দেশের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন। দু-দিনব্যাপী এ বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে (বসকন-২০২৫) দেশি-বিদেশি দুই সহস্রাধিক চিকিৎসক অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সোসাইটির দুইদিনব্যাপী সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সোসাইটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কেনান ও
সোসাইটির সদস্যসচিব ডা. ইরফানুল হক সিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন বসকন-২৫ উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ওয়াকিল আহমেদ ও সেক্রেটারি ডা. মো. মিজানুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্মেলনের আগে আগামীকাল দুটি প্রি-কংগ্রেস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা প্রশিক্ষণ দিবেন। বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অংশগ্রহণ করবেন ভারত, জাপান, নেপাল ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞ সার্জনরা। ইতোমধ্যে দেশের এক হাজার ২৫ জন অর্থোপেডিক সার্জন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। দুইদিনে ৩০টি সাইন্টিফিক সেশন এবং ২০২টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
দুইদিনের সম্মেলন রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন ৩০ নভেম্বর বৈজ্ঞানিক সম্মেলন সকাল ৮টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় দিন ১ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এ সময় সোসাইটির আহ্বায়ক ও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসনের (নিটোর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান বলেন, "বর্তমানে বাংলাদেশে উপজেলা পর্যায়েও অর্থোপেডিক সার্জন রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। বিভিন্ন সভা-সেমিনারের মাধ্যমে চিকিৎসকদেরকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। সার্জনরা খুবই আন্তরিক, সেবা দিতে আগ্রহী। এখনও প্রতিষ্ঠানিক উন্নয়ন সেবা করা যায়নি। নানা ধরনের সংকট রয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ে।"
সোইটির সদস্যসচিব ডা. ইরফানুল হক বলেন, "অর্থোপেডিক সার্জারি চিকিৎসা বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা। বাংলাদেশে দুই হাজার ২'র অধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে, এর মধ্যে এক হাজার ৫৭৫ জন সদস্য রয়েছেন। বাকিরাও সদস্য হবেন।
তিনি আরও বলেন, "সোসাইটি জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং অভিজ্ঞ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একইসঙ্গে রোগীদের আধুনিক ও মান সম্মত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্যও কাজ করছে সোসাইটি। এই সম্মেলনে মাধ্যমে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের মত ও জ্ঞানের বিনিময় হবে। এর মাধ্যমে চিকিৎসকরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখবেন।

