অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক প্রকাশের উদ্যোগ ঢাকা চেম্বারের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ২০

দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের গতি-প্রকৃতির বাস্তবচিত্র উদ্ঘাটনের মাধ্যমে বিদ্যমান অবস্থা উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) “অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক” প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

শনিবার ঢাকা চেম্বার এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারিখাত সংশ্লিষ্টদের মতামত ও পর্যবেক্ষণ প্রাপ্তির লক্ষ্যে “অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক” শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

আরেক বাণিজ্য সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার (এমসিসিআই) পারচেজিং ম্যানেজার ইনডেক্স (পিএমআই) নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে। এমসিসিআইর পিমআই তথ্যের মাধ্যমে দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের গতি প্রকৃতি জানা যায়।

আলোচনা সভায় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ পরিমাপের জন্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেশকিছু সূচকের কার্যক্রম রয়েছে, যদিও এসব সূচক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে এবং কেন পরিবর্তিত হচ্ছে তার প্রকৃত চিত্র স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে না, এপ্রেক্ষিতে ডিসিসিআই ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে এর কার্যক্রম রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক হলেও পরর্বতীতে ধাপে ধাপে সারাদেশে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, ত্রৈমাসিক ভিত্তিকে প্রকাশিতব্য এ সূচকের মাধমে বিশেষকরে শিল্পখাতে উৎপাদন, বিক্রয়, অর্ডার প্রবাহ, রপ্তানির প্রবণতা, কর্মসংস্থান, ব্যবসায়িক আস্থা এবং বিনিয়োগের প্রবৃত্তি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া পাবে। এছাড়াও প্রাথমিকভাবে এ সূচকে তৈরি পোষাক, টেক্সটাইল, পাইকারী ও খুচরা বাণিজ্য, আবাসন, পরিবহন ও স্টোরেজ এবং ব্যাংক খাতের তথ্য অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে বলে তিনি অভহিত করেন।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. একেএম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী, যেখানে তিনি বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ সময়ে এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়, যেখানে মোট ৬৫৪ জন উত্তরদাতার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে উৎপাদন খাত থেকে ৩৬৫ জন এবং সেবা খাত থেকে ২৮৯ জন।

তিনি জানান, আটটি উৎপাদন শিল্প থেকে বাছাই করা হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য পণ্য, টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, ঔষধি রাসায়নিক ও উদ্ভিজ্জ পণ্য, রাবার ও প্লাস্টিক পণ্য, অন্যান্য অ-ধাতব খনিজ এবং মৌলিক ধাতু, এছাড়াও পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য, স্থল পরিবহন এবং রিয়েল এস্টেট কার্যক্রম ৩টি সেবা খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, গবেষণায় দেখা যায় ঢাকা জেলার অর্থনীতিতে উৎপাদনশীল খাতের অবদান ৫৬ শতাংশ, ৪৪ শতাংশ সেবা খাতের।

এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতির উন্নয়ন, শিল্পখাতে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ, আর্থিক খাত সুসংহতকরণ, ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও সুদের হার হ্রাস, বাণিজ্য সহায়ক অবকাঠামো সেবা নিশ্চিতকরণ, স্থানীয় পর্যায়ের সাপ্লইচেইন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণ, আমদানি-রপ্তানি পণ্যের উপর ভ্যাট হার হ্রাস ও রাজস্ব প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণ প্রভৃতি বিষয়গুলোর সরকারের সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত