মানছে না আইন, ধোঁয়ায় পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন

উপজেলা প্রতিনিধি, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ)
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১: ৫৫

নেই ছাড়পত্র। তবু অবাধে পোড়ানো হচ্ছে ইট। আর ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। একই সঙ্গে পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন। এমনকি নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। তবু মাথাব্যথা নেই মুর্শেদ ব্রিক ফিল্ড মালিকের।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামে এভাবেই দিনের পর দিন চলছে ইটভাটার কার্যক্রম। ১৯৯৩ সালে দুই একর ১৪ শতাংশ জমিতে ভাটাটি গড়ে তোলেন একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম। তিনি মারা যাওয়ার পর মালিক হন দুই স্ত্রী ও এক ছেলে। তারাই এখন এই ভাটার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

মহদীপুর গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন বলেন, আমার বাড়ির সামনেই এই ইটভাটা। অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালালেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পরিবেশ অধিদফতর ও স্থানীয় প্রশাসন। এটি বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি। তবু লাভ হয়নি।

মুর্শেদ ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারীদের একজন রেজুয়ান ইসলাম রাকীব বলেন, সরকারি বিধিমালা মেনে ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিয়েই আমরা কার্যক্রম চালাচ্ছি। বেশ কয়েক মাস আগে নতুন করে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রক্রিয়া হয়ে আসতে একটু সময় লাগায় আবেদন করার পরপরই ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে।

পরিবেশ অধিদফতরের সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাইমিনুল হক বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত মুর্শেদ ব্রিক ফিল্ডের ছাড়পত্র ছিল। নতুন করে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তবে ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে। গত সপ্তাহে সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে ছাড়পত্র কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই ছাড়পত্র ছাড়া ভাটার কার্যক্রম চালানো বেআইনি। ইটভাটার মালিককে এক সপ্তাহের মধ্যে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত