স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) শিক্ষা ক্যাডারের অধীন স্বতন্ত্র বিভাগগুলোতে অন্যান্য বিভাগের অযৌক্তিক অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট মৌলিক বিভাগের স্বাতন্ত্র্য, মর্যাদা ও পেশাগত পরিসরে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন- “সাবজেক্ট যার, ক্যাডার তার”, “স্বজনপ্রীতির আস্তানা, ভেঙে দাও”, “শিক্ষা নিয়ে তাল বাহানা, চলবে না”, “শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না”, “মানি না, মানবো না”।
সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল জ্যোতি বলেন, “আমরা কিছুদিন আগে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আজও আমাদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়েছে। কয়েকটি বিষয়ের কোর্স করে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা কিভাবে বাংলা পড়াবে? পিএসসির প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেবো না। আমাদের অধিকারের জন্য লড়ে যাবো।”
বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “অভিভাবকদের উচিত ঠিক করা, তারা সন্তানদের কাদের হাতে তুলে দেবেন- যারা বাংলা বিভাগে চার-পাঁচ বছর পড়েছে, নাকি দুই-তিনটি কোর্স করে আসা অন্যদের হাতে? আমরা কারো অধিকার কেড়ে নিইনি, তাহলে আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে কেন? আমরা দ্রুত এর যৌক্তিক সমাধান চাই।”
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কয়েকটি বিভাগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে পিএসসি শিক্ষা ক্যাডারের বিদ্যমান বিষয়গুলোর সঙ্গে ওই বিভাগগুলোকে মার্জ করার চেষ্টা করছে। এতে শতবর্ষের ঐতিহ্য, নিজস্ব পাঠক্রম, গবেষণা ক্ষেত্র এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মে গড়ে ওঠা একাডেমিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা মনে করছেন।
এর আগের দিন রবিবার (১০ আগস্ট) বিকালে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখানে তারা স্লোগান দেন- “ওয়ান টু থ্রি ফর, নেপোটিজম নো মোর”, “স্বতন্ত্র শিক্ষা ক্যাডার, রক্ষা করো!”, “পিএসসির প্রহসন, মানি না! মানবো না!”, “উপদেষ্টাদের স্বজনপ্রীতি, মানি না! মানবো না!”।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী স্মৃতি রানী বর্মণ বলেন, “শিক্ষা ক্যাডারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্য নির্ধারিত আসনগুলো আমাদের অধিকার। এই অধিকারে অন্য বিভাগের অবৈধ হস্তক্ষেপ বৈষম্যমূলক। দু’দিন পরপর আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।”
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জনী সরকার বলেন, “একটি বিষয়ের মৌলিক বিষয়সমূহ না পড়ে গুটি কয়েক কোর্স করে ইকুইভ্যালেন্ট হওয়া যায় না। পিএসসি যে ‘ইকুইভ্যালেন্ট’ শব্দটি ব্যবহার করছে, তার কোনো সঠিক মানদণ্ড নেই। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।”
শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, তাদের একমাত্র দাবি- “সাবজেক্ট যার, ক্যাডার তার”, এবং দাবি পূরণ না হলে তারা আন্দোলন আরও বিস্তৃত করবেন।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) শিক্ষা ক্যাডারের অধীন স্বতন্ত্র বিভাগগুলোতে অন্যান্য বিভাগের অযৌক্তিক অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট মৌলিক বিভাগের স্বাতন্ত্র্য, মর্যাদা ও পেশাগত পরিসরে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন- “সাবজেক্ট যার, ক্যাডার তার”, “স্বজনপ্রীতির আস্তানা, ভেঙে দাও”, “শিক্ষা নিয়ে তাল বাহানা, চলবে না”, “শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না”, “মানি না, মানবো না”।
সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল জ্যোতি বলেন, “আমরা কিছুদিন আগে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আজও আমাদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়েছে। কয়েকটি বিষয়ের কোর্স করে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা কিভাবে বাংলা পড়াবে? পিএসসির প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেবো না। আমাদের অধিকারের জন্য লড়ে যাবো।”
বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “অভিভাবকদের উচিত ঠিক করা, তারা সন্তানদের কাদের হাতে তুলে দেবেন- যারা বাংলা বিভাগে চার-পাঁচ বছর পড়েছে, নাকি দুই-তিনটি কোর্স করে আসা অন্যদের হাতে? আমরা কারো অধিকার কেড়ে নিইনি, তাহলে আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে কেন? আমরা দ্রুত এর যৌক্তিক সমাধান চাই।”
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কয়েকটি বিভাগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে পিএসসি শিক্ষা ক্যাডারের বিদ্যমান বিষয়গুলোর সঙ্গে ওই বিভাগগুলোকে মার্জ করার চেষ্টা করছে। এতে শতবর্ষের ঐতিহ্য, নিজস্ব পাঠক্রম, গবেষণা ক্ষেত্র এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মে গড়ে ওঠা একাডেমিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা মনে করছেন।
এর আগের দিন রবিবার (১০ আগস্ট) বিকালে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখানে তারা স্লোগান দেন- “ওয়ান টু থ্রি ফর, নেপোটিজম নো মোর”, “স্বতন্ত্র শিক্ষা ক্যাডার, রক্ষা করো!”, “পিএসসির প্রহসন, মানি না! মানবো না!”, “উপদেষ্টাদের স্বজনপ্রীতি, মানি না! মানবো না!”।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী স্মৃতি রানী বর্মণ বলেন, “শিক্ষা ক্যাডারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্য নির্ধারিত আসনগুলো আমাদের অধিকার। এই অধিকারে অন্য বিভাগের অবৈধ হস্তক্ষেপ বৈষম্যমূলক। দু’দিন পরপর আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।”
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জনী সরকার বলেন, “একটি বিষয়ের মৌলিক বিষয়সমূহ না পড়ে গুটি কয়েক কোর্স করে ইকুইভ্যালেন্ট হওয়া যায় না। পিএসসি যে ‘ইকুইভ্যালেন্ট’ শব্দটি ব্যবহার করছে, তার কোনো সঠিক মানদণ্ড নেই। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।”
শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, তাদের একমাত্র দাবি- “সাবজেক্ট যার, ক্যাডার তার”, এবং দাবি পূরণ না হলে তারা আন্দোলন আরও বিস্তৃত করবেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
২ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
২ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
২ ঘণ্টা আগে