ডাকসু নির্বাচন: ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা ছাত্রদলের

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ৪৭
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সর্বপ্রথম নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে ভিপি (সভাপতি) পদপ্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান দলের ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

এই ইশতেহারকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণ, একাডেমিক উৎকর্ষতা, নারীর নিরাপত্তা এবং ক্যাম্পাস আধুনিকীকরণের দিকে একটি ‘রূপান্তরমূলক পরিকল্পনা’ হিসেবে উল্লেখ করেন ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে আবিদুল ইসলাম বলেন—‘আমরা শূন্য প্রতিশ্রুতি দিই না। আমাদের প্রতিটি দফা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন সমস্যা এবং ভবিষ্যৎ স্বপ্নের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। কার্যকর ডাকসু প্রশাসন গঠন করেই আমরা এগুলো বাস্তবায়ন করবো।’

১০ দফা ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে-

নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদাকে অগ্রাধিকার

ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ইশতেহারে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ওপর। এখানে পোশাকের স্বাধীনতা রক্ষা, হয়রানি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা এবং সর্বোচ্চ সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ভিপি প্রার্থী আবিদ বলেন—
‘প্রতিটি নারী শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রাখে। আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করবো, যেখানে ভয় নয়, বরং সম্মান ও স্বাধীনতা থাকবে।’

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমা ও শাটল সার্ভিস

ইশতেহারের অন্যতম আকর্ষণীয় দফা হলো শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা চালু করা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাতায়াত সহজ করতে ব্যাটারি চালিত শাটল সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদল প্যানেলের দাবি, এই উদ্যোগ পরিবহনখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে পরিবেশ দূষণও কমাবে।

একাডেমিক ও গবেষণায় সংস্কার

ছাত্রদলের ১০ দফায় একাডেমিক খাতের সংস্কারের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—কারিকুলাম আধুনিকীকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, গবেষণার মানোন্নয়ন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষায় সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ

ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে ছাত্রদল প্যানেল সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণমূলক উদ্যোগ এবং প্রাণীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার পরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও আন্তর্জাতিক সংযোগ

শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্ত করতে সংস্কৃতি ও ক্রীড়া কার্যক্রমের বিস্তার ইশতেহারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সংযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক অবস্থান উন্নত হয়।

ইশতেহার ঘোষণা করে আবিদুল ইসলাম খান বলেন,—‘আমরা পরিবর্তনের এজেন্ট। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতাকে স্মরণীয় করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সমস্যা বাস্তবসম্মত সমাধানের মাধ্যমে সমাধান করা। আমরা প্রতিশ্রুতি নয়, পরিবর্তনে বিশ্বাসী।’

পুরো ইশতেহার নিচে দেখুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত