এবার এক দফার নেপথ্যের কাহিনী বললেন নাহিদ ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ২৮

গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কার্মসূচী ছাত্রদল, শিবির ও বামদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর সরকার পতনের এক দফা দিই। আর পতনের আগের দিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সরকার প্রধান হবার বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সেসময় নতুন সরকারের প্রধান হওয়ার জন্য তাকে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল বলে জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, পুরো আন্দোলন জুড়ে পুলিশ ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এমনকি হেলিকপ্টার থেকেও গুলি চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায় ও নির্যাতন করে।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন নাহিদ। বুধবার শুরু হওয়া এ কার্যক্রম বৃহস্পতিবার শেষ হবার পর তাকে জেরা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলামের জবানবন্দিতে তিনি বলেন।

মিডিয়ার মাধ্যমে কোনো সংবাদ না পাওয়ায় আন্দোলনের অন্যান্য সমন্বয়কদের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ১৮ ও ১৯ জুলাই দেশব্যাপি যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চলেছে সে সম্পর্কে জানতে পারি। ১৯ তারিখ বিকেলে সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের সাথে আমার কথা হয়। আমাদের পরামর্শ মতো সে ৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে। সেদিন বিকেলে আমি নন্দীপাড়া আমার এক বন্ধুর বাসায় আশ্রয় নেই। পরবর্তীতে সমন্বয়ক হাসনাতও সারজিসের সাথে আমার কথা হয়। তখন তারা ডিজিএফআইয়ের হেফাজতে ছিলো যা আমি জানতাম না। আমি অন্যান্য সমন্বয়ক ও ছাত্র নেতাদের সাথে পরামর্শক্রমে ২০ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেই। সকল মিডিয়াতে এই ঘোষণাটি পাঠালেও কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া তা প্রচার করেনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট সারাদেশের মানুষ ঢাকায় আসতে থাকে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, আমরা শাহবাগে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করি। কর্মসূচি বানচাল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শহীদ মিনার ও চানখাঁরপুল এলাকায় গুলি করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী রাস্তা ছেড়ে দিলে আমরা শাহবাগে প্রবেশ করি। কিছুক্ষণের মধ্যে শাহবাগ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আমরা শুনতে পাই সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, উত্তরা, যাত্রাবাড়ীসহ ঢাকার প্রবেশমুখগুলো দিয়ে লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করেছে। শাহবাগ থেকে আমরা মিছিল নিয়ে গণভবনের দিকে রওনা হই। পথিমধ্যে জানতে পারি হাসিনা পদত্যাগ করে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আরও শুনতে পাই ছাত্র-জনতা গণভবনে প্রবেশ করেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত