
স্টাফ রিপোর্টার

জাতীয়করণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা দাবি আদায়ে পূর্ব ঘোষিত সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ টু সচিবালয় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অষ্টম দিনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন তারা।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় কমিটির নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা সমাজের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদেরকে দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি। এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাষ্ট্রের কাজ করা উচিত ছিল। সেখানে আমরা সেই দায়িত্ব পালন করছি। রাষ্ট্রের উচিত বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত ১৭৭২টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে। যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্র আমাদের দাবি মেনে নিবে না, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
"আমাদের দাবি একটাই এমপিওভুক্ত চাই, লেগেছেরে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে, আবু সাঈদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, ড. ইউনুসের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, শিক্ষক কেন রাস্তায় প্রশাসন জবাব চাইসহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচী পালন করছেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের শিক্ষকরা।"
বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করে। ইতোপূর্বে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৫৭টি এবং অনলাইনে আবেদন করা ১ হাজার ৭৭২টি বিদ্যালয় তাদের দাবির পক্ষে শিক্ষক-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় আন্দোলন করলে কর্তৃপক্ষ বারবার মৌখিক আশ্বাস দেয়।
তারা বলেন, মানবেতর জীবন যাপনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালালেও সরকার তাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করছে না। অবিলম্বে দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো:
১. অনতিবিলম্বে সব বিশেষ (আটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে।
৩. বিশেষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ উচ্চ উপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে হবে।
৫. চাকরি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ, মুখ্য সমন্বয়ক মো. গাউসুল আজম শীমু, সমন্বয়ক মোছা. রিমা খাতুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওর জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে। ওই প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ হাজার ৭৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে ১ হাজার ৭৭২টি প্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনার জন্য প্রস্তুত করে।

জাতীয়করণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা দাবি আদায়ে পূর্ব ঘোষিত সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ টু সচিবালয় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অষ্টম দিনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন তারা।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় কমিটির নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, আমরা সমাজের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদেরকে দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি। এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাষ্ট্রের কাজ করা উচিত ছিল। সেখানে আমরা সেই দায়িত্ব পালন করছি। রাষ্ট্রের উচিত বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত ১৭৭২টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে। যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্র আমাদের দাবি মেনে নিবে না, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
"আমাদের দাবি একটাই এমপিওভুক্ত চাই, লেগেছেরে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে, আবু সাঈদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, ড. ইউনুসের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, শিক্ষক কেন রাস্তায় প্রশাসন জবাব চাইসহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচী পালন করছেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের শিক্ষকরা।"
বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করে। ইতোপূর্বে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৫৭টি এবং অনলাইনে আবেদন করা ১ হাজার ৭৭২টি বিদ্যালয় তাদের দাবির পক্ষে শিক্ষক-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় আন্দোলন করলে কর্তৃপক্ষ বারবার মৌখিক আশ্বাস দেয়।
তারা বলেন, মানবেতর জীবন যাপনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালালেও সরকার তাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করছে না। অবিলম্বে দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো:
১. অনতিবিলম্বে সব বিশেষ (আটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে।
৩. বিশেষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি ৩ হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ উচ্চ উপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে হবে।
৫. চাকরি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নির্ধারিত কোটা সুনিশ্চিত করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ, মুখ্য সমন্বয়ক মো. গাউসুল আজম শীমু, সমন্বয়ক মোছা. রিমা খাতুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওর জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে। ওই প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ হাজার ৭৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে ১ হাজার ৭৭২টি প্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনার জন্য প্রস্তুত করে।

সুদানে চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহিদ মিনার, ভাষা শহিদ রফিক ভবন ও বিজ্ঞান অনুষদ ঘুরে গুচ্ছ ভাস্কর্য চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মান
৩ ঘণ্টা আগে
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আ.ন.ম শামসুল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস. ওয়াই. রামাদানের সাথে ঢাকায় তার অফিসে সাক্ষাৎ করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিনের বিশৃঙ্খল ও অপরিচ্ছন্ন চিত্র এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের। একসময় তীব্র যানজট, ভাসমান দোকান, মাদকাসক্ত ও উদ্বাস্তুদের আনাগোনায় নাকাল ছিল চত্বরগুলো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ডাকসু ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে ধারাবাহিক উচ্ছেদ অভিযানের পর ক্যাম্পাসে
৬ ঘণ্টা আগে
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মতো সাহসী সাংবাদিক দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
২ দিন আগে