লিমন ইসলাম, জবি
পুরান ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে শিক্ষক সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পুরো কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার হলেও শিক্ষক সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বিশেষ করে গণিত বিভাগে অবস্থাটি চরম—প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন মাত্র দুইজন শিক্ষক।
সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে গণিত বিভাগের দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষক হলেন একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন প্রভাষক। পূর্ণাঙ্গ বিভাগীয় প্রধান না থাকায় সমস্ত একাডেমিক কার্যক্রমের ভার পড়েছে এই দুইজনের ওপর। তারা একাই উচ্চমাধ্যমিক, অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের সব ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক হৃদয় বলেন, ‘বিভাগীয় প্রধান এক বছর আগে অবসরে গেছেন। এরপর থেকে আমাদের ক্লাস প্রায় হয় না বললেই চলে। তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অবস্থা আরো করুণ।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় কোর্স অসম্পূর্ণ রেখেই তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে। এতে করে তারা শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন।
গণিত বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী অধ্যাপক খন্দকার মামুনা বলেন, ‘এই সংকট দীর্ঘদিনের। আমরা দিনে পাঁচ-ছয়টি ক্লাস নিচ্ছি, তাও সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বারবার জানানো হলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।’
শুধু গণিত বিভাগ নয়—কলেজের অন্যান্য বিভাগেও একইরকম সংকট বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এই প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বহুবার লিখিতভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করলেও পদ সৃষ্টির অনুমোদন আসছে না। শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে মানসম্পন্ন শিক্ষা পাবে?’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) মানদণ্ড অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত হওয়া উচিত ২০:১। সেই হিসেবে শুধু গণিত বিভাগেই প্রয়োজন কমপক্ষে ২৫ জন শিক্ষক। অথচ বাস্তবে রয়েছেন মাত্র ২ জন।
‘উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার’ প্রতিশ্রুতি থাকলেও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাস্তবতা তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র উপস্থাপন করে। দীর্ঘদিনের শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ। নীতিনির্ধারকদের উপেক্ষার ফলে এ সংকট ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে—এমন আশঙ্কাই করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে শিক্ষক সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পুরো কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার হলেও শিক্ষক সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বিশেষ করে গণিত বিভাগে অবস্থাটি চরম—প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন মাত্র দুইজন শিক্ষক।
সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে গণিত বিভাগের দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষক হলেন একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন প্রভাষক। পূর্ণাঙ্গ বিভাগীয় প্রধান না থাকায় সমস্ত একাডেমিক কার্যক্রমের ভার পড়েছে এই দুইজনের ওপর। তারা একাই উচ্চমাধ্যমিক, অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের সব ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক হৃদয় বলেন, ‘বিভাগীয় প্রধান এক বছর আগে অবসরে গেছেন। এরপর থেকে আমাদের ক্লাস প্রায় হয় না বললেই চলে। তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের অবস্থা আরো করুণ।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় কোর্স অসম্পূর্ণ রেখেই তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে। এতে করে তারা শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন।
গণিত বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী অধ্যাপক খন্দকার মামুনা বলেন, ‘এই সংকট দীর্ঘদিনের। আমরা দিনে পাঁচ-ছয়টি ক্লাস নিচ্ছি, তাও সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বারবার জানানো হলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।’
শুধু গণিত বিভাগ নয়—কলেজের অন্যান্য বিভাগেও একইরকম সংকট বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এই প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বহুবার লিখিতভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করলেও পদ সৃষ্টির অনুমোদন আসছে না। শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে মানসম্পন্ন শিক্ষা পাবে?’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) মানদণ্ড অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত হওয়া উচিত ২০:১। সেই হিসেবে শুধু গণিত বিভাগেই প্রয়োজন কমপক্ষে ২৫ জন শিক্ষক। অথচ বাস্তবে রয়েছেন মাত্র ২ জন।
‘উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার’ প্রতিশ্রুতি থাকলেও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাস্তবতা তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র উপস্থাপন করে। দীর্ঘদিনের শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তার মেঘ। নীতিনির্ধারকদের উপেক্ষার ফলে এ সংকট ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে—এমন আশঙ্কাই করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে