হিজাব পড়ায় ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ

ঢাবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ০৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে হিজাব পরিহিত এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্তকে দ্রুত শনাক্ত এবং কঠোর শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রীসংস্থা। অন্যদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে প্রক্টরিয়াল টিম।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাফিসা সামিহা মায়িশা- মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি গত ২৯ অক্টোবর আনুমানিক দুপুর ৩টায় প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সংলগ্ন রাস্তায় হেনস্তার শিকার হন বলে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগে জানান।

অভিযোগে বলা হয়, একজন অজ্ঞাতপরিচয়ের নারী উদ্দেশ্যমূলক-ভাবে তার দিকে থুতু নিক্ষেপ করেন, অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে অপমানিত করেন এবং এক পর্যায়ে জোরপূর্বক হাত ধরে শারীরিক হ্যারেজমেন্ট করেন। ভুক্তভোগী সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশ করার পর ভিকটিম ব্লেইমিং-এর শিকার হন বলে জানান।

এই জঘন্য আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। ডাকসু'র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো: ইকবাল হায়দার স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে ঘটনাটিকে হিজাব-বিদ্বেষপ্রসূত বা 'Hijabophobic' আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ডাকসু দ্রুত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অপরাধীকে শনাক্ত করা, অপরাধী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ হলে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং বহিরাগত হলে মামলা দায়ের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়।

একই সাথে, ক্যাম্পাসে সকল নারী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রক্টরিয়াল টিমের টহল বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।

ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজয়ে বাংলার পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রী-সংস্থা।

ছাত্রীসংস্থার ঢাবি শাখার সভানেত্রী সাবিকুননাহার তামান্না প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, হিজাব বা নিকাব পরার কারণে কেন একজন শিক্ষার্থীকে 'পাকিস্তানি' বলা হবে?

তিনি অভিযোগ করেন, ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি এবং ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা না থাকার বিষয়টিও উদ্বেগজনক। তামান্না দ্রুত অপরাধীকে সামনে এনে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য ঢাবি প্রশাসনকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

তবে অভিযোগ পাওয়ার পরই প্রশাসন তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও ডাকসুর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছেন।

সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ কোবাদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটিতে ড. এ. কে. এম নুর আলম সিদ্দিকী এবং জনাব আতিয়া সানজিদা শর্মী সহকারী প্রক্টর হিসেবে সদস্য রয়েছেন। কমিটিকে আগামী ০৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

কর্তৃপক্ষের ঘুম না ভাঙায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া আতঙ্কে সীতাকুণ্ড পৌরবাসী

ঢাকায় জনতার হাতে আটক যশোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি

জকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া আউট, ফাইনালে ভারতের মেয়েরা

ভারত ভাগ হয়নি, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত দুই স্বাধীন দেশ জন্মেছিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত