কীটনাশক ছাড়াই জৈব বালাইনাশক পদ্ধতিতে সুপার ফুড সবজি ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন সুমন মিয়া। তরুণ এ কৃষি উদ্যোক্তার বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের মুশরুত পানিয়ালপুকুর বানিয়াপাড়া গ্রামে। তিনি সেক্স ফেরোমোন ফাঁদ (জৈববালাই নাশক) দিয়ে চাষাবাদ করে বিষমুক্ত সবুজ-হলুদ রঙের উচ্চফলনশীল ক্যাপসিকাম উৎপাদনে সফল হয়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, ইপিজেডের চাকরি ছেড়ে তিনি বাড়ির অদূরে ৩০ শতাংশ জমিতে জাল দিয়ে ঘিরে উচ্চফলনশীল জাতের ক্যাপসিকাম চাষ করেন। বাহারি এ ক্ষেতের গাছগুলো সবুজের সমারোহে ভরে উঠে সেখানকার প্রকৃতিকে বর্ণিল করে তুলেছে।
প্রতিটি গাছের সবুজ পাতার আড়ালে ফুলের সাথে দুলছে ৪ থেকে ৫টি করে ক্যাপসিকাম ফল। গাছ আর ফলের ভারসাম্য রক্ষায় প্রতিটি গাছের গোড়ার সাথে বেঁধে দেওয়া হয়েছে পরিমিত বাঁশের কঞ্চি ও পাট কাটি। চমকপ্রদ নতুন ফসল দেখার জন্য স্থানীয় নারী-পুরুষ, বেকার যুবক ভিড় করছেন। তার ঈর্ষণীয় সফলতা দেখে অনেকে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সুমন বলেন, বগুড়ার এগ্রো ওয়ান গ্লোবাল লিমিটেডের থেকে ৭ টাকা দরে টাইগার ও মারিয়া জাতের চব্বিশ চারা সংগ্রহ করি। ৩০ শতাংশ জমিতে চারা, মালচিং পেপার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ মিলে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ৬০ দিনের মধ্যে ফলন দিচ্ছে। ৬ থেকে ৭টি ফলের ওজন প্রায় এক কেজির মতো হয়। শহরের বাজারে প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ২০০ টাকা দরে বিক্রি করা যায়। এতে চলতি মওসুমে আড়াই লাখ টাকার মতো মুনাফা আশা করা যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান, ক্যাপসিকাম কাঁচা মরিচ গোত্রীয় হালকা মিষ্টি ও ঝাল স্বাদের বিশ্ব নন্দিত জনপ্রিয় সবজি। পুষ্টির আধার সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর ভিনদেশি এ সবজি সুপার ফুড হিসাবে চাইনিজ খাবারে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
পুষ্টি আর ওষুধীগুনে ভরপুর ক্যাপসিকাম বিশ্বজুড়ে ভোক্তার নিকট দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ইতিমধ্যে অত্র উপজেলার এক তরুণ উদ্যোক্তা বিষমুক্ত পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম চাষে সফল হয়েছেন। ভাল ফলনের জন্য রোগবালাই প্রতিরোধসহ নানা বিষয়ে তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

