স্টাফ রিপোর্টার
মোবাইল টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণে গিয়ে তিন মাস ধরে অপহৃত চার টেলিকম কর্মীকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৫ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট টেলিকমিনিউকেশন কর্মচারী ইউনিয়ন। এছাড়াও তারা অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, পার্বত্য এলাকায় কর্মরত টেলিকম শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, টাওয়ার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা ও নজরদারি বৃদ্ধি করা এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত ও আন্তরিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে টেলিকম ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাকসুদুর রহমান রাকিব বলেন, ইডটকো এবং সার্বস কমিউনিকেশন লিমিটেড ও মোবাইল অপারেটর রবি বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। অপহরণ বিষয়ে থানা ও প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবায় নিয়োজিত সহস্রাধিক টেলিকম কর্মী।
টেলিকম ইউনিয়নের সভাপতি আরো জানান, অপহরণের প্রথম ঘটনা ঘটে গত ১৯ এপ্রিল, খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। সেদিন সকাল ১১টার দিকে মোবাইল কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের টাওয়ার সচল রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত ইডটকো বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সার্বস কমিউনিকেশন লিমিটেডের অধীনে কাজ করা দুই টেলিকম কর্মী মো. ইসমাইল মিয়া ও আবে মারমাকে সন্ত্রাসীরা ময়ুরখালী এলাকার একটি রবি টাওয়ার থেকে অপহরণ করে। বিকেলে অপহরণকারীরা একটি মোবাইল নম্বর (০১৬১৩১৯৫৮৬৩) থেকে ইসমাইলের বাবার ফোনে যোগাযোগ করে অপহরণের বিষয়টি জানিয়ে রবি ও ইডটকো অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন ওই দুই শ্রমিক।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে ৫ জুন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার লেলাং ইউনিয়নের কর্ণফুলী বাজার এলাকায় রবি টাওয়ারে কাজ করার সময় একইভাবে অপহৃত হন আরও দুই টেলিকম কর্মী-মোহাম্মদ সুমন ইসলাম (৩২) ও আব্দুর রহিম (৩৬)। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সার্বস কমিউনিকেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ম্যানেজার সোহেব সুমনের বাবাকে ফোন করে জানান, তার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও, তারপর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, সন্ত্রাসীরা সরাসরি কর্মরত শ্রমিকদের অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে, যা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নয়, বরং জাতীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর ওপর বড় হুমকি। গত দুই মাসে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে চারজন কর্মী অপহৃত হয়েছেন, তাদের কেউই আজ পর্যন্ত উদ্ধার হয় নি। পরিবারগুলো প্রতিনিয়ত কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মেলেনি।
তিনি আরো জানান, ইসমাইল মিয়া ও আবে মারমার অপহরণ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। (জিডি নম্বর: ৭৯০, তারিখ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ট্র্যাকিং নম্বর: 16YVBSK)। অপরদিকে, সুমন ও রহিমের বিষয়ে ফটিকছড়ি থানায় করা জিডির নম্বর ২৬৫, তারিখ: ৬ জুন ২০২৫, ট্র্যাকিং নম্বর: N3JPSB। তবে দুই ক্ষেত্রেই থানার ভূমিকা এখন পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অবস্থায় পরিবার ও সহকর্মীরা দ্বিধা-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।
এ বিষয়ে রবি ও টাওয়ার কোম্পানি ইডটকোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দুই প্রতিষ্ঠানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মোবাইল টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণে গিয়ে তিন মাস ধরে অপহৃত চার টেলিকম কর্মীকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৫ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট টেলিকমিনিউকেশন কর্মচারী ইউনিয়ন। এছাড়াও তারা অপহরণকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, পার্বত্য এলাকায় কর্মরত টেলিকম শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, টাওয়ার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা ও নজরদারি বৃদ্ধি করা এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত ও আন্তরিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে টেলিকম ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাকসুদুর রহমান রাকিব বলেন, ইডটকো এবং সার্বস কমিউনিকেশন লিমিটেড ও মোবাইল অপারেটর রবি বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। অপহরণ বিষয়ে থানা ও প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবায় নিয়োজিত সহস্রাধিক টেলিকম কর্মী।
টেলিকম ইউনিয়নের সভাপতি আরো জানান, অপহরণের প্রথম ঘটনা ঘটে গত ১৯ এপ্রিল, খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়। সেদিন সকাল ১১টার দিকে মোবাইল কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের টাওয়ার সচল রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত ইডটকো বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সার্বস কমিউনিকেশন লিমিটেডের অধীনে কাজ করা দুই টেলিকম কর্মী মো. ইসমাইল মিয়া ও আবে মারমাকে সন্ত্রাসীরা ময়ুরখালী এলাকার একটি রবি টাওয়ার থেকে অপহরণ করে। বিকেলে অপহরণকারীরা একটি মোবাইল নম্বর (০১৬১৩১৯৫৮৬৩) থেকে ইসমাইলের বাবার ফোনে যোগাযোগ করে অপহরণের বিষয়টি জানিয়ে রবি ও ইডটকো অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন ওই দুই শ্রমিক।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে ৫ জুন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার লেলাং ইউনিয়নের কর্ণফুলী বাজার এলাকায় রবি টাওয়ারে কাজ করার সময় একইভাবে অপহৃত হন আরও দুই টেলিকম কর্মী-মোহাম্মদ সুমন ইসলাম (৩২) ও আব্দুর রহিম (৩৬)। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সার্বস কমিউনিকেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ম্যানেজার সোহেব সুমনের বাবাকে ফোন করে জানান, তার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও, তারপর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, সন্ত্রাসীরা সরাসরি কর্মরত শ্রমিকদের অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে, যা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নয়, বরং জাতীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর ওপর বড় হুমকি। গত দুই মাসে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে চারজন কর্মী অপহৃত হয়েছেন, তাদের কেউই আজ পর্যন্ত উদ্ধার হয় নি। পরিবারগুলো প্রতিনিয়ত কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মেলেনি।
তিনি আরো জানান, ইসমাইল মিয়া ও আবে মারমার অপহরণ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। (জিডি নম্বর: ৭৯০, তারিখ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ট্র্যাকিং নম্বর: 16YVBSK)। অপরদিকে, সুমন ও রহিমের বিষয়ে ফটিকছড়ি থানায় করা জিডির নম্বর ২৬৫, তারিখ: ৬ জুন ২০২৫, ট্র্যাকিং নম্বর: N3JPSB। তবে দুই ক্ষেত্রেই থানার ভূমিকা এখন পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অবস্থায় পরিবার ও সহকর্মীরা দ্বিধা-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।
এ বিষয়ে রবি ও টাওয়ার কোম্পানি ইডটকোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দুই প্রতিষ্ঠানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজধানীর জিগাতলায় সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে দুই কলেজ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
২১ মিনিট আগেবাংলাদেশ একসময় এশিয়ার চারটি দেশ - চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম - থেকে এগিয়ে ছিল কিন্তু সবগুলো দেশ আমাদের ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অগ্রগতির মূল কারণ হলো শিক্ষা। এটি ছিল মানসম্মত শিক্ষা এবং সকলের জন্য শিক্ষা।
২৪ মিনিট আগেরাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দুই ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী ঢামেক হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আহতরা হলেন, নরসিংদীর মাদবদী এলাকার ক্ষুদ্র কাপড় ব্যাবসায়ী মো: সজল (৩০), ও আলামিন(২৭)।
১০ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে অজ্ঞাতনামা পুরুষের বয়স আনুমানিক ৬০ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে