রাবি প্রতিনিধি
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। একইসাথে সংহতি জানিয়ে ৩০টির অধিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন।
সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জনসংযোগ দপ্তরের প্রকাশক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদারের সঞ্চালনায় কলা অনুষদের সাবেক ডীন ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলুল হক বলেন, যখন ১৯১৭ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে ইহুদিদের জায়গা দেয়া হয়। ছোট রাষ্ট্র ইজরায়েল৷ তারা আজ গাজাবাসীর উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। ওআইসি, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ, মুসলিম উম্মাহ- এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করা যাবে না। তাই আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে 'আর নয় প্রতিবাদ এবার হোক প্রতিশোধ'। এই প্রতিশোধ হবে অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, গাজাবাসীর কী অপরাধ? কেন তাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে? হত্যা করা হচ্ছ। পৃথিবীর কোন যুদ্ধ নীতিতে শিশু, অসহায় নারী, বৃদ্ধদের উপর হামলা করার নিয়ম নেই। পৃথিবীর এই সকল নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এটা কি এজন্যই যে তারা মুসলমান। আজ বিশ্ব বিবেক, জাতিসংঘ, ওআইসি কোথায়? এগুলো হওয়ার কারণ, আজ মুসলিম সম্প্রদায় বিভক্ত। তাই মুসলিমদের হত্যা করার সাহস পাচ্ছে। মুসলিম বিশ্ব এক হতে না পারলে একে একে গাজাবাসী, মিশর, জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, ইরান একে একে সবাই ধ্বংস হবে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে 'ডেভিল ট্রাম্প' সম্বোধন করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান (শিক্ষা) বলেন, আমরা দেখছি যে এই ডেভিল ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এই নিপীড়নের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি বলতে চাই ইজরায়েলের দোসর আমেরিকার বিরুদ্ধেই স্যাংশন দেওয়া উচিত। আমরা আজ থেকে কোনো আমেরিকান প্রডাক্ট ব্যবহার করবো না। এটা যদি আমরা না করতে পারি তারা এ গণহত্যা কোনোদিন থামাবে না। আমি মনে করি আমাদের নতুন করে সুযোগ এসেছে এসব ডেভিলদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। আমাদের আর পিছু হটবার সুযোগ নেই।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যখন কোনো নিপীড়ন-নির্যাতন চলে তখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। এটা শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়। কারণ এখানে যারা থাকে তারা বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়। সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলতে চাই যদি তোমরা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে চাও তাহলে ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। জ্ঞানের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে তাদের প্রতিহত করতে হবে। জাতিসংঘ-ওআইছি কাজে আসবে না। তোমরা নিজেদের যোগ্য করে তুলো যেন আমরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখে যেতে পারি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও আরবি বিভাগের অধ্যপক ইফতেখারুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম, ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মোছা. ইসমত আরা বেগম, এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আলিম, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদুল হাসান খান মুক্তা। এছাড়াও আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আবৃদুল মালেক, দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মাছুম বিল্লাহ। এসময় সমাবেশে দুই হাজারের বেশি লোক অংশ নেয়।
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর চলমান বর্বরতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। একইসাথে সংহতি জানিয়ে ৩০টির অধিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন।
সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জনসংযোগ দপ্তরের প্রকাশক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদারের সঞ্চালনায় কলা অনুষদের সাবেক ডীন ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলুল হক বলেন, যখন ১৯১৭ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে ইহুদিদের জায়গা দেয়া হয়। ছোট রাষ্ট্র ইজরায়েল৷ তারা আজ গাজাবাসীর উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। ওআইসি, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ, মুসলিম উম্মাহ- এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করা যাবে না। তাই আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে 'আর নয় প্রতিবাদ এবার হোক প্রতিশোধ'। এই প্রতিশোধ হবে অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, গাজাবাসীর কী অপরাধ? কেন তাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে? হত্যা করা হচ্ছ। পৃথিবীর কোন যুদ্ধ নীতিতে শিশু, অসহায় নারী, বৃদ্ধদের উপর হামলা করার নিয়ম নেই। পৃথিবীর এই সকল নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এটা কি এজন্যই যে তারা মুসলমান। আজ বিশ্ব বিবেক, জাতিসংঘ, ওআইসি কোথায়? এগুলো হওয়ার কারণ, আজ মুসলিম সম্প্রদায় বিভক্ত। তাই মুসলিমদের হত্যা করার সাহস পাচ্ছে। মুসলিম বিশ্ব এক হতে না পারলে একে একে গাজাবাসী, মিশর, জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, ইরান একে একে সবাই ধ্বংস হবে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে 'ডেভিল ট্রাম্প' সম্বোধন করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান (শিক্ষা) বলেন, আমরা দেখছি যে এই ডেভিল ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এই নিপীড়নের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি বলতে চাই ইজরায়েলের দোসর আমেরিকার বিরুদ্ধেই স্যাংশন দেওয়া উচিত। আমরা আজ থেকে কোনো আমেরিকান প্রডাক্ট ব্যবহার করবো না। এটা যদি আমরা না করতে পারি তারা এ গণহত্যা কোনোদিন থামাবে না। আমি মনে করি আমাদের নতুন করে সুযোগ এসেছে এসব ডেভিলদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। আমাদের আর পিছু হটবার সুযোগ নেই।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যখন কোনো নিপীড়ন-নির্যাতন চলে তখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। এটা শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়। কারণ এখানে যারা থাকে তারা বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়। সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলতে চাই যদি তোমরা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে চাও তাহলে ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। জ্ঞানের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে তাদের প্রতিহত করতে হবে। জাতিসংঘ-ওআইছি কাজে আসবে না। তোমরা নিজেদের যোগ্য করে তুলো যেন আমরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখে যেতে পারি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও আরবি বিভাগের অধ্যপক ইফতেখারুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম, ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মোছা. ইসমত আরা বেগম, এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আলিম, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদুল হাসান খান মুক্তা। এছাড়াও আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আবৃদুল মালেক, দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মাছুম বিল্লাহ। এসময় সমাবেশে দুই হাজারের বেশি লোক অংশ নেয়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৫ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৫ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৭ ঘণ্টা আগে