বিচিত্র কুমার
শরৎকাল এলে প্রকৃতি যেন নিজের হাতে এক বিশাল মঞ্চ সাজিয়ে ফেলে। আকাশে নীল রঙ গাঢ় হয়, সাদা মেঘেরা হালকা ভেসে বেড়ায়, কাশফুল হাওয়ায় দোলে আর শিউলির গন্ধ ভোরবেলা চারপাশ ভরিয়ে দেয়। এ সময়টাতেই শুরু হয় এক অদ্ভুত আয়োজন—পাখিদের কনসার্ট। এ কনসার্ট প্রকৃতির সঙ্গে পাখিদের মিলেমিশে তৈরি করা সুরের এক মনোমুগ্ধকর উৎসব।
প্রতিদিন ভোরের আলো ফুটতেই এই কনসার্টের শুরু। প্রথমে শালিকরা ঘুম ভাঙার ডাক দেয়, যেন কনসার্টের ঘণ্টা বাজছে। এরপর কাকরা তাদের গম্ভীর গলায় ঘোষণা করে—‘এবার অনুষ্ঠান শুরু হতে যাচ্ছে!’ ঠিক তখনই দোয়েল, কোকিল, টুনটুনি আর বাবুই একসঙ্গে মেলাতে থাকে নিজেদের সুর। কেউ টেনে দীর্ঘ ডাক দেয়, কেউবা ছোট ছোট সুরে ঝরঝর করে বাজাতে থাকে গান। মাঠের মাঝখান থেকে ঝাঁক বেঁধে আসা চড়ুই পাখিরা তো একেবারে কোরাস দলের মতো।
এই কনসার্টে মঞ্চ হলো খোলা আকাশ, দর্শক হলো প্রকৃতি নিজেই—গাছপালা, নদী, ফুল আর মানুষ। শরতের সোনালি রোদ যখন পাতায় পাতায় ঝরে পড়ে, তখন পাখিদের কণ্ঠস্বর যেন আরো মিষ্টি শোনায়।
পাখিদের কনসার্টের একটি শিক্ষণীয় দিকও আছে। পাখিরা একে অন্যের সঙ্গে মিলেমিশে গান গায়। দোয়েলের গান আলাদা, শালিকের গান আলাদা, আবার টুনটুনির ডাক একেবারেই ভিন্ন। তবু সবাই মিলেমিশে যখন গান গায়, তখন অপূর্ব সুরেলা পরিবেশ তৈরি হয় । এখান থেকেই শিশুরা শিখতে পারে—মিলেমিশে কাজ করলে পৃথিবী সুন্দর হয়। যেমন একটি ক্লাসে কেউ ভালো আঁকতে পারে, কেউ ভালো গান গাইতে পারে, আবার কেউ ভালো পড়তে পারে। যদি সবাই মিলে একে অন্যকে সহযোগিতা করে, তবে সবার প্রতিভা আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
আরো একটি শিক্ষা লুকিয়ে আছে এই কনসার্টের মধ্যে। পাখিরা কখনো কৃত্রিম আলো বা মাইক্রোফোন ব্যবহার করে না, তবু তাদের গান সবার হৃদয়ে পৌঁছে যায়। এর মানে হলো, প্রকৃতির জিনিসই সবচেয়ে সুন্দর। আমাদের অযথা প্রকৃতি নষ্ট না করে বরং তাকে ভালোবাসতে হবে। গাছে গাছে পাখি না থাকলে এই কনসার্টও থাকত না। তাই শিশুরা যেন গাছপালা কেটে না ফেলে, নদী-খাল ময়লা না করে, বরং প্রকৃতিকে নিজের বন্ধু হিসেবে দেখে—এই শিক্ষা নেওয়া খুব জরুরি।
শরতের এই পাখির কনসার্ট আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বই-পুস্তকের পড়াশোনা যেমন জরুরি, তেমনি প্রকৃতি থেকে শেখাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভোরবেলার পাখিদের গান যেমন মনকে প্রফুল্ল করে, তেমনি শিশুদের শেখায় শৃঙ্খলা—কারণ পাখিরা প্রতিদিন একই সময়ে উঠে গান শুরু করে। এতে বোঝা যায়, সময়ের সঠিক ব্যবহার জীবনে আনন্দ আনে।
সবশেষে বলা যায়, শরতের পাখিদের এই কনসার্ট শুধু গান নয়, এটি প্রকৃতির উপহার। এটি শিশুদের মনে গড়ে তোলে আনন্দ, শৃঙ্খলা, সহযোগিতা আর প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা। তাই শরতের সকাল মানেই শুধু সাদা কাশফুল নয়, সোনালি রোদ নয়—বরং পাখিদের সুরেলা কনসার্ট, যা শুনে যে কেউ শিখতে পারে, পৃথিবীকে সুন্দর রাখতে হলে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হবে।
শরৎকাল এলে প্রকৃতি যেন নিজের হাতে এক বিশাল মঞ্চ সাজিয়ে ফেলে। আকাশে নীল রঙ গাঢ় হয়, সাদা মেঘেরা হালকা ভেসে বেড়ায়, কাশফুল হাওয়ায় দোলে আর শিউলির গন্ধ ভোরবেলা চারপাশ ভরিয়ে দেয়। এ সময়টাতেই শুরু হয় এক অদ্ভুত আয়োজন—পাখিদের কনসার্ট। এ কনসার্ট প্রকৃতির সঙ্গে পাখিদের মিলেমিশে তৈরি করা সুরের এক মনোমুগ্ধকর উৎসব।
প্রতিদিন ভোরের আলো ফুটতেই এই কনসার্টের শুরু। প্রথমে শালিকরা ঘুম ভাঙার ডাক দেয়, যেন কনসার্টের ঘণ্টা বাজছে। এরপর কাকরা তাদের গম্ভীর গলায় ঘোষণা করে—‘এবার অনুষ্ঠান শুরু হতে যাচ্ছে!’ ঠিক তখনই দোয়েল, কোকিল, টুনটুনি আর বাবুই একসঙ্গে মেলাতে থাকে নিজেদের সুর। কেউ টেনে দীর্ঘ ডাক দেয়, কেউবা ছোট ছোট সুরে ঝরঝর করে বাজাতে থাকে গান। মাঠের মাঝখান থেকে ঝাঁক বেঁধে আসা চড়ুই পাখিরা তো একেবারে কোরাস দলের মতো।
এই কনসার্টে মঞ্চ হলো খোলা আকাশ, দর্শক হলো প্রকৃতি নিজেই—গাছপালা, নদী, ফুল আর মানুষ। শরতের সোনালি রোদ যখন পাতায় পাতায় ঝরে পড়ে, তখন পাখিদের কণ্ঠস্বর যেন আরো মিষ্টি শোনায়।
পাখিদের কনসার্টের একটি শিক্ষণীয় দিকও আছে। পাখিরা একে অন্যের সঙ্গে মিলেমিশে গান গায়। দোয়েলের গান আলাদা, শালিকের গান আলাদা, আবার টুনটুনির ডাক একেবারেই ভিন্ন। তবু সবাই মিলেমিশে যখন গান গায়, তখন অপূর্ব সুরেলা পরিবেশ তৈরি হয় । এখান থেকেই শিশুরা শিখতে পারে—মিলেমিশে কাজ করলে পৃথিবী সুন্দর হয়। যেমন একটি ক্লাসে কেউ ভালো আঁকতে পারে, কেউ ভালো গান গাইতে পারে, আবার কেউ ভালো পড়তে পারে। যদি সবাই মিলে একে অন্যকে সহযোগিতা করে, তবে সবার প্রতিভা আরো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
আরো একটি শিক্ষা লুকিয়ে আছে এই কনসার্টের মধ্যে। পাখিরা কখনো কৃত্রিম আলো বা মাইক্রোফোন ব্যবহার করে না, তবু তাদের গান সবার হৃদয়ে পৌঁছে যায়। এর মানে হলো, প্রকৃতির জিনিসই সবচেয়ে সুন্দর। আমাদের অযথা প্রকৃতি নষ্ট না করে বরং তাকে ভালোবাসতে হবে। গাছে গাছে পাখি না থাকলে এই কনসার্টও থাকত না। তাই শিশুরা যেন গাছপালা কেটে না ফেলে, নদী-খাল ময়লা না করে, বরং প্রকৃতিকে নিজের বন্ধু হিসেবে দেখে—এই শিক্ষা নেওয়া খুব জরুরি।
শরতের এই পাখির কনসার্ট আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বই-পুস্তকের পড়াশোনা যেমন জরুরি, তেমনি প্রকৃতি থেকে শেখাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ভোরবেলার পাখিদের গান যেমন মনকে প্রফুল্ল করে, তেমনি শিশুদের শেখায় শৃঙ্খলা—কারণ পাখিরা প্রতিদিন একই সময়ে উঠে গান শুরু করে। এতে বোঝা যায়, সময়ের সঠিক ব্যবহার জীবনে আনন্দ আনে।
সবশেষে বলা যায়, শরতের পাখিদের এই কনসার্ট শুধু গান নয়, এটি প্রকৃতির উপহার। এটি শিশুদের মনে গড়ে তোলে আনন্দ, শৃঙ্খলা, সহযোগিতা আর প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা। তাই শরতের সকাল মানেই শুধু সাদা কাশফুল নয়, সোনালি রোদ নয়—বরং পাখিদের সুরেলা কনসার্ট, যা শুনে যে কেউ শিখতে পারে, পৃথিবীকে সুন্দর রাখতে হলে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হবে।
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
১৬ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
২ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগে