হাসান হাফিজ
প্রাচীনকালে সব ধরনের প্রাণী একসঙ্গে থাকত। যার যার গোষ্ঠীর একজন দলনেতা থাকত। দলের সবার ভালোমন্দ দেখাশোনা করার দায়িত্ব পালন করত সেই দলনেতা বা সর্দার। একবার হয়েছে কী, বানর কিছু টাকা ধার করল সিংহের কাছ থেকে। সেই থেকে কাহিনির শুরু। কত যে গণ্ডগোল-ঝুটঝামেলা হলো এই ধার করা নিয়ে, তার হিসাব কেউই দিতে পারবে না।
সিংহ তার টাকা ফেরত চায়, কিন্তু পায় না। নানা অজুহাতে বানর পিছলে যায়। ‘দেই, দিচ্ছি’ করে করে অনেকটা সময় কেটে গেল। সিংহ গেল চটে। বাঁদরের এই বাঁদরামি তার কাছে অসহ্য হয়ে উঠেছে। সিংহ সোজা নালিশ ঠুকে দিল বানর দলের নেতার কাছে। সেই দলনেতা কোনো বানর নয়। সে হচ্ছে একটি শেয়াল। বড় চালাক প্রাণী।
সিংহ তার আরজি পেশ করে—‘দেখো হে শিয়াল ভায়া, সুবিচারের জন্যে তোমার কাছে ছুটে এলাম। তোমার দলের বানর অনেক টাকা আমার কাছ থেকে ধার নিয়েছে। আমি নিজেও দেনাদার। বানর আমার পাওনা টাকা দিচ্ছে না। মাসের পর মাস ধরে ঘোরাচ্ছে আমাকে। উঁহু বাবা, মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভোলার পাত্র আমি নই। তুমি একটা বিহিত করো।’
শেয়াল নেতা মুখ গম্ভীর করে শুনছে সব কথা। পাওনাদার সিংহ বলে যেতে থাকে—‘দেখো বাপু শেয়াল, জ্ঞানী লোক হিসেবে এই বনে তোমার সুনাম আছে। তুমি ন্যায্যবিচার করবে, এটাই আমার প্রত্যাশা। বানরের ভাবগতিক বাপু মোটেই সুবিধের ঠেকছে না। এই টাকা সে আদৌ ফেরত দেবে বলে মনে হচ্ছে না। তুমি এর একটা ব্যবস্থা না করলে চলছে না। আইন আমি নিজের হাতে তুলে নিতে চাচ্ছি না। সেই কারণেই তোমার কাছে ছুটে আসা। নাও, সব তো শুনলে তুমি। এখন কী করবে করো।’
যথানিয়মে বিচারসভা বসল একদিন। সব পশু-পাখি এসে হাজির হয়েছে ওই সালিশে। গরু, ভেড়া, ছাগল, ইঁদুর, হায়েনা, মহিষ—আরো আরো সব প্রাণী। বড় একটা গাছের নিচে সবাই জড়ো হয়েছে। বানর বনাম সিংহের মামলা। বড়ই চাঞ্চল্যকর ব্যাপার। কী রায় হয় না হয়, সেটা জানার জন্য সবাই উদগ্রীব। অধীর আগ্রহে তারা অপেক্ষা করছে বানর কী শাস্তি পায়, সেটা দেখার জন্য। শেষমেশ প্রমাণিত হলো বানর দোষ করেছে। তার এই অপরাধ খুবই গুরুতর। রায় হলো বানর যদি টাকা শোধ না করে, তা হলে সিংহ তাকে খেয়ে ফেলতে পারবে। সিংহ খুবই তেজি প্রাণী। তার গায়ে অনেক জোর। দরকারমতো সে প্রচণ্ড হিংস্র হয়ে উঠতে পারে। এই ভয়টা সব প্রাণীর মধ্যেই আছে। যে রায় হলো, উপস্থিত সবাই তা সমর্থন করল। কারো দ্বিমত নেই। বানর অপরাধ করেছে। গুরুতর অন্যায় করেছে সে। সুতরাং শাস্তি তার প্রাপ্য। সবাই চেঁচিয়ে তাদের সমর্থন জানাল। দলনেতা শেয়াল মনে মনে এমনটা চাইছিল না। সিংহ বানরকে খেয়ে ফেলবে, এটা তার পছন্দ নয়। কিন্তু মুখ ফুটে সে কথা বলা যাচ্ছে না। জনমত সিংহের পক্ষে। একজনও বিরোধিতা করেনি রায়ের।
শেয়াল গম্ভীর কণ্ঠে বলে, ‘ওহে বানর, তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ রকম শাস্তি তোমার পাওনা ছিল। কাউকে খেয়ে ফেলার আগে এই যে গাছটা, তার দিকে তাকিয়ে দেখো তুমি। গাছটা তোমার পেছনেই আছে। এখানে উপস্থিত সবাই একমত যে, সিংহ তোমাকে খেয়ে ফেলবে। মরার আগে তুমি এই গাছটাকে প্রাণভরে দেখে নাও।’
বানর মোটেও বোকা নয়। দলনেতার কথার মর্ম সে মুহূর্তেই বুঝে ফেলে। ঝট করে লাফ দিয়ে সে উঠে যায় গাছটির মগডালে। সিংহ গাছে উঠতে পারে না। সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। অন্যান্য প্রাণী বিচারসভা ছেড়ে যার যার কাজে চলে যায়। গাছের কারণে বানর শেষ
প্রাচীনকালে সব ধরনের প্রাণী একসঙ্গে থাকত। যার যার গোষ্ঠীর একজন দলনেতা থাকত। দলের সবার ভালোমন্দ দেখাশোনা করার দায়িত্ব পালন করত সেই দলনেতা বা সর্দার। একবার হয়েছে কী, বানর কিছু টাকা ধার করল সিংহের কাছ থেকে। সেই থেকে কাহিনির শুরু। কত যে গণ্ডগোল-ঝুটঝামেলা হলো এই ধার করা নিয়ে, তার হিসাব কেউই দিতে পারবে না।
সিংহ তার টাকা ফেরত চায়, কিন্তু পায় না। নানা অজুহাতে বানর পিছলে যায়। ‘দেই, দিচ্ছি’ করে করে অনেকটা সময় কেটে গেল। সিংহ গেল চটে। বাঁদরের এই বাঁদরামি তার কাছে অসহ্য হয়ে উঠেছে। সিংহ সোজা নালিশ ঠুকে দিল বানর দলের নেতার কাছে। সেই দলনেতা কোনো বানর নয়। সে হচ্ছে একটি শেয়াল। বড় চালাক প্রাণী।
সিংহ তার আরজি পেশ করে—‘দেখো হে শিয়াল ভায়া, সুবিচারের জন্যে তোমার কাছে ছুটে এলাম। তোমার দলের বানর অনেক টাকা আমার কাছ থেকে ধার নিয়েছে। আমি নিজেও দেনাদার। বানর আমার পাওনা টাকা দিচ্ছে না। মাসের পর মাস ধরে ঘোরাচ্ছে আমাকে। উঁহু বাবা, মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভোলার পাত্র আমি নই। তুমি একটা বিহিত করো।’
শেয়াল নেতা মুখ গম্ভীর করে শুনছে সব কথা। পাওনাদার সিংহ বলে যেতে থাকে—‘দেখো বাপু শেয়াল, জ্ঞানী লোক হিসেবে এই বনে তোমার সুনাম আছে। তুমি ন্যায্যবিচার করবে, এটাই আমার প্রত্যাশা। বানরের ভাবগতিক বাপু মোটেই সুবিধের ঠেকছে না। এই টাকা সে আদৌ ফেরত দেবে বলে মনে হচ্ছে না। তুমি এর একটা ব্যবস্থা না করলে চলছে না। আইন আমি নিজের হাতে তুলে নিতে চাচ্ছি না। সেই কারণেই তোমার কাছে ছুটে আসা। নাও, সব তো শুনলে তুমি। এখন কী করবে করো।’
যথানিয়মে বিচারসভা বসল একদিন। সব পশু-পাখি এসে হাজির হয়েছে ওই সালিশে। গরু, ভেড়া, ছাগল, ইঁদুর, হায়েনা, মহিষ—আরো আরো সব প্রাণী। বড় একটা গাছের নিচে সবাই জড়ো হয়েছে। বানর বনাম সিংহের মামলা। বড়ই চাঞ্চল্যকর ব্যাপার। কী রায় হয় না হয়, সেটা জানার জন্য সবাই উদগ্রীব। অধীর আগ্রহে তারা অপেক্ষা করছে বানর কী শাস্তি পায়, সেটা দেখার জন্য। শেষমেশ প্রমাণিত হলো বানর দোষ করেছে। তার এই অপরাধ খুবই গুরুতর। রায় হলো বানর যদি টাকা শোধ না করে, তা হলে সিংহ তাকে খেয়ে ফেলতে পারবে। সিংহ খুবই তেজি প্রাণী। তার গায়ে অনেক জোর। দরকারমতো সে প্রচণ্ড হিংস্র হয়ে উঠতে পারে। এই ভয়টা সব প্রাণীর মধ্যেই আছে। যে রায় হলো, উপস্থিত সবাই তা সমর্থন করল। কারো দ্বিমত নেই। বানর অপরাধ করেছে। গুরুতর অন্যায় করেছে সে। সুতরাং শাস্তি তার প্রাপ্য। সবাই চেঁচিয়ে তাদের সমর্থন জানাল। দলনেতা শেয়াল মনে মনে এমনটা চাইছিল না। সিংহ বানরকে খেয়ে ফেলবে, এটা তার পছন্দ নয়। কিন্তু মুখ ফুটে সে কথা বলা যাচ্ছে না। জনমত সিংহের পক্ষে। একজনও বিরোধিতা করেনি রায়ের।
শেয়াল গম্ভীর কণ্ঠে বলে, ‘ওহে বানর, তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ রকম শাস্তি তোমার পাওনা ছিল। কাউকে খেয়ে ফেলার আগে এই যে গাছটা, তার দিকে তাকিয়ে দেখো তুমি। গাছটা তোমার পেছনেই আছে। এখানে উপস্থিত সবাই একমত যে, সিংহ তোমাকে খেয়ে ফেলবে। মরার আগে তুমি এই গাছটাকে প্রাণভরে দেখে নাও।’
বানর মোটেও বোকা নয়। দলনেতার কথার মর্ম সে মুহূর্তেই বুঝে ফেলে। ঝট করে লাফ দিয়ে সে উঠে যায় গাছটির মগডালে। সিংহ গাছে উঠতে পারে না। সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। অন্যান্য প্রাণী বিচারসভা ছেড়ে যার যার কাজে চলে যায়। গাছের কারণে বানর শেষ
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪ ঘণ্টা আগে