সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে আদালতের অসন্তোষ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৬
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৯

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ১২১ বার পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। তবে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে এবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

রোববার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক। পরে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

এদিন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই-এর অতিরিক্ত এসপি মো. আজিজুল আদালতে উপস্থিত হন। এদিন বেলা সোয়া ১২টার দিকে মামলার তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। এসময় বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, আপনি কি সিআইডিতে? তখন এ তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, না স্যার আমি পিবিআইতে।

বিচারক তখন বলেন, এই মামলায় তদন্তে অগ্রগতি কতদূর? তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এরপর আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় তদন্তের। আমি এই মামলার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও ডিএনএ বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। দুই জনের মিক্সড ডিএনএর তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু সনাক্ত করা যাচ্ছে না। এসব কারণে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে।

কিছুদিন আগে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও, উচ্চ আদালতে থেকে আরো সময় নেয়া হয়। এসময় বিচারক বলেন, যা বুঝলাম। আগের এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যিনি ছিলেন তিনিও একই কথা বলেছেন। আপনার তদন্তের অগ্রগতিতে আদালত অসন্তুষ্ট। আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।

এর আগে, গত ১১ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।

এ মামলার আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত