগতি বা অনীহা দেখিয়েছে। কিংবা স্থানীয় কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক বক্তৃতার প্রতি উদাসীনতা দেখিয়েছে। তাদের ভণ্ডামি স্পষ্ট। ভারত বিশ্ব মঞ্চে সম্মান দাবি করে অথচ তারা নিজেদের নাগরিকদের মৌলিক সুরক্ষা দিতে সমর্থ নয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতীয় জনতা পার্টির আমলে নাটকীয়ভাবে এই বৈষম্য তীব্রতর হয়েছে। মোদির বক্তৃতাতে প্রায়শই ঐক্য এবং উন্নয়নের কথা বলা হয়, কিন্তু তার রাজনৈতিক ভিত্তি এখনও হিন্দুত্ব জাতীয়তাবাদ দ্বারা উজ্জীবিত, যারা মুসলমানদের সরাসরি সন্দেহ বা শত্রুতার চোখে দেখে।
নয়াদিল্লির সাথে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য আগ্রহী মধ্যপ্রাচ্যের দেশগেুলোর এখনই জেগে উঠা উচিত। কৌশলগতভাবে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির উচিত ভারতের উপর চাপ প্রয়োগ করা। বিশেষত ভারতকে জ্বালানির বাজারে সুবিধাজনক প্রবেশাধিকার হ্রাস করা, অপরিশোধিত তেল রপ্তানির উপর অস্থায়ী বিধিনিষেধ আরোপ করা। এছাড়াও ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় সহযোগিতার শর্ত দেওয়া। ইসলামী ঐতিহ্যের দেশগুলির কখনোই এমনটা করা উচিত হবে না- যা মুসলমানদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে এমন দেশেকে বা সরকারকে পুরস্কৃত করবে।
এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারতীয় অবকাঠামো এবং রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগকে ভারতীয় রাজনীতিবিদরা বৈশ্বিক মর্যাদার প্রমাণ হিসেবে নিরূপণ করেন। কিন্তু মর্যাদা কখনোই সস্তা হওয়া উচিত নয়। মধ্যপ্রাচ্যের উচিত সার্বভৌম সম্পদগুলিকে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সমান নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে এমন নীতিগত সংস্কারের উপর জোর দিয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩,৬৫২ জন বাসস্থান আইন লঙ্ঘনকারী, ৪,৩৯৪ জন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করছিলেন। এবং ৪,৫৬৭ জন শ্রম আইন সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত ছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার (১৯ অক্টোবর) দোহায় অনুষ্ঠিত প্রথম দফা আলোচনার ধারাবাহিকতায় ইস্তাম্বুলে আজকের এই সংলাপে বসেছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। দোহারের আলোচনা কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়
৫ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে মিশরীয় দূতাবাসে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কায়রো সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে তারা গাজা উপত্যকার অবরোধে ইসরাইলকে সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে মিশর সরকার এই ঘটনাগুলিকে “গাজায় ইসরাইলি অপরাধ থেকে মনোযোগ সরানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত দূষিত কর্মকাণ্ড
৫ ঘণ্টা আগে
সংস্থার বিস্ফোরক অস্ত্র নিষ্কাশন বিশেষজ্ঞ নিক অর রয়টার্সকে জানান, দুই বছরের ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ফলে গাজার ভূমি ও ধ্বংসস্তূপের নিচে অগণিত অবিস্ফোরিত বোমা ছড়িয়ে আছে, যা আগামী প্রজন্মের জন্যও গুরুতর হুমকি হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ শহরগুলোর মতোই গাজাতেও আগামী কয়েক দশক
৬ ঘণ্টা আগে