
এমরানা আহমেদ

ক্রেতাদের পছন্দ আর চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে নতুন নতুন ঈদ কালেকশন নিয়ে প্রস্তুত এখন ফুটপাতের বাজার। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নানা রঙের, বাহারি ডিজাইনের পোশাক দিয়ে বিক্রেতারা তাদের ছোট ছোট দোকান সাজিয়ে রাখছেন। গতকাল সোমবার সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছু এলাকায় জমে উঠলেও অধিকাংশ এলাকার ফুটপাতের বাজার এখনো পুরোদমে জমে ওঠেনি। তবে বিক্রেতারা আশা করছেন, ১৫ রোজার পরই পুরোদমে জমে উঠবে নিম্নমধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তের কেনাকাটার এই বাজার।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার ফুটপাতের প্যান্টের দোকানের বিক্রেতা মোহাম্মদ জিয়া জানান, তার দোকানে সব বয়সিদের জন্য গ্যাবার্ডিং ও জিন্সের প্যান্ট বেশি চলছে। এগুলোর দাম ৪০০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। জিয়া বলেন, ‘গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই ঈদ মৌসুমেও মাত্র একটি প্যান্ট বিক্রি করেছি আমি। তবে ১৫ থেকে ২০ রোজার মধ্য বিক্রি বাড়বে, ক্রেতারাও পুরোপুরি ঈদমুখী হবেন বলে আমি আশা করছি।’
আরেক বিক্রেতা নুরুল হোসেন বলেন, ‘আমরা ক্রেতাদের জন্য নতুন ঈদ কালেকশন দিয়ে দোকান সাজিয়ে রেখেছি। এখনো ক্রেতারা পোশাক কিনতে আসছেন না। তাই বেচাবিক্রিও জমে ওঠেনি। জিন্স, গ্যাবার্ডিংয়ের পাশাপাশি ফরমাল প্যান্ট বিক্রি করেন নুরুল হোসেন। তারা দোকানে ক্রেতারা ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে প্যান্ট কিনতে পারবেন বলে জানান তিনি।
রাজধানীর নিউমার্কেট, চাঁদনি চক, ধানমন্ডি হকার্সের সামনের ফুটপাতগুলো সারা বছরই ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকে। ঈদ এলে সেই ভিড়, তিন থেকে চারগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। সেজন্য এই এলাকায় যানজটে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিউমার্কেট এলাকায় রয়েছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। অনেক ক্রেতা তাদের পণ্য হাঁকডাক করে বিক্রি করছেন, ‘একদম ২০০, নিয়ে যান ২০০’ একদাম ১০০, তাড়াতাড়ি নেন ১০০।’ মূলত ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এ রকম হাঁকডাক করে পণ্য বিক্রি করছেন দোকানিরা।
বিক্রেতারা আমার দেশকে জানান, এই এলাকায় রোজার আগ থেকে বিক্রি শুরু হয়ে যায়। আর প্রথম রোজা থেকে তো এ এলাকা ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে। তারা জানান, এখানে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত ক্রেতারাও বাহারি পণ্য কিনতে আসেন।
গাউছিয়া মাকের্টের সামনের ফুটপাতের বিক্রেতা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার ঈদের বাচ্চাদের জন্য গোলাপি, লাল, সাদা, বেগুনি রঙের পার্টি ড্রেস এনেছেন। এই ড্রেসগুলো মূলত ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বিক্রি হবে। এগুলোর দাম ২৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে আস্তে আস্তে গরমের সময় চলে আসায় বাচ্চাদের সুতি পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। দুই থেকে সাড়ে তিন বছরের শিশুদের সুতি ফ্রকগুলো ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এগুলোর দাম ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। সিরাজুল ইসলাম জানান, এখনো ঈদ মার্কেট সেভাবে জমে ওঠেনি।
মৌচাক এলাকার ফুটপাতগুলোও জমে উঠেছে। প্রত্যেক দোকানিই তাদের সাধ্যানুযায়ী পণ্য দিয়ে তাদের দোকান সাজিয়েছেন। ক্রেতারা আসছেন, তাদের সামর্থ্যানুযায়ী পোশাক, গৃহসজ্জা, বিছানার চাদর, ক্রোকারিজ সামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
খিলগাঁও থেকে আসা গৃহিণী রেহনুমা বলেন, তিনি ফুটপাত থেকে দুটি চাদর ও কিছু ক্রোকারিজ সামগ্রী কিনেছেন। রেহনুমা জানান, মাকের্টের ভেতরের দোকানগুলোতে একই জিনিস ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়। দাম কম পাওয়ার কারণেই ফুটপাত থেকে কিনছেন তিনি।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে তরুণীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে চায়না ওয়ান পিস, টুপিস কামিজ এনেছেন চাঁদনীচক মার্কেটের সামনের বিক্রেতা খুরশেদ। তারা দোকানে সিল্কের কামিজগুলো তরুণীরা বেশি কেনেন। এগুলোর দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা মাকের্ট এলাকার সামনের ফুটপাতের বিক্রেতা রাজু জানান, চায়না বার্মিজ জুতাগুলোর চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া এমব্রয়ডারি কাজের স্লিপার সুজগুলোও সব বয়সি ক্রেতারা অনেক কেনেন। এগুলোর দাম ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। দোকানে কালেকশন ভালো থাকলে ক্রেতার দোকানে আসেন এবং দাম কম থাকায় অনেকেই চার-পাঁচ টুকরো করে কিনে নিয়ে যায়।

ক্রেতাদের পছন্দ আর চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে নতুন নতুন ঈদ কালেকশন নিয়ে প্রস্তুত এখন ফুটপাতের বাজার। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নানা রঙের, বাহারি ডিজাইনের পোশাক দিয়ে বিক্রেতারা তাদের ছোট ছোট দোকান সাজিয়ে রাখছেন। গতকাল সোমবার সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছু এলাকায় জমে উঠলেও অধিকাংশ এলাকার ফুটপাতের বাজার এখনো পুরোদমে জমে ওঠেনি। তবে বিক্রেতারা আশা করছেন, ১৫ রোজার পরই পুরোদমে জমে উঠবে নিম্নমধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তের কেনাকাটার এই বাজার।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার ফুটপাতের প্যান্টের দোকানের বিক্রেতা মোহাম্মদ জিয়া জানান, তার দোকানে সব বয়সিদের জন্য গ্যাবার্ডিং ও জিন্সের প্যান্ট বেশি চলছে। এগুলোর দাম ৪০০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। জিয়া বলেন, ‘গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই ঈদ মৌসুমেও মাত্র একটি প্যান্ট বিক্রি করেছি আমি। তবে ১৫ থেকে ২০ রোজার মধ্য বিক্রি বাড়বে, ক্রেতারাও পুরোপুরি ঈদমুখী হবেন বলে আমি আশা করছি।’
আরেক বিক্রেতা নুরুল হোসেন বলেন, ‘আমরা ক্রেতাদের জন্য নতুন ঈদ কালেকশন দিয়ে দোকান সাজিয়ে রেখেছি। এখনো ক্রেতারা পোশাক কিনতে আসছেন না। তাই বেচাবিক্রিও জমে ওঠেনি। জিন্স, গ্যাবার্ডিংয়ের পাশাপাশি ফরমাল প্যান্ট বিক্রি করেন নুরুল হোসেন। তারা দোকানে ক্রেতারা ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে প্যান্ট কিনতে পারবেন বলে জানান তিনি।
রাজধানীর নিউমার্কেট, চাঁদনি চক, ধানমন্ডি হকার্সের সামনের ফুটপাতগুলো সারা বছরই ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকে। ঈদ এলে সেই ভিড়, তিন থেকে চারগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। সেজন্য এই এলাকায় যানজটে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিউমার্কেট এলাকায় রয়েছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। অনেক ক্রেতা তাদের পণ্য হাঁকডাক করে বিক্রি করছেন, ‘একদম ২০০, নিয়ে যান ২০০’ একদাম ১০০, তাড়াতাড়ি নেন ১০০।’ মূলত ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এ রকম হাঁকডাক করে পণ্য বিক্রি করছেন দোকানিরা।
বিক্রেতারা আমার দেশকে জানান, এই এলাকায় রোজার আগ থেকে বিক্রি শুরু হয়ে যায়। আর প্রথম রোজা থেকে তো এ এলাকা ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে। তারা জানান, এখানে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত ক্রেতারাও বাহারি পণ্য কিনতে আসেন।
গাউছিয়া মাকের্টের সামনের ফুটপাতের বিক্রেতা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার ঈদের বাচ্চাদের জন্য গোলাপি, লাল, সাদা, বেগুনি রঙের পার্টি ড্রেস এনেছেন। এই ড্রেসগুলো মূলত ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বিক্রি হবে। এগুলোর দাম ২৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে আস্তে আস্তে গরমের সময় চলে আসায় বাচ্চাদের সুতি পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। দুই থেকে সাড়ে তিন বছরের শিশুদের সুতি ফ্রকগুলো ক্রেতা চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এগুলোর দাম ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। সিরাজুল ইসলাম জানান, এখনো ঈদ মার্কেট সেভাবে জমে ওঠেনি।
মৌচাক এলাকার ফুটপাতগুলোও জমে উঠেছে। প্রত্যেক দোকানিই তাদের সাধ্যানুযায়ী পণ্য দিয়ে তাদের দোকান সাজিয়েছেন। ক্রেতারা আসছেন, তাদের সামর্থ্যানুযায়ী পোশাক, গৃহসজ্জা, বিছানার চাদর, ক্রোকারিজ সামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
খিলগাঁও থেকে আসা গৃহিণী রেহনুমা বলেন, তিনি ফুটপাত থেকে দুটি চাদর ও কিছু ক্রোকারিজ সামগ্রী কিনেছেন। রেহনুমা জানান, মাকের্টের ভেতরের দোকানগুলোতে একই জিনিস ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়। দাম কম পাওয়ার কারণেই ফুটপাত থেকে কিনছেন তিনি।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে তরুণীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে চায়না ওয়ান পিস, টুপিস কামিজ এনেছেন চাঁদনীচক মার্কেটের সামনের বিক্রেতা খুরশেদ। তারা দোকানে সিল্কের কামিজগুলো তরুণীরা বেশি কেনেন। এগুলোর দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা মাকের্ট এলাকার সামনের ফুটপাতের বিক্রেতা রাজু জানান, চায়না বার্মিজ জুতাগুলোর চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া এমব্রয়ডারি কাজের স্লিপার সুজগুলোও সব বয়সি ক্রেতারা অনেক কেনেন। এগুলোর দাম ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। দোকানে কালেকশন ভালো থাকলে ক্রেতার দোকানে আসেন এবং দাম কম থাকায় অনেকেই চার-পাঁচ টুকরো করে কিনে নিয়ে যায়।

রাজধানীর হাজারীবাগ বউবাজার এলাকায় যাত্রী সেজে এক ব্যাটারিচালিত রিকশাচালককে ছুরিকাঘাত করে তার রিকশা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মিরপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে ১০৫ ভরি সোনা ও নগদ প্রায় ৩২ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় মূলহোতা বিল্লাল হোসেনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসে এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তি ও হেনস্তার অভিযোগে বাসের হেলপার ও চালকের সহকারী নাজিম উদ্দিন (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
৬ ঘণ্টা আগে
শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও পিকআপ ভ্যান অংশ নেয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে উৎসুক জনতা ভিড় করেন এবং তারা হাত নেড়ে ও স্লোগান দিয়ে শোভাযাত্রাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। ঢাকা-১৩ আসনের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের কর্মী সমর্থক ও তরুণদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
৮ ঘণ্টা আগে