অনুপ্রবেশের মামলায় ভারতীয় নারী সকিনা বেগমকে জামিন দিয়েছেন সিএমএম আদালত। রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই সুবীর কুমার ঘোষ জানান, বাংলাদেশে আসার পর সকিনা বেগম যে বাসায় ছিলেন, ওই বাসার লোক-জনদের জিম্মায় তাকে জামিন দেয় আদালত।
এদিন সকিনা বেগমের পক্ষে জামিন চেয়ে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক। তিনি বলেন, মামলাটি জামিনযোগ্য ধারা'র। সকিনা বেগম ইচ্ছে করে এদেশে আসেননি। জোর করে তাকে পাঠানো হয়েছে।
আমরা আদালতে তার জামিনের প্রার্থনা করি। শুনানি নিয়ে আদালত সকিনা বেগমের আশ্রয়দাতা ক্লান্তি আক্তার, তার মা মোছা. জাকিয়া ও খালা ময়না আক্তারের জিম্মায় জামিনের আদেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, আশা করছি, আগামীকাল সোমবারই কারামুক্ত হবেন তিনি।
এর আগে জামিন শুনানি করতে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ নিয়ে সকিনার আশ্রয়দাতা ক্লান্তি আক্তার বলেন, এর আগে চার দফা তার (সখিনা) জামিন শুনানিতে এসেছিলাম। কিন্তু জামিন হয়নি। আজ জামিন হয়েছে। খুব আনন্দ লাগছে। সকিনা বেগমকে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে সরকারকে অনুরোধ জানান তার এই আশ্রয়দাতা।
সকিনা বেগমকে কয়েকমাস আগে ভারতের আসাম থেকে ধরে নিয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দেয় দেশটির সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএএসএফ। এ নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর শোরগোল পড়ে যায়। তবে এর আগেই সকিনাকে হেফাজতে নেয় ভাষানটেক থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সকিনাকে ভাষানটেক থানার টিনশেড টেকপাড়া গলির মাথায় পাওয়া যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেছেন। পরে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য 'দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২'-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এদিকে আসামের নলবাড়ী জেলার বরকুড়া গ্রামের বাসিন্দা সকিনার পরিবারের অভিযোগ, বিএসএফ তাকে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছেন।

