জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কাইয়ুম হত্যা এবং বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার পৃথক দুই আদালতে খায়রুল হকের পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন। শুনানি শেষে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার কাইয়ুম হত্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১৮ এর বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন। অপরদিকে রাজধানীর শাহবাগ থানার বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি ও জাল রায় তৈরির মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার ২য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলাম।
খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় আব্দুল কাইয়ুম আহাদের ওপরে হত্যার উদ্দেশে গুলি বর্ষণ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত, টিআরসেল, সাউন্ড বোমসহ নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়। এসময় কাইয়ুমের মুখে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। সেখানে যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন আব্দুল কাইয়ুম আহাদের দুই পায়ে ব্রাশ ফায়ার করেন। ভিকটিক আহাদকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত ৬ জুলাই নিহতের বাবা মো. আলা উদ্দিন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত এক থেকে দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এ মামলার এজাহারনামীয় ৪৪ নম্বর আসামি এ বি এম খায়রুল হক।
এদিকে, বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে খায়রুল হককে আসামি করে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
গত ২৪ জুলাই সকাল ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

