সরদার আনিছ
দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে বেগুনের বাড়তি দর। গত মার্চে এর অবদান ছিল ১৭.১২ শতাংশ। যদিও এপ্রিল মাসে ১১ শতাংশ হয়ে তা তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। এছাড়া সয়াবিন তেলও মূল্যস্ফীতির পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে, যা ৮.২ শতাংশ। আর আলুর দাম কমে যাওয়ায় তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে (–১৩.৬ শতাংশ)।
এতদসত্ত্বেও এপ্রিল মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।
গতকাল শনিবার প্রকাশিত ‘ইকোনমিক আপডেট অ্যান্ড আউটলুক: মে ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। কঠোর মুদ্রানীতি ও লক্ষ্যভিত্তিক রাজস্ব হস্তক্ষেপের সম্মিলিত প্রভাবে এমনটি হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থের সরবরাহ ও চাহিদা উভয় দিক থেকেই গৃহীত পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে। চাহিদা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি মুদ্রানীতি, যা অর্থবছর ২০২৪-২৫ এর দ্বিতীয়ার্ধে কার্যকর হয়, মূল্যস্ফীতি রোধ এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে।
একইসঙ্গে, চাল ও ভোজ্যতেলের মতো জরুরি খাদ্যপণ্যের আমদানিতে শুল্ক হ্রাসসহ রাজস্ব পদক্ষেপ ভোক্তাদের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করেছে। সরবরাহের দিক থেকে, অনুকূল আবহাওয়া এবং বন্যার অনুপস্থিতির ফলে মৌসুমি শাকসবজি ও ফসলের সরবরাহ নির্বিঘ্ন হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সম্মিলিত প্রচেষ্টাগুলো ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭–৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে খাদ্য ও সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮.৯৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়ায় ৮.৬৩ শতাংশে। একই সময়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৩৫ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়ায় ৯.১৭ শতাংশে।
এপ্রিল মাসেও খাদ্য খাতই ছিল মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় উৎস, যদিও এর প্রভাব কিছুটা কমেছে। এ খাত মূল্যস্ফীতির ৪২.২ শতাংশের জন্য দায়ী। খাদ্য বহির্ভুত খাতগুলোর মধ্যে গৃহায়ন ও ইউটিলিটি (১৩ শতাংশ), পোশাক ও জুতা (৯.৮ শতাংশ), এবং পরিবহন (৭ শতাংশ) মূল্যস্ফীতিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিবেদনে খাদ্যপণ্যের ভেতরেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। যেমন, মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান মার্চে ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে এপ্রিল মাসে ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা সরবরাহ ঘাটতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতিতে মাঝারি চালেরই অবদান ১৯.৪ শতাংশ।
মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে বেগুনের বাড়তি দরও, যা ১৭.১২ শতাংশ অবদান রাখে। তবে এপ্রিল মাসে ১১ শতাংশ হয়ে তা তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। সয়াবিন তেলও মূল্যস্ফীতির পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে (৮.২ শতাংশ), আর আলুর দাম কমে যাওয়ায় তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে (–১৩.৬ শতাংশ)।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির প্রভাব (৪৪.৭ শতাংশ) শহরাঞ্চলের তুলনায় (৩৬.৫ শতাংশ) অনেক বেশি।
এদিকে ধারাবাহিক মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে জিইডি শুধুমাত্র মুদ্রানীতিতে নির্ভর না করে সরাসরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিবেদনে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে সরকারি খাদ্য মজুত জোরদার ও লক্ষ্যভিত্তিক খাদ্য হস্তান্তর কর্মসূচি চালুর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
সরকারের ভর্তুকি প্রদানে সীমিত আর্থিক সক্ষমতা স্বীকার করে জিইডি পরামর্শ দিয়েছে—বিদ্যালয়ভিত্তিক খাবার বিতরণ, খাদ্যের বিনিময়ে কর্মসূচি, ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) এবং নিশ্চিত কর্মসংস্থান কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা উচিত, বিশেষ করে চাষের অফ-সিজনে।
এ ছাড়া, শহরের দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য বিতরণ নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, কারণ তারা গ্রামীণ পরিবারের মতো খাদ্য মজুত করে রাখতে পারে না।
দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে বেগুনের বাড়তি দর। গত মার্চে এর অবদান ছিল ১৭.১২ শতাংশ। যদিও এপ্রিল মাসে ১১ শতাংশ হয়ে তা তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। এছাড়া সয়াবিন তেলও মূল্যস্ফীতির পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে, যা ৮.২ শতাংশ। আর আলুর দাম কমে যাওয়ায় তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে (–১৩.৬ শতাংশ)।
এতদসত্ত্বেও এপ্রিল মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।
গতকাল শনিবার প্রকাশিত ‘ইকোনমিক আপডেট অ্যান্ড আউটলুক: মে ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। কঠোর মুদ্রানীতি ও লক্ষ্যভিত্তিক রাজস্ব হস্তক্ষেপের সম্মিলিত প্রভাবে এমনটি হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থের সরবরাহ ও চাহিদা উভয় দিক থেকেই গৃহীত পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে। চাহিদা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি মুদ্রানীতি, যা অর্থবছর ২০২৪-২৫ এর দ্বিতীয়ার্ধে কার্যকর হয়, মূল্যস্ফীতি রোধ এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে।
একইসঙ্গে, চাল ও ভোজ্যতেলের মতো জরুরি খাদ্যপণ্যের আমদানিতে শুল্ক হ্রাসসহ রাজস্ব পদক্ষেপ ভোক্তাদের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করেছে। সরবরাহের দিক থেকে, অনুকূল আবহাওয়া এবং বন্যার অনুপস্থিতির ফলে মৌসুমি শাকসবজি ও ফসলের সরবরাহ নির্বিঘ্ন হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সম্মিলিত প্রচেষ্টাগুলো ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭–৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে খাদ্য ও সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮.৯৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়ায় ৮.৬৩ শতাংশে। একই সময়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৩৫ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়ায় ৯.১৭ শতাংশে।
এপ্রিল মাসেও খাদ্য খাতই ছিল মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় উৎস, যদিও এর প্রভাব কিছুটা কমেছে। এ খাত মূল্যস্ফীতির ৪২.২ শতাংশের জন্য দায়ী। খাদ্য বহির্ভুত খাতগুলোর মধ্যে গৃহায়ন ও ইউটিলিটি (১৩ শতাংশ), পোশাক ও জুতা (৯.৮ শতাংশ), এবং পরিবহন (৭ শতাংশ) মূল্যস্ফীতিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিবেদনে খাদ্যপণ্যের ভেতরেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। যেমন, মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান মার্চে ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে এপ্রিল মাসে ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা সরবরাহ ঘাটতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতিতে মাঝারি চালেরই অবদান ১৯.৪ শতাংশ।
মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে বেগুনের বাড়তি দরও, যা ১৭.১২ শতাংশ অবদান রাখে। তবে এপ্রিল মাসে ১১ শতাংশ হয়ে তা তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। সয়াবিন তেলও মূল্যস্ফীতির পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে (৮.২ শতাংশ), আর আলুর দাম কমে যাওয়ায় তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে (–১৩.৬ শতাংশ)।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির প্রভাব (৪৪.৭ শতাংশ) শহরাঞ্চলের তুলনায় (৩৬.৫ শতাংশ) অনেক বেশি।
এদিকে ধারাবাহিক মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে জিইডি শুধুমাত্র মুদ্রানীতিতে নির্ভর না করে সরাসরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিবেদনে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে সরকারি খাদ্য মজুত জোরদার ও লক্ষ্যভিত্তিক খাদ্য হস্তান্তর কর্মসূচি চালুর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
সরকারের ভর্তুকি প্রদানে সীমিত আর্থিক সক্ষমতা স্বীকার করে জিইডি পরামর্শ দিয়েছে—বিদ্যালয়ভিত্তিক খাবার বিতরণ, খাদ্যের বিনিময়ে কর্মসূচি, ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) এবং নিশ্চিত কর্মসংস্থান কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা উচিত, বিশেষ করে চাষের অফ-সিজনে।
এ ছাড়া, শহরের দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য বিতরণ নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, কারণ তারা গ্রামীণ পরিবারের মতো খাদ্য মজুত করে রাখতে পারে না।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
১ দিন আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
২ দিন আগে