কোভিডের সময় নির্মিত জয়ার সিনেমা এবার ওটিটিতে

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ০০

জীবন–প্রাণ–জ্ঞানকে তুচ্ছ করে পৃথিবীতে নেমে এসেছিল কোভিড-১৯। মানুষের মধ্যে জন্মেছিল নতুন বোধ। সেই লকডাউনের সময়, প্রতিটি মানুষের জীবনই যেন একেকটি অসহায়ত্ব এবং নিজেকে নিজের বাঁচিয় রাখার গল্প। এমন কিছু দিন–সময়, জীবন–উপলব্ধি, সম্পর্ক–মনস্তত্ত্ব ফ্রেমে ধরেছেন নির্মাতা পিপলু আর খান। নির্মাণ করেছেন সিনেমা ’জয়া আর শারমিন’। সম্পূর্ণ ভিন্ন সামাজিক স্তরের দুই নারী - একজন অভিনেত্রী ও তাঁর গৃহকর্মী, একটি ঘরের মধ্যে আবদ্ধ। সেই নির্জন আবদ্ধতায় তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক ভঙ্গুর সম্পর্ক, যা এক সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে নিঃসঙ্গতা ও সম্পর্কের পরিবর্তনের ভারে।

‘জয়া আর শারমিন’ সিনেমাটি দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে আসছে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে (২৫ সেপ্টেম্বর)। এতে অভিনয় করেছেন পর্দা ও মঞ্চের দুই গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসান ও মহসিনা আক্তার। অতিথি চরিত্রে আছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী। সিনেমাটির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পিপলু আর খান ও নুসরাত ইসলাম মাটি। সিনেমাটি গত মে মাসে মুক্তি পায় প্রেক্ষাগৃহে।

বিজ্ঞাপন

করোনার সময়ে শ্যুটিং অভিজ্ঞতা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘এই সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা অন্য কাজের সঙ্গে মেলানো যায় না। আমি এই সিনেমার শুটিং শেষ করে বাসায় যেতাম না। কারণ বাসায় মা থাকতেন। দায়িত্বশীলতা থেকেই এটা করতাম আমরা। আমার অন্যান্য কাজে ফিল্ম ইউনিটটা একটু বড় হয়। কিন্তু এই শুটিংয়ে তেমন কিছুই ছিল না। যে কয়জন না হলেই না, তাদের নিয়েই কাজটি করা হয়েছে। ক্যামেরা যে চলছে সেটা মাঝে মাঝে বোঝাই যেত না। সিনেমায় যে ড্রেসগুলো পরতাম, সেগুলো নিজেরাই ধুতাম, রোদে শুকিয়ে আয়রন করতাম। পরার আগে এতবার আয়রন করা হতো, মনে হতো যেন কাপড়গুলো পুড়েই যাবে। জার্ম যেন না থাকে সেজন্য আমরা ওগুলো করতাম।’

‘খুব অনেস্টি নিয়ে বানানো হয়েছে। আমরা আমাদের মতো কাজ করেছি, দেখার পর মানুষ এটার নানান অ্যাঙ্গেল বের করেছে। এ সিনেমায় অভিনয়টা ঠিক অভিনয়ের মতো না। জীবন আমরা যেটা যাপন করেছি, সেটাই ক্যামেরায় দেখা গেছে। ’জয়া আর শারমিন’–এর শুটিং হয়েছে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা বনানীতে। কিন্তু একদম নিশ্চুপ ছিল চারিদিক। কোনো আওয়াজ পেতাম না। আমাদের লাইভ সাউন্ড রেকর্ড হয়েছে। কোনো ডাবিং করতেই হয়নি।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত