স্টাফ রিপোর্টার
লিবিয়ায় মাফিয়াদের কাছে এক বছর যাবৎ জিম্মি ছেলেকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভুগীর পরিবারের সদস্যরা। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী রবিনের মা রহিমা বেগম বলেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ১০ বেলা ১১টার দিকে আমার আত্মীয় সাধনা বেগম সাধুনী আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে। আত্মীয় হিসেবে নানা আলোচনা হয় তার সাথে। আলোচনার একপর্যায়ে তিনি আমাদের ছোট ছেলে মো. রবিনকে ইটালি পাঠানোর প্রস্তাব করে। আমরা পরিচিত লোক না থাকা, টাকা পয়সা না থাকা ইত্যাদি বলে প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাই। তখনই সাধুনী বেগম বলেন তার নিজের ছেলেকে মো. মনির হোসেন ইটালি পাঠিয়েছে। আমরা বলি মনিরকে তো আমরা চিনি না। তখন সে সাথে সাথে মনির ও তার স্ত্রী দিনা ইসলামকে ফোন করে কথা বলে। এর এক সপ্তাহ পরে মো. মনির তা স্ত্রী দিনা ইসলাম আমাদের বাসায় আসে। তখন মনিরের সাথে ফ্লাইটে ইতালি পাঠাতে হলে ১৪ লাখ টাকর মৌখিক চুক্তি হয়।
তিনি আরও বলেন, কিছু দিন পর টাকা অল্প সংগ্রহের কথা জানালে ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে ১০টায় দালাল মনির ও তার স্ত্রী দিনা ইসলামসহ কয়েকজন আমাদের আদাবরের বাসায় আসেন। এসময় ছেলে রবিনের পাসপোর্ট ও নগদ ৫ লাখ টাকা নেয়। তখন তারা বলেন, দিনা সাধুনী দালাল মনির রবিনকে সঙ্গে করে নিয়ে ইটালি যাবে। রবিনকে চাকুরিতে যোগদান করিয়ে আবার যখন ঢাকায় ফিরবে তখন বাকি ৯ লাখ টাকা দিলেই হবে। এর এক সপ্তাহ পর ইটালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রবিনকে নিয়ে দালাল মনির শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে যায়।
এসময় রবিনের বাবা বলেন, কিছু দিন পর খবর পেলাম ইতালি না নিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে অন্ধকার কটারিতে আটকে রাখে। আটকাবস্থায় রবিনকে ভয়ানক শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন চলাকালীন সময় তারা ফোনে রবিনকে আমাদের সাথে কথা বলায় টাকা পাঠানোর জন্য। রবিন নির্যাতনের যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে আমাদের জনায় তোমরা দ্রুত টাকা না পাঠালে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।
তিনি বলেন, একথা জানার পর আমরা মনির ও সাধুনীকে বলি তোমরা আমার সন্তানকে দেশে ফিরিয়ে আনো। তাতে আমাদের সন্তানের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। সন্তানের জীবনের কথা চিন্তা করে তখন আমরা নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন তারিখে মনিরের পিতা কালাম হাওলাদার, মনিরের স্ত্রী দিনা ইসলাম, সাধুনীর মেয়ে রেখা আক্তার ও মনিরের বোন সিমার ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেই। যার মানি রিসিট আছে। এছাড়াও পরবর্তীতে নগদে আরও টাকাসহ মোট ১৮ লাখ টাকা নেয় তারা।
এত টাকা দেয়ার পরও গত বছরের মার্চ মাস থেকে আমরা আর ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাদের ধারণা এই মানব পাচারকারীরা আমাদের রবিনকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এমতাবস্থায় আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাছে ভিক্ষা চাই আমাদের সন্তানকে ফিরে পেতে তারা যেন একটা উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এসময় তিনি আরও বলেন, প্রায় এক বছর যাবৎ ছেলের সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। ছেলের সন্ধানে সংশ্লিষ্ট অ্যাম্বাসি এবং দপ্তরে যোগাযোগ করলে কোনো সহায়তা পাইনি। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই। সংবাদ সম্মেলনে রবিনের পরিবারের সদস্য ছাড়াও স্কুল শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিবিয়ায় মাফিয়াদের কাছে এক বছর যাবৎ জিম্মি ছেলেকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভুগীর পরিবারের সদস্যরা। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী রবিনের মা রহিমা বেগম বলেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ১০ বেলা ১১টার দিকে আমার আত্মীয় সাধনা বেগম সাধুনী আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে। আত্মীয় হিসেবে নানা আলোচনা হয় তার সাথে। আলোচনার একপর্যায়ে তিনি আমাদের ছোট ছেলে মো. রবিনকে ইটালি পাঠানোর প্রস্তাব করে। আমরা পরিচিত লোক না থাকা, টাকা পয়সা না থাকা ইত্যাদি বলে প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাই। তখনই সাধুনী বেগম বলেন তার নিজের ছেলেকে মো. মনির হোসেন ইটালি পাঠিয়েছে। আমরা বলি মনিরকে তো আমরা চিনি না। তখন সে সাথে সাথে মনির ও তার স্ত্রী দিনা ইসলামকে ফোন করে কথা বলে। এর এক সপ্তাহ পরে মো. মনির তা স্ত্রী দিনা ইসলাম আমাদের বাসায় আসে। তখন মনিরের সাথে ফ্লাইটে ইতালি পাঠাতে হলে ১৪ লাখ টাকর মৌখিক চুক্তি হয়।
তিনি আরও বলেন, কিছু দিন পর টাকা অল্প সংগ্রহের কথা জানালে ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে ১০টায় দালাল মনির ও তার স্ত্রী দিনা ইসলামসহ কয়েকজন আমাদের আদাবরের বাসায় আসেন। এসময় ছেলে রবিনের পাসপোর্ট ও নগদ ৫ লাখ টাকা নেয়। তখন তারা বলেন, দিনা সাধুনী দালাল মনির রবিনকে সঙ্গে করে নিয়ে ইটালি যাবে। রবিনকে চাকুরিতে যোগদান করিয়ে আবার যখন ঢাকায় ফিরবে তখন বাকি ৯ লাখ টাকা দিলেই হবে। এর এক সপ্তাহ পর ইটালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রবিনকে নিয়ে দালাল মনির শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে যায়।
এসময় রবিনের বাবা বলেন, কিছু দিন পর খবর পেলাম ইতালি না নিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে অন্ধকার কটারিতে আটকে রাখে। আটকাবস্থায় রবিনকে ভয়ানক শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন চলাকালীন সময় তারা ফোনে রবিনকে আমাদের সাথে কথা বলায় টাকা পাঠানোর জন্য। রবিন নির্যাতনের যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে আমাদের জনায় তোমরা দ্রুত টাকা না পাঠালে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।
তিনি বলেন, একথা জানার পর আমরা মনির ও সাধুনীকে বলি তোমরা আমার সন্তানকে দেশে ফিরিয়ে আনো। তাতে আমাদের সন্তানের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। সন্তানের জীবনের কথা চিন্তা করে তখন আমরা নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন তারিখে মনিরের পিতা কালাম হাওলাদার, মনিরের স্ত্রী দিনা ইসলাম, সাধুনীর মেয়ে রেখা আক্তার ও মনিরের বোন সিমার ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেই। যার মানি রিসিট আছে। এছাড়াও পরবর্তীতে নগদে আরও টাকাসহ মোট ১৮ লাখ টাকা নেয় তারা।
এত টাকা দেয়ার পরও গত বছরের মার্চ মাস থেকে আমরা আর ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাদের ধারণা এই মানব পাচারকারীরা আমাদের রবিনকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এমতাবস্থায় আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাছে ভিক্ষা চাই আমাদের সন্তানকে ফিরে পেতে তারা যেন একটা উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এসময় তিনি আরও বলেন, প্রায় এক বছর যাবৎ ছেলের সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। ছেলের সন্ধানে সংশ্লিষ্ট অ্যাম্বাসি এবং দপ্তরে যোগাযোগ করলে কোনো সহায়তা পাইনি। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই। সংবাদ সম্মেলনে রবিনের পরিবারের সদস্য ছাড়াও স্কুল শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দুই ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী ঢামেক হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আহতরা হলেন, নরসিংদীর মাদবদী এলাকার ক্ষুদ্র কাপড় ব্যাবসায়ী মো: সজল (৩০), ও আলামিন(২৭)।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে অজ্ঞাতনামা পুরুষের বয়স আনুমানিক ৬০ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেনাগরিকদের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে রাজধানীতে নতুন তিনটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেলের কোনো স্টেশনে গিয়ে কার্ড স্ক্যান করে ভেতরে ঢোকার পর যাত্রা না করে বেরিয়ে গেলে ১০০ টাকা ভাড়া কাটবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে কেউ কার্ড স্ক্যান করে স্টেশনের ভেতরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে গেলে তাকে কোনো ভাড়া দিতে হতো না। নতুন নিয়মে সেই সুযোগ থাকছে না।
১২ ঘণ্টা আগে