পঞ্চগড় প্রতিনিধি
‘আওয়ামী লীগ কিন্তু ক্ষমতায়, আমরা আওয়ামী লীগকে উৎখাত করতে পারিনি। আওয়ামী লীগের ভূত এখনো জারি রয়েছে। সেই আওয়ামী লীগের ভূতের নাম হচ্ছে সংবিধান, বাহাত্তরের সংবিধান। এটা কোত্থাও দাহ দেওয়া হয়নি। সব অটুট রয়েছে।’
বুধবার রাতে পঞ্চগড়ের নাট্যসংগঠন ভূমিজের আয়োজনে ‘শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চেতনায় নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা: রাষ্ট্র ও সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হিসেবে ফরহাদ মজহার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান অবশ্যই বাতিল করতে হবে। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে। আমি বাংলাভাষী, বাংলা আমার সংস্কৃতি এবং একই সঙ্গে ইসলাম আমার ধর্ম। আমাকে ইসলাম থেকে যেমন আপনি বঞ্চিত করতে পারবেন না, আমার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি থেকেও আপনি আমাকে বঞ্চিত করতে পারবেন না। ভাষা–সংস্কৃতি ও ধর্মের মধ্যে বিভাজন রাখলে দেশ আবার গৃহযুদ্ধের মধ্যে চলে যাবে।’
ভূমিজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সরকার হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, একাত্তরে আমরা ভুল করিনি। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য যে লড়াই, এটা অবশ্যই সঠিক ছিল। কিন্তু ভুল কোথায় করেছিলাম? ভুল করেছি যে একাত্তরে যখন সংগ্রাম করেছি, তখন আমরা বলেছি কী মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য? আপনাদের মনে আছে না? মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাকে অস্বীকার করে যখন আপনি বাহাত্তরের সংবিধান চাপিয়ে দিলেন, দিল্লির প্ররোচনায়, বাঙালি জাতিবাদীদের প্ররোচনায়, আপনি ঢোকালেন বাঙালি জাতিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। না, এটা তো আমাদের সে সময় আন্দোলনের অংশ ছিল না। এটার জন্য তো আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আপনারা চাপিয়ে দিয়েছেন, অতএব বাহাত্তর সালের সংবিধানকে অবশ্যই বাতিল করতে হবে। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে। আর এই নতুন গঠনতন্ত্রের সূত্র-শুরু-আরম্ভ হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার কায়েম করার জন্য।’
গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আংশিক বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার কায়েম করা মানেই হলো ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম। এই সংগ্রামেই আমরা জয়ী হলাম ৫ আগস্টে। অল্প বিজয় হয়েছে, পূর্ণ বিজয় হয়নি। কেন পূর্ণ বিজয় হয়নি? কারণ, আমরা এই বিজয়কেও ঢুকিয়ে ফেলেছি আবার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীন। আমরা একটা সরকার গঠন করলাম, পুরোনো ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীন। মানে, আওয়ামী লীগ কিন্তু ক্ষমতায়। আমার কথা শুনে অবাক হবেন না।
নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ছাত্ররা যখন প্রোক্লেমেশন করতে চেয়েছে, একটা নূতন ঘোষণা দিতে চেয়েছে, সেই নতুন ঘোষণা দিতে দেননি। অধ্যাপক ইউনূস ঠিক করেননি। আমি তাঁকে কাতরভাবে অনুরোধ করব, দেরি হওয়ার আগে আপনি অবশ্যই যে ঘোষণা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আমাদের দিয়েছেন, সেই ঘোষণা দিতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে গণসার্বভৌমত্বের যে নীতি, সেই নীতির অধীন নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হবে এবং সেই নতুন গঠনতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ তিনটা নীতি থাকবে জনগণের পক্ষে, যে নীতি বা আদর্শকে লঙ্ঘন করা যাবে না। এর মধ্যে এক নম্বর, রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারবে না, যার দ্বারা ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়। দুই নম্বর, রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারবে না, যার দ্বারা প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস হয়। তিন নম্বর, জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে -রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারবে না।’
এমএস
‘আওয়ামী লীগ কিন্তু ক্ষমতায়, আমরা আওয়ামী লীগকে উৎখাত করতে পারিনি। আওয়ামী লীগের ভূত এখনো জারি রয়েছে। সেই আওয়ামী লীগের ভূতের নাম হচ্ছে সংবিধান, বাহাত্তরের সংবিধান। এটা কোত্থাও দাহ দেওয়া হয়নি। সব অটুট রয়েছে।’
বুধবার রাতে পঞ্চগড়ের নাট্যসংগঠন ভূমিজের আয়োজনে ‘শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চেতনায় নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা: রাষ্ট্র ও সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হিসেবে ফরহাদ মজহার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান অবশ্যই বাতিল করতে হবে। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে। আমি বাংলাভাষী, বাংলা আমার সংস্কৃতি এবং একই সঙ্গে ইসলাম আমার ধর্ম। আমাকে ইসলাম থেকে যেমন আপনি বঞ্চিত করতে পারবেন না, আমার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি থেকেও আপনি আমাকে বঞ্চিত করতে পারবেন না। ভাষা–সংস্কৃতি ও ধর্মের মধ্যে বিভাজন রাখলে দেশ আবার গৃহযুদ্ধের মধ্যে চলে যাবে।’
ভূমিজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সরকার হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, একাত্তরে আমরা ভুল করিনি। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য যে লড়াই, এটা অবশ্যই সঠিক ছিল। কিন্তু ভুল কোথায় করেছিলাম? ভুল করেছি যে একাত্তরে যখন সংগ্রাম করেছি, তখন আমরা বলেছি কী মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য? আপনাদের মনে আছে না? মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাকে অস্বীকার করে যখন আপনি বাহাত্তরের সংবিধান চাপিয়ে দিলেন, দিল্লির প্ররোচনায়, বাঙালি জাতিবাদীদের প্ররোচনায়, আপনি ঢোকালেন বাঙালি জাতিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। না, এটা তো আমাদের সে সময় আন্দোলনের অংশ ছিল না। এটার জন্য তো আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আপনারা চাপিয়ে দিয়েছেন, অতএব বাহাত্তর সালের সংবিধানকে অবশ্যই বাতিল করতে হবে। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে। আর এই নতুন গঠনতন্ত্রের সূত্র-শুরু-আরম্ভ হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার কায়েম করার জন্য।’
গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আংশিক বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার কায়েম করা মানেই হলো ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম। এই সংগ্রামেই আমরা জয়ী হলাম ৫ আগস্টে। অল্প বিজয় হয়েছে, পূর্ণ বিজয় হয়নি। কেন পূর্ণ বিজয় হয়নি? কারণ, আমরা এই বিজয়কেও ঢুকিয়ে ফেলেছি আবার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীন। আমরা একটা সরকার গঠন করলাম, পুরোনো ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীন। মানে, আওয়ামী লীগ কিন্তু ক্ষমতায়। আমার কথা শুনে অবাক হবেন না।
নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ছাত্ররা যখন প্রোক্লেমেশন করতে চেয়েছে, একটা নূতন ঘোষণা দিতে চেয়েছে, সেই নতুন ঘোষণা দিতে দেননি। অধ্যাপক ইউনূস ঠিক করেননি। আমি তাঁকে কাতরভাবে অনুরোধ করব, দেরি হওয়ার আগে আপনি অবশ্যই যে ঘোষণা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আমাদের দিয়েছেন, সেই ঘোষণা দিতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে গণসার্বভৌমত্বের যে নীতি, সেই নীতির অধীন নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করা হবে এবং সেই নতুন গঠনতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ তিনটা নীতি থাকবে জনগণের পক্ষে, যে নীতি বা আদর্শকে লঙ্ঘন করা যাবে না। এর মধ্যে এক নম্বর, রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারবে না, যার দ্বারা ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়। দুই নম্বর, রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারবে না, যার দ্বারা প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংস হয়। তিন নম্বর, জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে -রাষ্ট্র এমন কোনো আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারবে না।’
এমএস
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে