নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিনদিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়াসহ দৈনন্দিন কাজ করতে পারছে না তারা। গত রোববার সকালে ঝড়ের আঘাতে উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ডের ১২টি পাড়া তছনছ হয়ে যায়। গাছপালা উপড়ে পড়ে ও ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটির ক্ষতি হওয়াসহ ব্যাপক তার ছিঁড়ে যায়। তখন থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে পরিবারগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি, মিটার ও তার ছিঁড়ে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের মাঝাপাড়া, বানিয়াপাড়া, হাজীপাড়া, উত্তরপাড়া, পোদ্দারপাড়া, জিকরুল মেম্বারের পাড়া, বাবুপাড়া, চেয়ারম্যানের পাড়া, বৈরাগীপাড়া, মুন্সিপাড়া, কালিরথান পাড়ায় তিনদিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। পরিবারগুলো কাটাচ্ছে অন্ধকারে।
গাড়াগ্রাম টেপার হাট পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের লাইন টেকনিশিয়ান লুৎফর রহমান জানান, রোববার ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটির ক্ষতিসহ ব্যাপক তার ছিঁড়ে যায়। অনেকের মিটার উড়ে যাওয়া, বৈদ্যুতিক তার ও মিটার তছনছ হয়। ফলে ওই দিন থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। তবে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে।
ডিসির মোড় মুন্সিপাড়ার ফিরোজ জানান, আমার এলাকায় বেশ কয়েকজনের বাড়ি এখনও অন্ধকারে রয়েছে। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়াসহ দৈনন্দিন কাজ করতে পারছে না পরিবারগুলো। অন্যান্য পাড়ার শত শত পরিবার অন্ধকারে রয়েছে।
ইউপি সদস্য মোজাহেদ জানান, গত রোববার থেকে প্রায় পাঁচশতাধিক এর বেশি পরিবার এখনও অন্ধকারে রয়েছে। ঝড়ে ব্যাপক তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পরিবারগুলো। অনেকের মিটার উড়ে গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ কিশোরগঞ্জ অফিসের এজিএম রোমান ইসলাম জানান, রোববারের ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি, তার ছিঁড়ে তছনছ হওয়াসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন মাঠে কাজ করছে। কিছু কিছু এলাকার পরিবার বিদ্যুৎ পেয়েছে। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে শতভাগ গ্রাহক বিদ্যুৎ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

