কোম্পানিগুলো কিভাবে অর্থ পাচার করেছে জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ২৮

দেশে অর্থ পাচার নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কোম্পানিগুলো এতটাই স্মার্ট যে তারা সরকারের চেয়েও চতুরভাবে অর্থ পাচার করছে। পাচারে কী ধরনের ‘তেলেসমাতি’ হয়, এখন তা স্পষ্ট হচ্ছে। শুধু কাগজে-কলমে নিরীক্ষা নয়, অর্থের উৎস ও গন্তব্যও খতিয়ে দেখতে হবে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, পাচারকারীরা অনেক পারদর্শী। অর্থ এমনি এমনি পাঠায় না। ধাপে ধাপে—প্রথমে এক জায়গা, তারপর আরেক জায়গায়—এভাবে লেয়ারিং করে পাচার করা হয়। কোম্পানিগুলোর এই জিনিয়াস কাঠামো এখন আমরা বুঝতে পারছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, নিরীক্ষা কেবল ফর্মালিটি হলে চলবে না। কোথা থেকে অর্থ এলো, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। কিছু গণমাধ্যম বেপরোয়া সংবাদ প্রকাশ করছে, যা ফ্যাসিস্ট শক্তিকে উৎসাহিত করছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।

দেশের বাহিরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এখনো ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে আশাবাদী। তবে সরকারের সব কাজই ভালো হচ্ছে না, এটা সত্যি। তবে আর্থিক খাতে অগ্রগতি হয়েছে, ব্যাংক খাত আরও স্থিতিশীল হয়েছে, রিজার্ভ বেড়েছে—এগুলোও স্বীকার করা উচিত।

সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ইআরএফ ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, গত বছর বাজেট নিয়ে যখন সরকার সংকোচন ভাবছিল, তখন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের পরামর্শেই তুলনামূলক ছোট ও বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন করা হয়। এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, করপোরেট সেক্টরে স্বচ্ছতা আনতে হলে নিরীক্ষা প্রতিবেদনকে আরও জোরালো করতে হবে। আর্থিক প্রতিবেদনে সম্পদের সঠিক মূল্যায়ন জরুরি, যাতে ব্যাংকঋণ ফিরে আসার নিশ্চয়তা থাকে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত