মাদকের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে আটক ১৮

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫৯
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ০০

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার মধ্যে একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্রের উচ্চ প্রযুক্তিনির্ভর প্রতারণা প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার হল থেকে অত্যাধুনিক স্পাই কমিউনিকেশন ডিভাইসের সরঞ্জামসহ ৫ জন এবং ১৩ জন 'প্রক্সি' পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।

শনিবার ডিএনসি’র সহকারি পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) মোস্তাক আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

আটকের পরপরই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রযুক্তিনির্ভর প্রতারণার দায়ে অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

উদ্ধার হওয়া ডিভাইসগুলোর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক স্পাই কমিউনিকেশন সরঞ্জাম। এগুলো হলো-ইয়ারপিস মাইক্রোফোন: যা প্রার্থীর কানের ভেতরে স্থাপন করা হয়েছিল। জিএসএম কার্ড (ক্রেডিট কার্ড আকারের ডিভাইস): এই ডিভাইসে সিম কার্ড স্থাপন করা ছিল।

এটি ৮-১০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত ইয়ারপিসের সঙ্গে ব্লুটুথের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে দুই-দিকের গোপন কথোপকথন সম্ভব করত। ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল কল গ্রহণ করতে পারত, যার ফলে পরীক্ষার্থী বাইরে থাকা সহযোগীর কাছ থেকে সরাসরি প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে সক্ষম হতো।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিপাহী পদে প্রায় ২৬ হাজার জন এবং ওয়্যারলেস অপারেটর পদে প্রায় ১১ হাজার জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। বিভিন্ন ধাপে বাছাইয়ের পর, লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সিপাহী পদে ১,১৫৪ জন এবং ওয়্যারলেস অপারেটর পদে ১২৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। শনিবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় সিপাহী পদে ১,০৮২ জন এবং ওয়্যারলেস অপারেটর পদে ১২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার পুরো সময়জুড়ে যেকোনো ধরনের অসদাচরণ বা অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে উচ্চ প্রযুক্তির সাহায্যে গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছিল। ডিএনসি'র এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে, প্রযুক্তির ব্যবহার, গোয়েন্দা নজরদারি ও মাঠপর্যায়ের তৎপরতা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা ও ন্যায়পরায়ণতা আরও সুদৃঢ় করেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত