মেলৗভীবাজারের বড়লেখায়

মাধবকুণ্ডে সবার মুখে ফিরেছে তৃপ্তির হাসি

নাদের আহমদ, বড়লেখা (মৌলভীবাজার)
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ৪৯
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ৫০

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি মিলেছে। দীর্ঘ ছুটিতে পর্যটকেরা গিয়েছেন মেলৗভীবাজারের বড়লেখায় মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, চা বাগান, হাকালুকি হাওর আর হাল্লা পাখিবাড়িতে। তবে এবার পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে। ফলে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক ও জলপ্রপাত এলাকার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, ইজারাদারসহ সবার মুখে ফিরেছে তৃপ্তির হাসি।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন বুধবার বিকেলে দেখা যায়, মেলৗভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঁঠালতলি বাজার থেকে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত পর্যটনকেন্দ্রের সড়কটি ভীষণ ব্যস্ত। বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলে হইহুল্লোড় করে ছুটে চলেছেন মাধবকুণ্ডের দিকে। জলপ্রপাতের প্রবেশ ফটকের সামনের টিকিট কাউন্টারে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় ছিল। বিভিন্ন পণ্যের দোকান, খাবার হোটেলগুলোতেও পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে।

পায়ে হেঁটে জলপ্রপাতের দিকে এগোতেই দেখা গেল, জলপ্রপাত এলাকায় পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। এখানে ছুটে এসেছেন অসংখ্য মানুষ। হইহুল্লোড়ে মেতে ওঠেছেন। কেউ কেউ জলপ্রপাতের ঝরণার পানিতে গোসল করছেন। কেউ বা ছবি তুলছেন প্রিয়জনের সাথে। কেউ কেউ সেলফি তুলছেন। স্থানীয় আলোকচিত্রীরাও পর্যটকদের ছবি তুলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে আসেন শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই প্রথম মাধকুণ্ডে এসেছি। প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তির খুঁজে এখানে আসা। এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর। অন্য এলাকার চেয়ে সিলেট ও মেলৗভীবাজারে অনেক সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের সিলেট, মেলৗভীবাজারের এসব পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা দরকার।

কলেজ শিক্ষক ইব্রাহিম মিয়া এসেছেন পরিবার নিয়ে। তিনি বলেন, ছুটি পেলে বছরে দুই-একবার পরিবার নিয়ে এখানে আসি। খুব ভালো লাগে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাই। এবার বাইরে রোদ-গরমের অনেকটা হাঁসফাঁস অবস্থা। তবে জলপ্রপাতের এ জায়গাটা বেশ শীতল লাগছে।

স্থানীয় আলোকচিত্রী জুয়েল আহমদ বলেন, মাধবকুণ্ডে আমার মতো আরও ১০ থেকে ১২ জন আলোকচিত্রী আছেন। এবার পর্যটক মোটামুটি এসেছেন। রোজগার ভালোই হচ্ছে। ছবি তোলার পর পর্যটকেরা মেমোরি কার্ডে নিয়ে যাচ্ছেন।

মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের প্রধান ফটকের কাউন্টারে থাকা জলপ্রপাত ইজারাদার কতৃর্পক্ষের কর্মচারী সাজু আহমদ বলেন, এবার পর্যটক কিছুটা কম। ঈদের দিন ২ হাজার ৫০০ জন, পরদিন মঙ্গলবার আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ জন আর বুধবার ২ হাজারের একটু বেশি পর্যটক হতে পারেন। তবে ছুটি আরও আছে। তাই পর্যটক সমাগম বাড়বে বলে আশা করছি।

বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে মাধবকুণ্ডে আনন্দ উপভোগ করছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পর্যটন পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি বন বিভাগ ও ইজারাদার পক্ষের লোকজন সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বহন করা সেই প্রিজন ভ্যানে কী আছে

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত