আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ০.৫ শতাংশ কমেছে। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। টানা দুই সপ্তাহের সর্বোচ্চ দামের পর বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নিতে শুরু করেছেন এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের আগামীর নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় স্বর্ণবাজার চাপের মুখে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে স্পট গোল্ডের দাম ০.৫ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ১৪৫.০৮ ডলারে নেমেছে। একইভাবে ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণ ফিউচারের দাম ০.৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৪০.৮০ ডলারে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সবশেষ গত ২০ নভেম্বর রাতে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে। এবার ভরিতে ১ হাজার ৩৫৩ টাকা কমিয়েছে সংগঠনটি।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ৮ হাজার ১৬৭ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৮ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২০ নভেম্বর থেকে।

