স্টাফ রিপোর্টার
শেখ হাসিনার শাসনামলে শুরু হওয়া মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরমাণু বিজ্ঞান ও গবেষণার উন্নয়নে কমিশনের স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং একটি পেশাদার ও সম্মানজনক কর্মপরিবেশ সুনিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। দাবি পূরণ না হলে প্রয়োজনে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের সভাপতি ড. এএস এম সাইফুল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. গোলাম রসুল, বাপশক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল আরেফিন, সাধারণ সম্পাদক এ টি এম গোলাম কিবরিয়া, বাপশক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোসেন, মহাসচিব মো: কামরুজ্জামান উজ্জ্বল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কমিশনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখেরও বেশি ব্যক্তি ও শতাধিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করে থাকে।
মালিক সংস্থা হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত সকল চুক্তি (জ্বালানি সংগ্রহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) এবং লাইসেন্স কমিশনের হওয়া সত্ত্বেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কমিশনকে বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি পিডিবি ও এনপিসিবিএল এর মধ্যে সম্পাদনের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মালিক সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও কমিশনকে বাদ দিয়ে নবগঠিত একটি কোম্পানির সাথে এ ধরনের চুক্তি করার প্রচেষ্টা কমিশনের অধিকার খর্ব করা এবং কমিশনকে দুর্বল করার অপচেষ্টারই অংশ।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার রীতিনীতি মেনে পরমাণু প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিশেষায়িত গবেষণা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এক্ষেত্রে বিগত সরকারের চাপিয়ে দেয়া সিস্টেমে সংবেদনশীল কাজ করা সম্ভব কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তা ছাড়াও পারমাণবিক বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট গবেষণা এবং এ সংক্রান্ত প্রকল্প ও তার পরিচালন ব্যয়সহ সকল তথ্য সংবেদনশীল হওয়ায় এভাবে একটি সার্বজনীন সিস্টেমে উক্ত তথ্য আপলোড করা সমীচীন নয় বলে কমিশনের বিজ্ঞানীরা মনে করে।
এক প্রশ্নের জবাবে বাপশক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল আরেফিন বলেন, চেন্নাই থেকে সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করা একটি ভারতীয় একটি সফটওয়্যার কোম্পানি এই সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করছে মন্ত্রণালয়ের একটি শক্তি। এই প্রচেষ্টা কমিশনের মতো একটি বিশেষায়িত সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব নষ্ট করার অপচেষ্টা বলে মনে হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ এই সিস্টেমে প্রবেশ করার বিরোধিতা করায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিশনের অনুকূলে অর্থ ছাড় বন্ধ করা হয়েছে। ফলে কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন প্রাপ্তিসহ গবেষণা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কমিশনে কর্মরত প্রায় ৬০০ বিজ্ঞানীসহ ২৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর গত মার্চ মাসের বেতন-ভাতাদি এখনও পাননি। এই প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন, ন্যায্য অধিকার ও সম্মান রক্ষা না হলে, দেশের পরমাণু বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২০১১ সালে তৎকালীন সরকার কমিশনের জিও প্রদানের ক্ষমতা রহিত করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত করে। তখন থেকে কমিশনের বিজ্ঞানীগণ উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফ্যাসিস্ট সরকার বিতাড়িত হলেও এখনও মন্ত্রণালয়ে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসর আমলারা অন্যায়ভাবে পূর্ণ স্কলারশিপ থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছেন। স্কলারশিপ নিয়ে বিজ্ঞানীরা যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বে গবেষণার জন্যে গমনের জন্যে সরকারি অনুমতি (জিও) দিচ্ছে না মন্ত্রণালয়। আদালতের দ্বারস্থ হলেও সেখানে প্রভাব খাটিয়ে বিজ্ঞানীদের স্কলারশিপে বিদেশ যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
শেখ হাসিনার শাসনামলে শুরু হওয়া মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরমাণু বিজ্ঞান ও গবেষণার উন্নয়নে কমিশনের স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং একটি পেশাদার ও সম্মানজনক কর্মপরিবেশ সুনিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। দাবি পূরণ না হলে প্রয়োজনে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের সভাপতি ড. এএস এম সাইফুল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. গোলাম রসুল, বাপশক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল আরেফিন, সাধারণ সম্পাদক এ টি এম গোলাম কিবরিয়া, বাপশক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইসমাইল হোসেন, মহাসচিব মো: কামরুজ্জামান উজ্জ্বল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কমিশনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখেরও বেশি ব্যক্তি ও শতাধিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করে থাকে।
মালিক সংস্থা হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত সকল চুক্তি (জ্বালানি সংগ্রহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) এবং লাইসেন্স কমিশনের হওয়া সত্ত্বেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কমিশনকে বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি পিডিবি ও এনপিসিবিএল এর মধ্যে সম্পাদনের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মালিক সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও কমিশনকে বাদ দিয়ে নবগঠিত একটি কোম্পানির সাথে এ ধরনের চুক্তি করার প্রচেষ্টা কমিশনের অধিকার খর্ব করা এবং কমিশনকে দুর্বল করার অপচেষ্টারই অংশ।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার রীতিনীতি মেনে পরমাণু প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিশেষায়িত গবেষণা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এক্ষেত্রে বিগত সরকারের চাপিয়ে দেয়া সিস্টেমে সংবেদনশীল কাজ করা সম্ভব কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তা ছাড়াও পারমাণবিক বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট গবেষণা এবং এ সংক্রান্ত প্রকল্প ও তার পরিচালন ব্যয়সহ সকল তথ্য সংবেদনশীল হওয়ায় এভাবে একটি সার্বজনীন সিস্টেমে উক্ত তথ্য আপলোড করা সমীচীন নয় বলে কমিশনের বিজ্ঞানীরা মনে করে।
এক প্রশ্নের জবাবে বাপশক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল আরেফিন বলেন, চেন্নাই থেকে সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করা একটি ভারতীয় একটি সফটওয়্যার কোম্পানি এই সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করছে মন্ত্রণালয়ের একটি শক্তি। এই প্রচেষ্টা কমিশনের মতো একটি বিশেষায়িত সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব নষ্ট করার অপচেষ্টা বলে মনে হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ এই সিস্টেমে প্রবেশ করার বিরোধিতা করায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিশনের অনুকূলে অর্থ ছাড় বন্ধ করা হয়েছে। ফলে কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, পেনশন প্রাপ্তিসহ গবেষণা ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কমিশনে কর্মরত প্রায় ৬০০ বিজ্ঞানীসহ ২৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর গত মার্চ মাসের বেতন-ভাতাদি এখনও পাননি। এই প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন, ন্যায্য অধিকার ও সম্মান রক্ষা না হলে, দেশের পরমাণু বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২০১১ সালে তৎকালীন সরকার কমিশনের জিও প্রদানের ক্ষমতা রহিত করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যস্ত করে। তখন থেকে কমিশনের বিজ্ঞানীগণ উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফ্যাসিস্ট সরকার বিতাড়িত হলেও এখনও মন্ত্রণালয়ে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসর আমলারা অন্যায়ভাবে পূর্ণ স্কলারশিপ থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছেন। স্কলারশিপ নিয়ে বিজ্ঞানীরা যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বে গবেষণার জন্যে গমনের জন্যে সরকারি অনুমতি (জিও) দিচ্ছে না মন্ত্রণালয়। আদালতের দ্বারস্থ হলেও সেখানে প্রভাব খাটিয়ে বিজ্ঞানীদের স্কলারশিপে বিদেশ যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত আরশাদ আহমেদ সরকার (১৮) মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
৭ ঘণ্টা আগেনারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের ইসলামবিরোধী সুপারিশ ও কমিশন বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
৯ ঘণ্টা আগেঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগেই কাজ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ইশরাক হোসেন। তিনি আসন্ন কোরবানি ঈদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।
১০ ঘণ্টা আগেমাতৃত্বকালীন স্ববেতন ছয় মাস ছুটিসহ দশ দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।
১০ ঘণ্টা আগে