বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্বতন্ত্র কমিটি গঠনের আশ্বাস

৭৬ ঘন্টা পর অনশন ভাঙলেন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ১৯

বিআইটির (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) আদলে স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের দাবিতে টানা ৭৬ ঘণ্টা আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শেষে অনশন ভেঙেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষার্থীদের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল অনশনস্থলে ফিরে এসে অনশনরতদের হাতে খাবার তুলে দেন। এরপর শিক্ষকরা অনশনরতদের মুখে খাবার তুলে দেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সাথে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খানের নেতৃত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, চারজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্মসচিব।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উপমা কবির এবং চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আলোচনা হয় এবং সমস্যার সমাধানে ১৪ আগস্ট ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি প্রকাশ করার আশ্বাস দেওয়া হয় প্রতিনিধি দলকে।

বৈঠক শেষ করে ফিরে এসে প্রতিনিধি দল অনশনরত ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত জানিয়ে গত ১০ আগস্ট (রোববার) দুপুর ১ টা থেকে চলা আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। ৭৬ ঘণ্টা ধরে না খাওয়া ১৫ শিক্ষার্থীকে পানীয় খাবার মুখে দিয়ে অনশন ভাঙান ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষকরা।

অনশনে থাকা শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান বলেন, সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে এবং আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। তাই আমরা অনশন শেষ করলাম, সেইসাথে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করা শিক্ষার্থীরাও সেখান থেকে সরে এসেছেন। তবে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না হলে আমরা পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।

উল্লেখ্য, গত রবিবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে দেশের চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ১৮ বছর ধরে পেশাগত ও অ্যাকাডেমিক দুরবস্থার মধ্যে থাকলেও সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। শিক্ষক সংকট, ল্যাব সুবিধার অভাব ও অ্যাকাডেমিক মানের ঘাটতি নিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে।

অনশন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, খেলাফত ছাত্র মজলিশ, গণসংহতি আন্দোলন, জুলাই ঐক্য ও ইনকিলাব মঞ্চ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত