এমরানা আহমেদ ও মাহমুদুল হাসান আশিক
২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ হয়েছে। সারা দেশের মতো রাজধানীর নামিদামি কলেজগুলোয়ও দিনভর ছিল উচ্ছ্বাস, কিছুটা হতাশা আর নানারকম প্রতিক্রিয়া। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মনে করছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তুলনামূলকভাবে কঠিন মূল্যায়নের প্রতিফলন।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পাসের হার কমার পাশাপাশি জিপিএ-৫ প্রাপ্তিও কমেছে ব্যাপক হারে। এবার সবগুলো বোর্ডের গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এবারের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ শিক্ষার্থী, গত বছর যা ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
নটর ডেম কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মাইলস্টোন কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলেন ফলের জন্য। অনলাইন ও বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের রেজাল্ট দেখেন নিজ প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে বসে। ফল দেখার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের মুখে আনন্দের পাশাপাশি কিছুটা বিস্ময়ের ছাপও দেখা যায়। পাস করা শিক্ষার্থীরা বলেন, ফল প্রত্যাশামতোই হয়েছে। তবে অকৃতকার্যরা বলেন, পরীক্ষা খারাপ হয়েছে কিন্তু ফল এত খারাপ হবে তা বুঝতে পারিনি। আবার অনেকেই মনে করছেন, এবারের মূল্যায়ন ছিল বাস্তবভিত্তিক ও নিরপেক্ষ।
চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন দুই হাজার ৫১৪ জন, পাস করেছেন দুই হাজার ৪৩৪ জন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৮৬ জন। ফেল করেছেন ৮০ জন। গত বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক হাজার ৭৩৭ জন।
ভিকারুননিসার শিক্ষার্থী তানিয়া রহমান আমার দেশকে বলেন, করোনার পর আমরাই সব বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। একটু চাপ ছিল তবে পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। ফল যেমনটা আশা করেছিলাম, তাই পেয়েছি। বাবা-মায়ের আশা পূরণ করতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে।
লামিছা জান্নাত বলেন, ইংরেজি ও গণিত পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল। কিন্তু ফেল করব তা ভাবিনি। তার বন্ধুদের তাকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে। মেয়ের সঙ্গে কাঁদতে দেখা গেছে লামিছার মা রিমি ইসলামকে। মেয়ে কী কারণে ফেল করল, বুঝতে পারছেন না তিনিও।
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে এবার এক হাজার ৬৯৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ২১৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক হাজার ৪৭৯ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস প্রিয়াঙ্কা বলেন, এ বছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল একটু কঠিন আর মূল্যায়নও মনে হয় কঠোর হয়েছে। তবুও আমি নিজের ফলাফল নিয়ে খুশি আলহামদুলিল্লাহ।
কলেজটির অপর এক শিক্ষার্থী সুমাইয়া হক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো হয়েছে। আমি খুশি। আমার বন্ধুরাও ভালো করেছে। সুমাইয়ার মা বলেন, আমার মেয়ে গোল্ডেন পায়নি কিন্তু আমি সন্তুষ্ট। কারণ পুরো বছর আমার মেয়ে পরিশ্রম করেছে। সে অনুযায়ী ফলাফল সন্তোষজনক।
অন্যদিকে রাজধানীর মাইলস্টোন কলেজেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির দুই হাজার ৯৮১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৯১ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল দুই হাজার। পাসের হারও সামান্য কমে ৯৯ দশমিক ৮৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, কলেজ প্রশাসনের সঠিক তদারক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম, ছাত্রছাত্রীদের একাগ্রতা এবং সম্মানিত অভিভাবকদের সহযোগিতায় প্রতিবছর ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করতে পারছে। উত্তীর্ণ সব ছাত্রছাত্রীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমরা এ সাফল্য ২১ জুলাই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি।
ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাবিহা সুলতানা বলেন, আমার সন্তান জিপিএ-৫ পায়নি, ৪ দশমিক ০৮ পেয়েছে। তবে আমি সন্তুষ্ট। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন হওয়া এ পরীক্ষার মূল্যায়ন বাস্তবভিত্তিক ও নিরপেক্ষ ছিল বলে আমি মনে করি।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম রাফি আমার দেশের ঢাবি প্রতিনিধিকে বলেন, সবাই চিন্তিত ছিলাম, আল্লাহর রহমতে প্রত্যাশিত রেজাল্ট পেয়েছি। আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত।
তবে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক কম ফলাফল পাওয়ায় কিছুটা হতাশ। বিভাগটির শিক্ষার্থী ফাহমিদুল ইসলাম বলেন, আমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেছি কিন্তু আমাদের বিভাগের ফলাফল অন্যান্য বিভাগের তুলনায় খারাপ। মনে হচ্ছে খাতা মূল্যায়নে কড়াকড়ি করা হয়েছে।
ফল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আজিজুল হক সজিব বলেন, মনে হচ্ছে সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে। প্রথমে খুব নার্ভাস লাগছিল, এখন মনে হচ্ছে সব পরিশ্রম সার্থক।
এবার মাদরাসা বোর্ডে দেশসেরা তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, টঙ্গী শাখা। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এক হাজার ২৭৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন, উত্তীর্ণ হন এক হাজার ২৬০ জন। উত্তীর্ণের হার ৯৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৬৬১ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসানের অভিভাবক মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, আমি আমার সন্তানের ফলাফলে অনেক সন্তুষ্ট। আলহামদুলিল্লাহ, সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমি মনে করি যথাযথ মূল্যায়ন হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. মো. হেফজুর রহমান বলেন, এটি আমাদের দীর্ঘদিনের অধ্যবসায় এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরলস পরিশ্রমের ফল। আধুনিক পাঠক্রম, নিয়মিত মূল্যায়ন এবং কঠোর একাডেমিক তত্ত্বাবধানের কারণেই তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা দেশের মাদরাসা শিক্ষায় উৎকর্ষের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এদিকে, এবারের ফলাফলে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু। তিনি বলেন, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বেশি নম্বর এ বছর দেওয়া হয়নি, গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক বিবেচনা ও তদবিরে অযোগ্য ব্যক্তিদের শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে না পারায় ফল এমন হয়েছে। এছাড়া কলেজ ও কোচিং সেন্টারগুলোয় পড়ালেখা হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে সব মিলিয়ে রাজধানীর কলেজগুলোয় আনন্দের আবহই ছিল প্রবল। কোথাও ঢাকঢোল পিটিয়ে, কোথাও করতালিতে, কোথাও ফুলে ও হাসিতে মুখরিত ছিল ক্যাম্পাস। এইচএসসির ফল নিয়ে রাজধানীর কলেজগুলোয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সন্তুষ্টি স্পষ্ট। তবে যারা আশানুরূপ ফল অর্জন করতে পারেনি, তারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আজ শুক্রবার থেকে আবেদন করতে পারবেন।
২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফল গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ হয়েছে। সারা দেশের মতো রাজধানীর নামিদামি কলেজগুলোয়ও দিনভর ছিল উচ্ছ্বাস, কিছুটা হতাশা আর নানারকম প্রতিক্রিয়া। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মনে করছেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তুলনামূলকভাবে কঠিন মূল্যায়নের প্রতিফলন।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পাসের হার কমার পাশাপাশি জিপিএ-৫ প্রাপ্তিও কমেছে ব্যাপক হারে। এবার সবগুলো বোর্ডের গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এবারের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ শিক্ষার্থী, গত বছর যা ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
নটর ডেম কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মাইলস্টোন কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলেন ফলের জন্য। অনলাইন ও বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের রেজাল্ট দেখেন নিজ প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে বসে। ফল দেখার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের মুখে আনন্দের পাশাপাশি কিছুটা বিস্ময়ের ছাপও দেখা যায়। পাস করা শিক্ষার্থীরা বলেন, ফল প্রত্যাশামতোই হয়েছে। তবে অকৃতকার্যরা বলেন, পরীক্ষা খারাপ হয়েছে কিন্তু ফল এত খারাপ হবে তা বুঝতে পারিনি। আবার অনেকেই মনে করছেন, এবারের মূল্যায়ন ছিল বাস্তবভিত্তিক ও নিরপেক্ষ।
চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন দুই হাজার ৫১৪ জন, পাস করেছেন দুই হাজার ৪৩৪ জন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৮৬ জন। ফেল করেছেন ৮০ জন। গত বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক হাজার ৭৩৭ জন।
ভিকারুননিসার শিক্ষার্থী তানিয়া রহমান আমার দেশকে বলেন, করোনার পর আমরাই সব বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। একটু চাপ ছিল তবে পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। ফল যেমনটা আশা করেছিলাম, তাই পেয়েছি। বাবা-মায়ের আশা পূরণ করতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে।
লামিছা জান্নাত বলেন, ইংরেজি ও গণিত পরীক্ষা খারাপ হয়েছিল। কিন্তু ফেল করব তা ভাবিনি। তার বন্ধুদের তাকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে। মেয়ের সঙ্গে কাঁদতে দেখা গেছে লামিছার মা রিমি ইসলামকে। মেয়ে কী কারণে ফেল করল, বুঝতে পারছেন না তিনিও।
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে এবার এক হাজার ৬৯৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ২১৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক হাজার ৪৭৯ জন। পাসের হার ৯৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস প্রিয়াঙ্কা বলেন, এ বছর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছিল একটু কঠিন আর মূল্যায়নও মনে হয় কঠোর হয়েছে। তবুও আমি নিজের ফলাফল নিয়ে খুশি আলহামদুলিল্লাহ।
কলেজটির অপর এক শিক্ষার্থী সুমাইয়া হক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো হয়েছে। আমি খুশি। আমার বন্ধুরাও ভালো করেছে। সুমাইয়ার মা বলেন, আমার মেয়ে গোল্ডেন পায়নি কিন্তু আমি সন্তুষ্ট। কারণ পুরো বছর আমার মেয়ে পরিশ্রম করেছে। সে অনুযায়ী ফলাফল সন্তোষজনক।
অন্যদিকে রাজধানীর মাইলস্টোন কলেজেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির দুই হাজার ৯৮১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৯১ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল দুই হাজার। পাসের হারও সামান্য কমে ৯৯ দশমিক ৮৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, কলেজ প্রশাসনের সঠিক তদারক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম, ছাত্রছাত্রীদের একাগ্রতা এবং সম্মানিত অভিভাবকদের সহযোগিতায় প্রতিবছর ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করতে পারছে। উত্তীর্ণ সব ছাত্রছাত্রীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমরা এ সাফল্য ২১ জুলাই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি।
ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাবিহা সুলতানা বলেন, আমার সন্তান জিপিএ-৫ পায়নি, ৪ দশমিক ০৮ পেয়েছে। তবে আমি সন্তুষ্ট। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীন হওয়া এ পরীক্ষার মূল্যায়ন বাস্তবভিত্তিক ও নিরপেক্ষ ছিল বলে আমি মনে করি।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম রাফি আমার দেশের ঢাবি প্রতিনিধিকে বলেন, সবাই চিন্তিত ছিলাম, আল্লাহর রহমতে প্রত্যাশিত রেজাল্ট পেয়েছি। আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত।
তবে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক কম ফলাফল পাওয়ায় কিছুটা হতাশ। বিভাগটির শিক্ষার্থী ফাহমিদুল ইসলাম বলেন, আমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেছি কিন্তু আমাদের বিভাগের ফলাফল অন্যান্য বিভাগের তুলনায় খারাপ। মনে হচ্ছে খাতা মূল্যায়নে কড়াকড়ি করা হয়েছে।
ফল নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আজিজুল হক সজিব বলেন, মনে হচ্ছে সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে। প্রথমে খুব নার্ভাস লাগছিল, এখন মনে হচ্ছে সব পরিশ্রম সার্থক।
এবার মাদরাসা বোর্ডে দেশসেরা তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, টঙ্গী শাখা। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এক হাজার ২৭৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন, উত্তীর্ণ হন এক হাজার ২৬০ জন। উত্তীর্ণের হার ৯৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৬৬১ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসানের অভিভাবক মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, আমি আমার সন্তানের ফলাফলে অনেক সন্তুষ্ট। আলহামদুলিল্লাহ, সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমি মনে করি যথাযথ মূল্যায়ন হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. মো. হেফজুর রহমান বলেন, এটি আমাদের দীর্ঘদিনের অধ্যবসায় এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরলস পরিশ্রমের ফল। আধুনিক পাঠক্রম, নিয়মিত মূল্যায়ন এবং কঠোর একাডেমিক তত্ত্বাবধানের কারণেই তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা দেশের মাদরাসা শিক্ষায় উৎকর্ষের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
এদিকে, এবারের ফলাফলে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মো. জিয়াউল কবির দুলু। তিনি বলেন, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বেশি নম্বর এ বছর দেওয়া হয়নি, গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক বিবেচনা ও তদবিরে অযোগ্য ব্যক্তিদের শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে না পারায় ফল এমন হয়েছে। এছাড়া কলেজ ও কোচিং সেন্টারগুলোয় পড়ালেখা হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে সব মিলিয়ে রাজধানীর কলেজগুলোয় আনন্দের আবহই ছিল প্রবল। কোথাও ঢাকঢোল পিটিয়ে, কোথাও করতালিতে, কোথাও ফুলে ও হাসিতে মুখরিত ছিল ক্যাম্পাস। এইচএসসির ফল নিয়ে রাজধানীর কলেজগুলোয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সন্তুষ্টি স্পষ্ট। তবে যারা আশানুরূপ ফল অর্জন করতে পারেনি, তারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আজ শুক্রবার থেকে আবেদন করতে পারবেন।
ধর্ষণ ও নারী অবমাননার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রী সংস্থার সেক্রেটারি ও চাকসুর ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দীপা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
১০ ঘণ্টা আগেড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেছেন, আমাদের সমাজে ঐক্যের বড় অভাব। ঐক্যের অভাবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র এগুতে পারছে না।
২১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ মীর মুগ্ধের নামে দুটি সুপেয় পানির ফিল্টারের স্থাপন করেছে ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে একটির উদ্বোধন করেন শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
১ দিন আগে