Ad T1

চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কারে ১০ দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

প্রতিনিধি, জবি
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১৬: ৩০

চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ১০ দফা বাস্তবায়ন হলে চাকরির নিয়োগ ব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক ও দুর্নীতিমুক্ত হবে। এছাড়া সরকারকে দ্রুত এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেন তারা।

তাদের দাবিসমূহ হলো

প্রথমিকের সহকারী শিক্ষক, বাংলাদেশ রেলওয়ে, খাদ্য অধিদপ্তর সহ ১৬ তম গ্রেড পর্যন্ত সকল নিয়োগ পরীক্ষা প্রিলির পাশাপাশি লিখিত নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের আসার সাথে সাথে বস্তু নিষ্ঠ প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে বাতিল করতে হবে; সুপারিশ বানিজ্য রোধ করার লক্ষো মৌখিক পরীক্ষা নাম্বার কমিয়ে আনতে হবে; প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত ব্যক্তি, প্রক্সি পার্টি, ডিবাইস পার্টিদের দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০% অগ্রাধিকারমূলক বিজ্ঞান কোটা প্রত্যাহার করতে হবে; স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি আবেদন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে; যে কোন ফাইনাল রেজাল্টের মেরিট লিস্টের পাশাপাশি ঐ পদসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করতে হবে। এক বছর পর্যন্ত পদ শূন্য হওয়া সাপেক্ষে ওয়েটিং লিস্ট থেকে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে; বাললাদেশ স্মল এন্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (BSCIC), কন্ট্রোলার জেনারেল অব ডিফেন্স ফাইনান্স (CGDF), বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স; খাদ্য অধিদপ্তর, বাললাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (BIBM), বাংলাদেশ রেলওয়ে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিগত নিয়োগ গুলো উচ্চ পদস্থ তদন্ত দাবি করছি; বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ ভ্যারিফিকেশন কমিটির হাতে হস্তান্তর প্রত্যাহার করতে হবে; শিকক্ষ নিবন্ধন নিয়োগের ৩০% নারী কোটা বাতিল করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জেসমিন আক্তার বলেন, নারী কোটা বা বিজ্ঞান কোটা নয়, নিয়োগ হতে হবে প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ের ভিত্তিতে। কোটা প্রথার অপব্যবহার মেধাবীদের বঞ্চিত করছে।

পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের মুখপাত্র সাজ্জাদ হুসাইন মুন্না বলেন,“নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একের পর এক দুর্নীতি, প্রশ্ন ফাঁস, সুপারিশ বাণিজ্য আমাদের হতাশ করছে। আমরা শুধু মেধা ও ন্যায্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চাকরি চাই। তাই এই দাবিগুলো আমাদের মৌলিক অধিকার আদায়ের পথ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত