প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের গুঞ্জন

ব্রাকসুর ভোট বানচালের নয়া কৌশল নিয়ে শঙ্কা

ইমন আলী, বেরোবি
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ২১

বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রথম ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ এসেছে। ১৭ বছর পর শিক্ষার্থীরা বহুল প্রত্যাশিত কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন (ব্রাকসু) ও হল সংসদে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন।

কিন্তু একটি মহলের পরোক্ষ নির্বাচনবিরোধী অবস্থান, নানা অযৌক্তিক দাবির কারণে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়। নতুন করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ফেরদৌস রহমানের পদত্যাগের গুঞ্জনে হতাশা প্রকাশ করছেন ছাত্রছাত্রীরা। অনেকে বিষয়টিকে নির্বাচন পেছানোর নয়া কৌশল হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

গত ৪ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৬তম সিন্ডিকেট সভায় বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌসকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়ার তিন ঘণ্টা পর বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দায়িত্ব গ্রহণে অনাগ্রহ জানান তিনি। তার ভাষ্য, তার মতামত না নিয়েই প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক ফেরদৌস দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাবস্থায় বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। যদিও এ বিষয়ে তেমন কোনো প্রমাণ তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। তবে বেরোবিতে আসার পর ভোল পাল্টে ফেলেন তিনি। যোগ দেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠনে। এমনকি ২০২০ সালে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে তিনি আওয়ামীপন্থি প্রগতিশীল প্যানেল থেকে সহসভাপতির পদে নির্বাচন করেন এবং জয়লাভও করেন।

দায়িত্ব দেওয়ার পাঁচ দিনেও কার্যক্রম শুরু করেননি অধ্যাপক ফেরদৌস। আবার লিখিতভাবে তিনি পদত্যাগও করেননি। এমতাবস্থায় তার ভূমিকায় নানা প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে তাদের দেখা দিয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ। অনেকেই মনে করছেন, বারবার জটিলতা তৈরি করে নির্বাচনি প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, এটা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ঠেকানোর কূটকৌশল হতে পারে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ বাড়তে পারে বলে অনেকেই বলছেন। এতে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যেকোনো মূল্যে সব জটিলতা কাটিয়ে নভেম্বরের মধ্যেই ব্রাকসু নির্বাচন চাচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এসএম আসিকুর রহমান বলেন, ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষা এবং আন্দোলনের ফসল এই ছাত্র সংসদ। ব্রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের গুঞ্জন উঠলে ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি বিষয়টি সত্যি নয়।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত