কাশ্মীর ‘ইয়ুম-ই-ইস্তেহসাল’ উদযাপন করেছে ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৪০

ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন ভারত কর্তৃক অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) জনগণের সাথে সংহতি জানিয়ে ‘ইয়ুম-ই-ইস্তেহসাল’ (শোষণ দিবস) উদযাপন উপলক্ষে গতকাল সোমবার এ্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের সদস্য এবং স্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী/পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মোহাম্মদ ইসহাক দারের বার্তা পাঠ করা হয়। পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ ভারতকে অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) জনগণের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ড এবং অপরাধের জন্য জবাবদিহি আওতায় আনার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, একই সাথে অধিকৃত কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বার্তায় বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধের ন্যায্য সমাধান আমাদের পররাষ্ট্র নীতির এক মূল স্তম্ভ এবং ভারতকে আইআইওজেকেতে মানবাধিকার অপরাধ বন্ধ করতে, ৫ আগস্ট ২০১৯ সালের একতরফা ও অবৈধ পদক্ষেপ বাতিল করতে, কঠোর আইন বাতিল করতে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার বার্তা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি তার বার্তায় অপারেশন বুনিয়ান আম মারসুসের অসাধারণ সাফল্যকে জাতীয় গর্বের মুহূর্ত হিসেবে তুলে ধরেন এবং আইআইওজেকে-র জনগণের বৈধ অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে আদায়ের জন্য পাকিস্তানের অটল রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং নৈতিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

আইআইওজেকেতে অব্যাহত ভারতীয় বর্বরতা এবং ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে পাকিস্তানের অপারেশন 'বুনিয়ান আম মারসুস'-এর অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরে ভিডিও ডকুমেন্টারি দর্শকদের দেখানো হয়। অনুষ্ঠানের ভারতীয় দখলদার বাহিনীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীও আয়োজন করা হয়।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ ওয়াসিফ কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দখলদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি ৫ আগস্ট ২০১৯ সাল থেকে নেওয়া সমস্ত একতরফা এবং অবৈধ পদক্ষেপ প্রত্যাহার না করা এবং কাশ্মীরি জনগণকে তাদের ইচ্ছা এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে আত্মনিয়ন্ত্রণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার প্রদান না করা পর্যন্ত, সমস্ত প্রাসঙ্গিক মঞ্চে জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধ উত্থাপন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে পাকিস্তানের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

দেশে মুক্তি পাচ্ছে জাপানি অ্যানিমে সিরিজ, শিশুদের দেখা নিষেধ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত