আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরামহীন প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন সিলেট-২ (ওসমানীনগর–বিশ্বনাথ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী তাহসিনা রুশদীর লুনা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা, সমস্যা, কষ্ট ও প্রত্যাশা সরাসরি জানতে মাঠে-ঘাটে সময় দিচ্ছেন লুনা।
চলছে অগ্রহায়ণ মাস—ধান কাটার ব্যস্ততার মৌসুম। চারপাশে সোনালি ধানের সমারোহ। কেউ ঘরে তুলছেন পাকা ধান, কেউ আবার জ্বালানির জন্য সংগ্রহ করছেন খড়। এমন এক ফসলের মাঠে লুনার দেখা হয় এক হতদরিদ্র কৃষাণীর সঙ্গে। পুরোনো শাড়ি, রোদে পোড়া ক্লান্ত মুখ—তবুও জীবন সংগ্রামের মধ্যেই কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি। লুনার হঠাৎ উপস্থিতিতে প্রথমে কিছুটা অপ্রস্তুত হলেও পরক্ষণেই নিজের জীবনের গল্প খুলে বলেন কৃষাণী।
লুনা মনোযোগ দিয়ে শোনেন তার পরিবার, জীবিকা ও প্রতিদিনের সংগ্রামের কথা। কথার ফাঁকে ফুটে ওঠে দারিদ্র্যের তীব্র বাস্তবতা এবং না বলা বেদনা। কৃষাণী জানান,
বাজারে এলপি গ্যাস বা লাকড়ি কেনার সামর্থ্য নেই। তাই খড় সংগ্রহ করতে মাঠে এসেছি। দারিদ্র্যের সঙ্গে প্রতিদিন যুদ্ধ করেই আমাদের বাঁচতে হয়।
কৃষাণীর পাশে দাঁড়িয়ে লুনার এই মানবিক আচরণ নেতাকর্মী স্থানীয়দের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। উপস্থিত অনেকে বলেন, নেতাদের এভাবে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কাছ থেকে দেখা কিংবা শোনার ঘটনা এখন খুবই বিরল। একজন নারী হয়ে মাঠে-ঘাটে মানুষের খোঁজ নেওয়ায় লুনার উদ্যোগ তাদের কাছে প্রশংসনীয় বলে মনে হয়েছে।
স্থানীয় এক যুবক বলেন, লুনা আপার মতো কেউ পাশে থাকলে গ্রামের উন্নতি আরও এগিয়ে যাবে। মানুষের কষ্ট বোঝে এমন নেতাই আমাদের প্রয়োজন।
প্রচারণার মাঠে এমন মানবিক মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তার জনপ্রিয়তায় ইতিবাচক সাড়া মিলছে। এলাকাজুড়ে লুনার সহমর্মিতা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
দরিদ্র মানুষের প্রতি আন্তরিকতা, বিনয় ও ভালোবাসা—এই গুণগুলোই লুনাকে ধীরে ধীরে গণমানুষের কাছে পরিচিত এক বিশ্বাসে পরিণত করছে। ব্যস্ত প্রচারণার মাঝেও সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই যেন তার সবচেয়ে বড় তৃপ্তি।

