বিনোদন ডেস্ক
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে এ বছর বলিউডের ‘মান’ বাঁচিয়েছে একঝাঁক নারী নির্মাতা। বলিউডের বাঘা বাঘা নির্মাতা হিসেবে যাদের নাম নেওয়া হয়, তারা কেউ নতুন সিনেমা আনতে পারেননি। আনলেও পাননি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। বরং বলিউড সিনেমায় যে নারীকে প্রায় গুরুত্বহীন করে রাখা হয়, সেই নারী নির্মাতারাই বিশ্বচলচ্চিত্রের আসরগুলোতে বলিউডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কেউ কেউ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।
মে মাসে ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাস লাইট’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে গ্র্যান্ড প্রিক্স পুরস্কার জেতে। এরপর সিনেমাটি বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব এবং পুরস্কারমঞ্চে আধিপত্য বিস্তার করে। নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল ও টরন্টো ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন এটিকে সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘অল উই ইমাজিন অ্যাস লাইট’ চলচ্চিত্র দুটি গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়নও পেয়েছে, যার একটি সেরা পরিচালকের জন্য।
সিনেমাটি বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমসের মতো বিশ্বসেরা প্ল্যাটফর্মে বছরের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও শুচি তালাটির ‘গার্লস উইল বি গার্লস’ সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে দুটি পুরস্কার জিতেছে। কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ ভারতের নেটফ্লিক্সের শীর্ষ ১০-এ অন্তত দুই মাস ধরে অবস্থান করেছিল। ছবিটি ভারত থেকে অস্কারে পাঠানো হয়েছিল। যদিও চূড়ান্ত বাছাইয়ে সন্ধ্যা সুরি নির্মিত যুক্তরাজ্যের সিনেমা ‘সন্তোষ’ মনোনীত হয়েছে।
বলিউডে পুরুষ নির্মাতাদের পেছনে ফেলতে নারী নির্মাতাদের কী পরিমাণ সংগ্রাম করতে হয়েছে? চলচ্চিত্র সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা মনে করেন, এটি দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফল। তিনি বলেন, ‘বলিউডে নারীদের এই অবস্থান রাতারাতি তৈরি হয়নি। এজন্য তাদের পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ।’
শুচি তালাটি এবং তার সহ-প্রযোজক রিচা চাড্ডা কলেজে থাকার সময় ‘গার্লস উইল বি গার্লস’ সিনেমার কাজ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন। সিনেমাটা নিয়ে তারা বছরের পর বছর কাজ করেছেন। বিবিসিকে শুভ্রা বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ কাকতালীয় যে, ২০২৪ সাল এই সিনেমাগুলোর মুক্তির বছর হয়ে উঠেছে এবং প্রতিটি সিনেমা দর্শক গ্রহণ করেছে।’
তিনি মনে করেন, গুণগত মানের কারণেই সিনেমাগুলো প্রশংসা কুড়িয়েছে। এছাড়া একাকিত্ব, সম্পর্ক, লিঙ্গ ও সহনশীলতার মতো সর্বজনীন বিষয়ের গভীর অনুসন্ধান করা হয়েছে সিনেমাগুলোতে, যা মূলধারার ভারতীয় সিনেমার বাইরে আরেক জগতকে অনুসন্ধান করেছে।
‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ মুম্বাইয়ের তিনজন অভিবাসী নারীর জীবন নিয়ে নির্মিত। একাকিত্ব এবং আন্তঃধর্মীয় সম্পর্কের মতো বিষয় নিয়ে সিনেমার গল্প এগিয়েছে।
শুচি তালাটির ‘গার্লস উইল বি গার্লস’ একটি কিশোরীর বড় হওয়ার গল্প। এটি কিশোরীটির সঙ্গে তার মায়ের জটিল সম্পর্ক নিয়ে তৈরি। কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’-এ পিতৃতন্ত্র, পরিচয় এবং লিঙ্গ পরিচয় ও তার ভূমিকা নিয়ে একটি ব্যঙ্গাত্মক কমেডি ধাঁচের গল্প বলা হয়েছে।
এ বছরের সবচেয়ে বড় চমক ছিল যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা সুরির ‘সন্তোষ’ ছবিটির অস্কারে জমা দেওয়া। এটি সম্পূর্ণরূপে ভারতে শুট করা হয়েছে। সিনেমাবোদ্ধারা এটিকে একটি উত্তেজনাপূর্ণ থ্রিলার হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
নারী নির্মাতার সিনেমাগুলোর সাফল্য ভারতীয় চলচ্চিত্রের বৈচিত্র্য এবং নারীকেন্দ্রিক গল্প বলার গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে। সূত্র : বিবিসি
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে এ বছর বলিউডের ‘মান’ বাঁচিয়েছে একঝাঁক নারী নির্মাতা। বলিউডের বাঘা বাঘা নির্মাতা হিসেবে যাদের নাম নেওয়া হয়, তারা কেউ নতুন সিনেমা আনতে পারেননি। আনলেও পাননি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। বরং বলিউড সিনেমায় যে নারীকে প্রায় গুরুত্বহীন করে রাখা হয়, সেই নারী নির্মাতারাই বিশ্বচলচ্চিত্রের আসরগুলোতে বলিউডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কেউ কেউ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।
মে মাসে ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাস লাইট’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে গ্র্যান্ড প্রিক্স পুরস্কার জেতে। এরপর সিনেমাটি বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব এবং পুরস্কারমঞ্চে আধিপত্য বিস্তার করে। নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস সার্কেল ও টরন্টো ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন এটিকে সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘অল উই ইমাজিন অ্যাস লাইট’ চলচ্চিত্র দুটি গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়নও পেয়েছে, যার একটি সেরা পরিচালকের জন্য।
সিনেমাটি বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমসের মতো বিশ্বসেরা প্ল্যাটফর্মে বছরের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও শুচি তালাটির ‘গার্লস উইল বি গার্লস’ সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে দুটি পুরস্কার জিতেছে। কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ ভারতের নেটফ্লিক্সের শীর্ষ ১০-এ অন্তত দুই মাস ধরে অবস্থান করেছিল। ছবিটি ভারত থেকে অস্কারে পাঠানো হয়েছিল। যদিও চূড়ান্ত বাছাইয়ে সন্ধ্যা সুরি নির্মিত যুক্তরাজ্যের সিনেমা ‘সন্তোষ’ মনোনীত হয়েছে।
বলিউডে পুরুষ নির্মাতাদের পেছনে ফেলতে নারী নির্মাতাদের কী পরিমাণ সংগ্রাম করতে হয়েছে? চলচ্চিত্র সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা মনে করেন, এটি দীর্ঘ প্রতীক্ষার ফল। তিনি বলেন, ‘বলিউডে নারীদের এই অবস্থান রাতারাতি তৈরি হয়নি। এজন্য তাদের পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ।’
শুচি তালাটি এবং তার সহ-প্রযোজক রিচা চাড্ডা কলেজে থাকার সময় ‘গার্লস উইল বি গার্লস’ সিনেমার কাজ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন। সিনেমাটা নিয়ে তারা বছরের পর বছর কাজ করেছেন। বিবিসিকে শুভ্রা বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ কাকতালীয় যে, ২০২৪ সাল এই সিনেমাগুলোর মুক্তির বছর হয়ে উঠেছে এবং প্রতিটি সিনেমা দর্শক গ্রহণ করেছে।’
তিনি মনে করেন, গুণগত মানের কারণেই সিনেমাগুলো প্রশংসা কুড়িয়েছে। এছাড়া একাকিত্ব, সম্পর্ক, লিঙ্গ ও সহনশীলতার মতো সর্বজনীন বিষয়ের গভীর অনুসন্ধান করা হয়েছে সিনেমাগুলোতে, যা মূলধারার ভারতীয় সিনেমার বাইরে আরেক জগতকে অনুসন্ধান করেছে।
‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ মুম্বাইয়ের তিনজন অভিবাসী নারীর জীবন নিয়ে নির্মিত। একাকিত্ব এবং আন্তঃধর্মীয় সম্পর্কের মতো বিষয় নিয়ে সিনেমার গল্প এগিয়েছে।
শুচি তালাটির ‘গার্লস উইল বি গার্লস’ একটি কিশোরীর বড় হওয়ার গল্প। এটি কিশোরীটির সঙ্গে তার মায়ের জটিল সম্পর্ক নিয়ে তৈরি। কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’-এ পিতৃতন্ত্র, পরিচয় এবং লিঙ্গ পরিচয় ও তার ভূমিকা নিয়ে একটি ব্যঙ্গাত্মক কমেডি ধাঁচের গল্প বলা হয়েছে।
এ বছরের সবচেয়ে বড় চমক ছিল যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা সুরির ‘সন্তোষ’ ছবিটির অস্কারে জমা দেওয়া। এটি সম্পূর্ণরূপে ভারতে শুট করা হয়েছে। সিনেমাবোদ্ধারা এটিকে একটি উত্তেজনাপূর্ণ থ্রিলার হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
নারী নির্মাতার সিনেমাগুলোর সাফল্য ভারতীয় চলচ্চিত্রের বৈচিত্র্য এবং নারীকেন্দ্রিক গল্প বলার গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে। সূত্র : বিবিসি
আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকাতে চলছে শিল্পী সদরুল রাফি-এর একক চিত্রপ্রদর্শনী ‘ইন সার্চ অব পিস’। গত ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই প্রদর্শনী চলবে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার ধানমন্ডির গ্যালারি জুম-এ।
১৬ মিনিট আগেদর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করেছেন ওটিটি মাধ্যমেও।
৩৩ মিনিট আগেনতুন নির্মাণ নিয়ে ফিরছেন গুণী নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম । এবারের কাজটি রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের, নাম ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’ । এটি মুক্তি পাবে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে ।
৬ ঘণ্টা আগেশিক্ষকতা পেশা এবং আবৃত্তি, বিতর্ক, বক্তৃতা, অভিনয়ের প্রতি কতটা ভালোবাসা থাকলে, নিজে স্বাধীনমতো কাজ করার জন্য এক জীবনে বিয়েই করলেন না সাভার সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহানা জাহান সিদ্দিকা।
৬ ঘণ্টা আগে