প্রতিনিধি, জবি
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত ও ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন বিশ্ব রাজনীতিকে গভীরভাবে নাড়া দিচ্ছে। ইরান বনাম ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি এবং এর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) একাডেমিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার উপাচার্য কনফারেন্স রুমে ‘ইরান বনাম ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধ পরবর্তী: আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিএসএসআরসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভেদ ভুলে অভ্যন্তরীণ ঐক্যের দিকে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তঃসম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব দূর না হলে বিশ্বমঞ্চে মুসলিম বিশ্বের অবস্থান দুর্বলই থেকে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো একত্রে কাজ করলে অনেক জটিল সংকটেরই সমাধান সম্ভব।”
আলোচনার প্রধান বক্তা ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, “ইরানকে ‘বিপদ’ হিসেবে তুলে ধরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক অবস্থান টিকিয়ে রাখার কৌশল নিচ্ছেন, যা পুরো অঞ্চলকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
তিনি যুক্তি দেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন-ইসরায়েলি স্বার্থবাহী কৌশল তেল সম্পদ ও ভূরাজনৈতিক আধিপত্যকেই সামনে রাখছে। এ প্রেক্ষাপটে ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবাননের চলমান সংঘাতের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। রাশিয়া ও চীনের ভূমিকাকে ‘বিকল্প শক্তি সমীকরণ’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করেন, “এই সংঘাত যুদ্ধের রূপ নিলে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বব্যবস্থা ও অর্থনীতিই প্রভাবিত হবে।”
প্যানেল আলোচনায় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, “ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকেই ইসরায়েলি আগ্রাসনের সূচনা হয়েছে। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে। ‘ইসরাইলি ফোবিয়া’ দিয়ে মুসলমানদের আর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম বলেন, “গণমাধ্যম যুদ্ধের বয়ান নির্মাণে বড় ভূমিকা রাখে, যা প্রায়শই বিশেষ এজেন্ডা দ্বারা প্রভাবিত হয়। আরব বিশ্বের অভ্যন্তরীণ বিভেদ অগ্রাহ্য করে শান্তি সম্ভব নয়।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন জিএসএসআরসি উপ-পরিচালক মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর এবং পুরো আলোচনার মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপ-পরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান।
আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত ও ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন বিশ্ব রাজনীতিকে গভীরভাবে নাড়া দিচ্ছে। ইরান বনাম ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি এবং এর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) একাডেমিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার উপাচার্য কনফারেন্স রুমে ‘ইরান বনাম ইসরায়েল-মার্কিন যুদ্ধ পরবর্তী: আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল সাউথ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (জিএসএসআরসি)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিএসএসআরসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “মুসলিম সম্প্রদায়কে বিভেদ ভুলে অভ্যন্তরীণ ঐক্যের দিকে এগিয়ে আসতে হবে। আন্তঃসম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব দূর না হলে বিশ্বমঞ্চে মুসলিম বিশ্বের অবস্থান দুর্বলই থেকে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো একত্রে কাজ করলে অনেক জটিল সংকটেরই সমাধান সম্ভব।”
আলোচনার প্রধান বক্তা ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, “ইরানকে ‘বিপদ’ হিসেবে তুলে ধরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক অবস্থান টিকিয়ে রাখার কৌশল নিচ্ছেন, যা পুরো অঞ্চলকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
তিনি যুক্তি দেন, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন-ইসরায়েলি স্বার্থবাহী কৌশল তেল সম্পদ ও ভূরাজনৈতিক আধিপত্যকেই সামনে রাখছে। এ প্রেক্ষাপটে ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবাননের চলমান সংঘাতের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। রাশিয়া ও চীনের ভূমিকাকে ‘বিকল্প শক্তি সমীকরণ’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করেন, “এই সংঘাত যুদ্ধের রূপ নিলে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বব্যবস্থা ও অর্থনীতিই প্রভাবিত হবে।”
প্যানেল আলোচনায় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, “ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকেই ইসরায়েলি আগ্রাসনের সূচনা হয়েছে। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে। ‘ইসরাইলি ফোবিয়া’ দিয়ে মুসলমানদের আর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম বলেন, “গণমাধ্যম যুদ্ধের বয়ান নির্মাণে বড় ভূমিকা রাখে, যা প্রায়শই বিশেষ এজেন্ডা দ্বারা প্রভাবিত হয়। আরব বিশ্বের অভ্যন্তরীণ বিভেদ অগ্রাহ্য করে শান্তি সম্ভব নয়।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন জিএসএসআরসি উপ-পরিচালক মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর এবং পুরো আলোচনার মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপ-পরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান।
আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
১৫ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
২ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগে