স্টাফ রিপোর্টার
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নামে করা শাহবাগ থানার মামলায় পেনাল কোডের ১২০ (বি) ও ৪২০ ধারা দু'টি সংযোজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক খালেক মিয়া আদালতে ধারা সংযোজনের আবেদন করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত তা মঞ্জুর করেন।
ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
ধারা সংযোজনের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি এ বি এম খায়রুল বিচারক হিসেবে লোভের বশবর্তী হয়ে দুর্নীতিমূলক ও বিদ্বেষাত্মক এবং বেআইনিভাবে রায় প্রদান করাসহ অসত্য ও জাল জালিয়াতি সৃষ্টি করেছে মর্মে বাদী এ অভিযোগের ভিত্তিতে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় মামলাটি রুজুর ধারাসমূহের পাশাপাশি পেনাল কোড আইনের ১২০-বি/৪২০ ধারা সংযোজন করা একান্ত প্রয়োজন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ওই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন রিট আবেদন করেন।
সেই মামলার শুনানি করে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। রিট আবেদনকারী ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন আপিল বিভাগ। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন এ বি এম খায়রুল হক। ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় প্রকাশ্য আদালতে ঘোষিত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পথ খোলা রেখেছিলেন। কিন্তু ওই বছর সেপ্টেম্বরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের সময় ‘জালিয়াতি’ করা হয়।
এছাড়া এদিন রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন বলেন, এ বি এম খায়রুল হক একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি। হয়রানির উদ্দেশ্যে গত ২৪ জুলাই এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার ঘটনা গত বছরের ১৮ জুলাই। ঘটনার প্রায় এক বছর পর ৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়। এতদিন পর কেন মামলাটি দায়ের করেছেন তার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। মামলার ঘটনার দিন তিনি নিজবাড়িতে পুলিশ পাহারায় অবস্থান করছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিন খায়রুল হক তার কর্মস্থল আইন কমিশনের কার্যালয়ে ছিলেন। দাপ্তরিক কাজ শেষে পুলিশ পাহারায় নিজ বাসভবনে ফিরে আসেন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনি গমন করেননি। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না। আমরা তার জামিন প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নামে করা শাহবাগ থানার মামলায় পেনাল কোডের ১২০ (বি) ও ৪২০ ধারা দু'টি সংযোজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক খালেক মিয়া আদালতে ধারা সংযোজনের আবেদন করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত তা মঞ্জুর করেন।
ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
ধারা সংযোজনের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি এ বি এম খায়রুল বিচারক হিসেবে লোভের বশবর্তী হয়ে দুর্নীতিমূলক ও বিদ্বেষাত্মক এবং বেআইনিভাবে রায় প্রদান করাসহ অসত্য ও জাল জালিয়াতি সৃষ্টি করেছে মর্মে বাদী এ অভিযোগের ভিত্তিতে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্য ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় মামলাটি রুজুর ধারাসমূহের পাশাপাশি পেনাল কোড আইনের ১২০-বি/৪২০ ধারা সংযোজন করা একান্ত প্রয়োজন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ওই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন রিট আবেদন করেন।
সেই মামলার শুনানি করে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। রিট আবেদনকারী ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন আপিল বিভাগ। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন এ বি এম খায়রুল হক। ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় প্রকাশ্য আদালতে ঘোষিত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পথ খোলা রেখেছিলেন। কিন্তু ওই বছর সেপ্টেম্বরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের সময় ‘জালিয়াতি’ করা হয়।
এছাড়া এদিন রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন বলেন, এ বি এম খায়রুল হক একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি। হয়রানির উদ্দেশ্যে গত ২৪ জুলাই এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার ঘটনা গত বছরের ১৮ জুলাই। ঘটনার প্রায় এক বছর পর ৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়। এতদিন পর কেন মামলাটি দায়ের করেছেন তার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। মামলার ঘটনার দিন তিনি নিজবাড়িতে পুলিশ পাহারায় অবস্থান করছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিন খায়রুল হক তার কর্মস্থল আইন কমিশনের কার্যালয়ে ছিলেন। দাপ্তরিক কাজ শেষে পুলিশ পাহারায় নিজ বাসভবনে ফিরে আসেন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনি গমন করেননি। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না। আমরা তার জামিন প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া জানান, “ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার একটি ৫৮’র সি ধারা, যেখানে বলা আছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠিত হবে সংসদ ভেঙে দেয়ার পনের দিনের মধ্যে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হলে এটা শুধুমাত্র সংসদ ভেঙে ..
২ ঘণ্টা আগেগত অগাস্টে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবীধানমালা-২০২৪ সংশোধন করে ম্যানেজিং কমিটি এবং গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল অন্তবর্তীকালীন সরকার।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের অপরাধ গোপন করে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার জন্য অ্যাপ্রুভার হয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেআবেদনে বলা হয়, সেলিম প্রধান দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থযোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে