ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নগরী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

এসএম তাওহীদ
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৪

সবুজে ঘেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। উঁচু-নিচু ভূমির গঠন, স্বচ্ছ পানির লেক আর লাল ইটের দালান বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েছে অনন্য এক সৌন্দর্য। অনেকের মতে, দেশের সবচেয়ে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় এটি। শুধু সৌন্দর্য নয়, দেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অনন্য ভূমিকা রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের। এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের প্রতিটি যৌক্তিক আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। অনেকে একে বলে থাকেন সংস্কৃতির রাজধানী। দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এতে অঞ্চলের উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণ না হওয়ায় পূর্ব পাকিস্তানের নেতারা ও শিক্ষিতজন একটি আবাসিক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি তোলেন। পাকিস্তান সরকার বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবন করে এবং শিক্ষা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া তৈরি করে। ১৯৬৫ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের কার্যকরী সংসদ পরিকল্পনাটি অনুমোদন করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের সালনায় স্থান নির্ধারণ করা হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এরপর ১৯৬৭ সালে ঢাকা থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে সাভারের নতুন স্থান নির্বাচন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় ড. সুরত আলী খানকে।

১৯৬৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে ঢাকার পূর্বনাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখে ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’। ১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন রসায়নবিদ অধ্যাপক মফিজউদ্দিন আহমদ। ১৯৭১ সালের পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন।

১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস শুরু হলেও ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত এটি একটি প্রকল্প আকারে পরিচালিত হয়। প্রকল্পের শুরুতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি বিভাগে (অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান) ১৫০ জন ছাত্র ও ২৩ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছয়টি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগ ও চারটি ইনস্টিটিউট চালু রয়েছে। এত ১৪৩৭৯ জন শিক্ষার্থী (৪৭ থেকে ৫৩ ব্যাচ) ও ৭১৭ শিক্ষক রয়েছেন। তবে শতাধিক শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন।

বাংলাদেশে অনেক বিষয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এর মধ্যে রয়েছে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ নাটক এবং নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআই এস।

স্থাপনা ও ভাস্কর্য

দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনারের অবস্থান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্থপতি রবিউল হুসাইনের তত্ত্বাবধানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক হিসেবে ৫২ ফুট ব্যাস ও ৭১ ফুট উচ্চতায় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বহন করে বজ্রদীপ্ত কণ্ঠে দাঁড়িয়ে আছে ‘অমর একুশে’। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ভাষা আন্দোলনে নিহত হয়েছেন তাদের বীর সন্তান। সেই বীর সন্তানের লাশ বুকে জড়িয়ে রেখেছেন মা। পাশেই ছেলেহারা বাবা হাত উঁচিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। এভাবে হায়েনাদের গুলিতে নিহত ছেলের লাশ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা বাবা-মায়ের করুণ মুহূর্তটি ফুটে উঠেছে ‘অমর একুশ’ ভাস্কর্যে।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করে দাঁড়িয়ে আছে অকুতোভয় ‘সংশপ্তক’। এই ভাস্কর্যে এক পা ও এক হাত হারিয়েও এক মুক্তিযোদ্ধা বিজয়ের হাতিয়ার ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও চেতনাকে স্মরণ রাখতেই নির্মাণ করা হয় ‘সংশপ্তক’। যুদ্ধে পরাজয় ও নিজের নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও লড়াই করে যে অকুতোভয় বীর, সেই সংশপ্তক।

জাবিতই রয়েছে প্রাচীন গ্রিসের নাট্যমঞ্চের আদলে তৈরি ‘মুক্তমঞ্চ’। বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশির ভাগ সাংস্কৃতিক আয়োজন হয় এই মুক্তমঞ্চকে ঘিরে। আশির দশকে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন নাট্যচর্চায় আধুনিক নির্মাণের ছাপ রাখতে চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার, নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু এবং অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করেন মঞ্চের ধরন। প্রাচীন গ্রিক এরিনার আদলে খোলা পরিবেশে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়, যার নকশা করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও স্থপতি আলমগীর কবির। প্রকৃতির সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নিচু জায়গায় নির্মিত মঞ্চটি লাল সিরামিক ইট দিয়ে গড়া। ১৪ সারিতে প্রায় দেড় হাজার দর্শক অনায়াসে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় গ্রন্থাগার। পাঁচতলাবিশিষ্ট, আড়াই লাখ বর্গমিটারের এই গ্রন্থাগারে একসঙ্গে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থী পড়তে পারবেন। এছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ২১টি আবাসিক হল ও একটি অডিটোরিয়াম।

জুলাই অভ্যুত্থানে জাবি

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে প্রথম আন্দোলন শুরু করে জাবি। ১৫ জুলাই প্রথম প্রহরে ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করার মাধ্যমে প্রথম ছাত্রলীগমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে। সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ও কারফিউ চলাকালে আন্দোলন চালিয়ে গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ২০ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ অদম্য চব্বিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাইদ হাসান এর নকশা করেন। তিনটি আগুনের শিখার আদলে তৈরি এই ভাস্কর্য। স্মৃতিস্তম্ভের নকশার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিনটি অগ্নিশিখা দিয়ে তৈরি স্মৃতিস্তম্ভ, যা ক্রমান্বয়ে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতীক। মাঝের শিখাকে কেন্দ্র করে অন্য দুই শিখা ২৪ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো, যা ২০২৪ সালকে স্মরণীয় করে।

আন্দোলন চলাকালে ১ আগস্ট নিজের কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে সারা দেশে সাড়া ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও তৎকালীন অধ্যাপক শামীমা সুলতানা।

সংস্কৃতিচর্চায় জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় সংস্কৃতির রাজধানী। দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের যাত্রা শুরু হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভাগের প্রথম সভাপতি ছিলেন নাট্যকার সেলিম আল দীন। মঞ্চ নাটকের জন্য দেশজুড়ে খ্যাতি আছে জাবির। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি নিজস্ব সংস্কৃতি হলো শিক্ষাসমাপনী অনুষ্ঠানে রাজা-রানি নির্বাচন। বিদায়ি শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের মধ্য থেকে রাজা-রানি নির্বাচন করেন। আর তাদের ঘিরে আয়োজিত হয় নানা অনুষ্ঠান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জন্ম দিয়েছে অসংখ্য গুণী অভিনেতা। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রয়াত চলচ্চিত্র অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি, আজ রবিবার নাটকের নাম জনপ্রিয় চরিত্র মতি মিয়াখ্যাত ফারুক আহমেদ ও অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম।

পাখি ও প্রজাপতি মেলা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছরই আয়োজিত হয় পাখি ও প্রজাপতি মেলা। প্রতিবছর শীতের মৌসুমে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটে জাবিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি লেক ভরে ওঠে পাখির কলকাকলিতে। এ সময় পরিযায়ী পাখি দেখতে ভিড় জমায় হাজার হাজার পর্যটক। প্রজাপতি মেলার শুরু হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে প্রজাপতি পার্ক।

হরেক রকম নামের স্থান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বেশ কিছু স্থানের বিচিত্র সব নাম রয়েছে, যা নিয়ে রয়েছে অনেক ধরনের গল্প। এসব নাম দপ্তরে লিপিবদ্ধ নয়। তবে স্থানের সঙ্গে নামের যৌক্তিকতা রয়েছে বেশ। সুইজারল্যান্ড, মনপুরা, টারজান পয়েন্ট, সিডনি ফিল্ড, লন্ডন ব্রিজ, আব্বাস মহাসাগর এর মধ্যে অন্যতম। নামের সঙ্গে কিছু জায়গার মিল থাকলেও অনেক জায়গার নেই কোনো মিল। তবে এই জায়গাগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে গল্প-আড্ডার জন্য আদর্শ।

ছাত্র সংসদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরই থাকেন বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর তালিকায়। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)। প্রতিষ্ঠার বছরই প্রথম নির্বাচন হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি নির্বাচিত ছাত্রসংগঠন। জাকসুর মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা করা, তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করা। এখন পর্যন্ত নয়বার জাকসু নির্বাচন হয়েছে। দশম জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচন হবে।

উপাচার্যের বক্তব্য

গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে উপাচার্য হয়েছেন তিনি। বিগত সরকারের আমলে সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা ও সম্ভাবনা নিয়ে তিনি আমার দেশকে বলেন, একটি জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। বাইরে থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি যেমনটা ভেবেছিলাম, বাস্তবে অবস্থা তার চেয়ে খারাপ ছিল। নতুন বাংলাদেশে রাষ্ট্র সংস্কার এবং কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের এক বিরল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার কাজে জাতির বাতিঘর হতে পারে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মেধা ও জ্ঞান-অন্বেষণের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সমাজকে বদলে দিতে পারে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবার অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই আঙ্গিকেই গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত