অধ্যাপক ডা. আলী হোসেন
ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি (COPD) রোগের একটি ধরনকে বোঝায়, যা বায়ুপ্রবাহে বাধা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলোর মধ্যে এমফাইসেমা ও ক্রনিক ব্রোঙ্কাইটিস বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর শীর্ষ তিনটি কারণের একটি। উল্লেখ্য, এই রোগে মৃত্যুর প্রায় ৯০ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় ঘটে থাকে।
সিওপিডি একটি প্রগতিশীল রোগ এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তবে যথাযথ ব্যবস্থাপনায় সিওপিডি আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীকে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সাহায্য করে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিওপিডি’র উপসর্গগুলো বৃদ্ধি পেতে থাকে, যাকে এক্সারসিবেশন বা তীব্রতা বলা যায়।
সিওপিডিতে আক্রান্তের সম্ভাব্য ঝুঁকি
১. ধূমপান: দীর্ঘসময় যাবৎ ধূমপায়ীদের সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আপনি যত বেশি সময় ধরে ধূমপানে আসক্ত, সিওপিডির ঝুঁকি তত বেশি। সিগারেট, গাঁজা, পাইপ বা হুক্কা ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি দীর্ঘসময় যাবৎ ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিরাও সিওপিডি’র ঝুঁকিতে থাকে।
২. অ্যাজমা-আক্রান্ত রোগী: অ্যাজমা একটি ক্রনিক ইনফ্ল্যামেটরি এয়ারওয়ে ডিজিজ। অ্যাজমা রোগীদের সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেসব অ্যাজমা রোগী ধূমপানে আসক্ত, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি।
৩. ধুলোবালি ও কেমিক্যালের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তি: দীর্ঘসময় ধরে ধুলোবালি, ধোঁয়া ও কেমিক্যালের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের, বিশেষ করে কারখানার কর্মীদের সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৪. জ্বালানির সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিরা: জ্বালানি পোড়ানো, জ্বালানি উত্তোলন প্রভৃতি কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া রান্নাকালীন ধোঁয়াও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
৫. জিনগত–আলফা-১-অ্যান্টিট্রিপসিন: একটি জিনগত রোগ যা সচরাচর দেখা না গেলেও এতে সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া অন্যান্য সাধারণ জিনগত সমস্যার কারণে ধূমপায়ীরা সিওপিডিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এ বিষয়ে বিশদ রিসার্চ উন্নত দেশগুলোয় চলমান।
তবে আবারও মনে রাখবেন: ধূমপানই সিওপিডির সবচেয়ে বড় কারণ। ধূমপান বন্ধ করলে এই রোগের অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।
উপসর্গসমূহ
* দীর্ঘস্থায়ী কাশি: এটি প্রায়ই শ্লেষ্মা বা কফের সঙ্গে থাকে এবং ধূমপায়ীদের কাশি নামে পরিচিত, যা ক্রমবর্ধমান থাকে।
* শ্বাসকষ্ট: হালকা কাজ করার সময় বা ব্যায়াম করার সময় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়।
* বুকে চাপা ভাব: বুকে ভারী ভারী অনুভূতি হতে পারে।
* শ্বাস ফেলার সময় শিস দেওয়ার মতো শব্দ হওয়া: এটি শ্বাসনালী সংকীর্ণ হওয়ার কারণে হয়।
* শক্তির অভাব: সিওপিডি রোগীরা প্রায়ই দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
* অনিচ্ছাকৃত ওজন কমে যাওয়া: কখনো কখনো সিওপিডি রোগীদের ওজন কমে যেতে পারে।
* পা বা গোড়ালি ফোলা: শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে পা বা গোড়ালি ফুলে যেতে পারে।
* নীল আঙুলের নখ: দীর্ঘস্থায়ী অক্সিজেনের ঘাটতি হলে আঙুলের নখ নীল হয়ে যেতে পারে।
সিওপিডি নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা
সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাগুলো রোগীর শ্বাসনালির কার্যক্ষমতা মূল্যায়ন করে এবং রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করে। এর প্রধান পরীক্ষাগুলো হলো-
* স্পাইরোমেট্রি: এই পরীক্ষাটি সিওপিডি নির্ণয়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এতে একজন বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে রোগীর শ্বাসের বেগ এবং পরিমাণ মাপা হয়।
* বুকের এক্স-রে: এই পরীক্ষায় ফুসফুসের অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। এটি সিওপিডির কারণে ফুসফুসে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা দেখতে সাহায্য করে।
* সিটি স্ক্যান: এই পরীক্ষাটি ফুসফুসের আরও বিস্তারিত ছবি তৈরি করে। এটি সিওপিডির তীব্রতা ও ফুসফুসের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
* ধমনি রক্তের গ্যাস পরীক্ষা: এই পরীক্ষায় রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা মাপা হয়। এটি শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে কি না, তা নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
* ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি): এই পরীক্ষাটি হৃৎপিণ্ডের কার্যকলাপ পরীক্ষা করে। কারণ সিওপিডি হৃৎপিণ্ডের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
* পালমোনারি ফাংশন টেস্ট: এই পরীক্ষাগুলোয় ফুসফুসের বিভিন্ন কার্যকলাপ মাপা হয়, যেমন ফুসফুসের ক্ষমতা, বায়ুপ্রবাহের হার প্রভৃতি।
* শারীরিক পরীক্ষা: ডাক্তার রোগীর শ্বাসকষ্ট, কাশি ও অন্যান্য লক্ষণ পরীক্ষা করবেন।
* আলফা-১-অ্যান্টিট্রিপসিন পরীক্ষা: এই পরীক্ষাটি জিনগত কারণে সিওপিডি হওয়ার সম্ভাবনা পরীক্ষা করে।
কোন পরীক্ষাগুলো করা হবে, তা রোগীর লক্ষণ এবং চিকিৎসকের মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে।
সিওপিডির চিকিৎসা কী?
যদিও এই রোগকে সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব নয়, তবে সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনশৈলীর পরিবর্তনের মাধ্যমে এর লক্ষণগুলোকে অনেকটাই কমিয়ে আনা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব।
সিওপিডির আধুনিক চিকিৎসার মূল লক্ষ্য
* শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করা
* সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করা
* শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করা
* জীবনযাত্রার মান উন্নত করা
সিওপিডির চিকিৎসার প্রধান ওষুধ
* ব্রঙ্কোডাইলেটর: এই ওষুধগুলো শ্বাসনালিকে প্রশস্ত করে এবং শ্বাস নিতে সহায়তা করে।
* স্টেরয়েড: এই ওষুধগুলো শ্বাসনালির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
* অন্যান্য ওষুধ: কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার অন্যান্য ধরনের ওষুধও নির্ধারণ করতে পারেন, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক (সংক্রমণের জন্য), মিউকোলিটিক (শ্লেষ্মা পাতলা করার জন্য)।
* অক্সিজেন থেরাপি: যখন রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা খুব কম হয়, তখন অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হয়।
* পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন: এই প্রোগ্রাম শ্বাসকষ্ট কমাতে এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে ব্যায়াম ও শ্বাসকষ্ট পরিচালনার কৌশল শেখানো হয়।
* শল্যচিকিৎসা: গুরুতর ক্ষেত্রে, শ্বাসনালিকে প্রশস্ত করার জন্য বা ফুসফুসের একটি অংশ অপসারণের জন্য শল্যচিকিৎসা করা হতে পারে। জীবনশৈলীর পরিবর্তন-
* ধূমপান ত্যাগ: সিওপিডির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ধূমপান। ধূমপান ত্যাগ করলে রোগের অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।
* সুষম খাদ্য গ্রহণ: সুষম খাদ্য শরীরকে শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
* নিয়মিত ব্যায়াম: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ব্যায়াম করে শ্বাসকষ্ট কমাতে এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা: ফ্লু ও নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন নেওয়া এবং জনবহুল স্থানে যাওয়া এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
সিওপিডির ঝুঁকি ও জটিলতাসমূহ
সিওপিডি’র ফলে বিভিন্ন ঝুঁকি ও জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন-
১. রিসপিরেটরি ইনফেকশনস: সিওপিডিতে আক্রান্ত রোগীদের ফ্লু, সর্দি, নিউমোনিয়া প্রভৃতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। যেকোনো রিসপিরেটরি ইনফেকশনের ফলে শ্বাস গ্রহণ জটিল হতে পারে, যার ফলে পরে লাং টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে।
২. হার্টজনিত সমস্যা: যথাযথভাবে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও সিওপিডি হার্ট অ্যাটাকসহ হার্টজনিত ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
৩. ফুসফুসের ক্যানসার: সিওপিডি ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
৪. ফুসফুসের উচ্চ রক্তচাপ: সিওপিডি’র ফলে ফুসফুসের আর্টারিতে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে, এতে করে ফুসফুসে রক্ত চলে আসে। একে পালমোনারি হাইপারটেনশনও বলা হয়।
৫. ডিপ্রেশন: শ্বাসকষ্টের কারণে রোগী এমন অনেক কিছুই করতে ব্যর্থ হন, যা তিনি করতে চান বা ভালোবাসেন। এসব বিষয় ধীরে ধীরে মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত করে, রোগী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, নিজেকে অন্যের তুলনায় দুর্বল ভাবতে থাকেন। এসবের ফলে এবং জটিল রোগ মোকাবিলা করতে করতে রোগী ডিপ্রেশনে ভোগেন।
এছাড়া সিওপিডিহীন প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় সিওপিডিতে আক্রান্ত রোগীর দৈনিক কার্যক্রম সীমিত থাকে। হাঁটতে বিশেষ করে উঁচু স্থানে ও সিঁড়ি বাইতে কষ্ট হয়; বহনযোগ্য অক্সিজেন ট্যাংকের মতো বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়; সবার সঙ্গে একা কিংবা বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়া, খেতে যাওয়া, উপাসনালয়ে যাওয়া প্রভৃতি ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে অনিশ্চয়তা; যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা; কাজে বিভ্রান্তি বোধ করা বা ভুলে যাওয়া, ডিপ্রেশনে বা অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ভোগা; হাসপাতালের যাতায়াত বেড়ে যাওয়া, এমনকি রাত যাপনের প্রয়োজন হওয়া; হার্ট-ফেইলিওর, আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, হার্টের করোনারি রোগ, স্ট্রোক ও অ্যাজমা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যার সম্মুখীন হন।
প্রতিকার
সিওপিডি রোগের কারণগুলো যেমন স্পষ্ট, তেমনই এর প্রতিকারের পথও স্পষ্ট। এমনকি এটি ধীরে ধীরে কমিয়ে আনাও সম্ভব। ধূমপায়ীরা সিওপিডি’র প্রধান শিকার। তাই ধূমপান ত্যাগই এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান হাতিয়ার।
দীর্ঘদিন যাবৎ ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এই সহজ বিষয়গুলো ততটা সহজ নাও হতে পারে। বিশেষ করে যদি তারা এর আগে ধূমপান ত্যাগের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে থাকেন, তবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। ধূমপান বন্ধে সাহায্যকারী কোনো প্রোগ্রাম বা পদ্ধতি খুঁজে বের করা মুশকিল হলেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর দ্বারাই ফুসফুসের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
কারখানাকর্মী যারা রাসায়নিক পদার্থ, ধুলোবালি, কালো ধোঁয়া প্রভৃতির সংস্পর্শে কাজ করে, তারা সিওপিডির ঝুঁকিতে থাকে। যদি কর্মক্ষেত্রে ফুসফুসের জ্বালাপোড়া হয় বা কোনো সমস্যা অনুভূত হয়, তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। সেক্ষেত্রে রিসপিরেটরি প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্টের ব্যবহার করা যেতে পারে।
সিওপিডি প্রতিকারে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা হলো- ধূমপান বর্জন করা। এতে করে ফুসফুস এবং হার্টের ঝুঁকি কমে যায়, নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক গ্রহণ। এর মাধ্যমে অসুস্থতার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব; চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ। বিশেষ করে মানসিক অশান্তি, অসহায়ত্ববোধ, একাকিত্ববোধ প্রভৃতি সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত এবং ডিপ্রেশনকে অবশ্যই গুরুত্বসহ নেওয়া উচিত।
লেখক: সাবেক পরিচালক, এনআইডিসিএইচ
সভাপতি, বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন
ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি (COPD) রোগের একটি ধরনকে বোঝায়, যা বায়ুপ্রবাহে বাধা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলোর মধ্যে এমফাইসেমা ও ক্রনিক ব্রোঙ্কাইটিস বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর শীর্ষ তিনটি কারণের একটি। উল্লেখ্য, এই রোগে মৃত্যুর প্রায় ৯০ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় ঘটে থাকে।
সিওপিডি একটি প্রগতিশীল রোগ এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তবে যথাযথ ব্যবস্থাপনায় সিওপিডি আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীকে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সাহায্য করে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিওপিডি’র উপসর্গগুলো বৃদ্ধি পেতে থাকে, যাকে এক্সারসিবেশন বা তীব্রতা বলা যায়।
সিওপিডিতে আক্রান্তের সম্ভাব্য ঝুঁকি
১. ধূমপান: দীর্ঘসময় যাবৎ ধূমপায়ীদের সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আপনি যত বেশি সময় ধরে ধূমপানে আসক্ত, সিওপিডির ঝুঁকি তত বেশি। সিগারেট, গাঁজা, পাইপ বা হুক্কা ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি দীর্ঘসময় যাবৎ ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিরাও সিওপিডি’র ঝুঁকিতে থাকে।
২. অ্যাজমা-আক্রান্ত রোগী: অ্যাজমা একটি ক্রনিক ইনফ্ল্যামেটরি এয়ারওয়ে ডিজিজ। অ্যাজমা রোগীদের সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেসব অ্যাজমা রোগী ধূমপানে আসক্ত, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি।
৩. ধুলোবালি ও কেমিক্যালের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তি: দীর্ঘসময় ধরে ধুলোবালি, ধোঁয়া ও কেমিক্যালের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের, বিশেষ করে কারখানার কর্মীদের সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৪. জ্বালানির সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিরা: জ্বালানি পোড়ানো, জ্বালানি উত্তোলন প্রভৃতি কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া রান্নাকালীন ধোঁয়াও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
৫. জিনগত–আলফা-১-অ্যান্টিট্রিপসিন: একটি জিনগত রোগ যা সচরাচর দেখা না গেলেও এতে সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া অন্যান্য সাধারণ জিনগত সমস্যার কারণে ধূমপায়ীরা সিওপিডিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এ বিষয়ে বিশদ রিসার্চ উন্নত দেশগুলোয় চলমান।
তবে আবারও মনে রাখবেন: ধূমপানই সিওপিডির সবচেয়ে বড় কারণ। ধূমপান বন্ধ করলে এই রোগের অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।
উপসর্গসমূহ
* দীর্ঘস্থায়ী কাশি: এটি প্রায়ই শ্লেষ্মা বা কফের সঙ্গে থাকে এবং ধূমপায়ীদের কাশি নামে পরিচিত, যা ক্রমবর্ধমান থাকে।
* শ্বাসকষ্ট: হালকা কাজ করার সময় বা ব্যায়াম করার সময় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়।
* বুকে চাপা ভাব: বুকে ভারী ভারী অনুভূতি হতে পারে।
* শ্বাস ফেলার সময় শিস দেওয়ার মতো শব্দ হওয়া: এটি শ্বাসনালী সংকীর্ণ হওয়ার কারণে হয়।
* শক্তির অভাব: সিওপিডি রোগীরা প্রায়ই দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
* অনিচ্ছাকৃত ওজন কমে যাওয়া: কখনো কখনো সিওপিডি রোগীদের ওজন কমে যেতে পারে।
* পা বা গোড়ালি ফোলা: শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে পা বা গোড়ালি ফুলে যেতে পারে।
* নীল আঙুলের নখ: দীর্ঘস্থায়ী অক্সিজেনের ঘাটতি হলে আঙুলের নখ নীল হয়ে যেতে পারে।
সিওপিডি নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা
সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাগুলো রোগীর শ্বাসনালির কার্যক্ষমতা মূল্যায়ন করে এবং রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করে। এর প্রধান পরীক্ষাগুলো হলো-
* স্পাইরোমেট্রি: এই পরীক্ষাটি সিওপিডি নির্ণয়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এতে একজন বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে রোগীর শ্বাসের বেগ এবং পরিমাণ মাপা হয়।
* বুকের এক্স-রে: এই পরীক্ষায় ফুসফুসের অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। এটি সিওপিডির কারণে ফুসফুসে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা দেখতে সাহায্য করে।
* সিটি স্ক্যান: এই পরীক্ষাটি ফুসফুসের আরও বিস্তারিত ছবি তৈরি করে। এটি সিওপিডির তীব্রতা ও ফুসফুসের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
* ধমনি রক্তের গ্যাস পরীক্ষা: এই পরীক্ষায় রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা মাপা হয়। এটি শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে কি না, তা নির্ণয় করতে সাহায্য করে।
* ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি): এই পরীক্ষাটি হৃৎপিণ্ডের কার্যকলাপ পরীক্ষা করে। কারণ সিওপিডি হৃৎপিণ্ডের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
* পালমোনারি ফাংশন টেস্ট: এই পরীক্ষাগুলোয় ফুসফুসের বিভিন্ন কার্যকলাপ মাপা হয়, যেমন ফুসফুসের ক্ষমতা, বায়ুপ্রবাহের হার প্রভৃতি।
* শারীরিক পরীক্ষা: ডাক্তার রোগীর শ্বাসকষ্ট, কাশি ও অন্যান্য লক্ষণ পরীক্ষা করবেন।
* আলফা-১-অ্যান্টিট্রিপসিন পরীক্ষা: এই পরীক্ষাটি জিনগত কারণে সিওপিডি হওয়ার সম্ভাবনা পরীক্ষা করে।
কোন পরীক্ষাগুলো করা হবে, তা রোগীর লক্ষণ এবং চিকিৎসকের মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে।
সিওপিডির চিকিৎসা কী?
যদিও এই রোগকে সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব নয়, তবে সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনশৈলীর পরিবর্তনের মাধ্যমে এর লক্ষণগুলোকে অনেকটাই কমিয়ে আনা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব।
সিওপিডির আধুনিক চিকিৎসার মূল লক্ষ্য
* শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করা
* সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করা
* শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করা
* জীবনযাত্রার মান উন্নত করা
সিওপিডির চিকিৎসার প্রধান ওষুধ
* ব্রঙ্কোডাইলেটর: এই ওষুধগুলো শ্বাসনালিকে প্রশস্ত করে এবং শ্বাস নিতে সহায়তা করে।
* স্টেরয়েড: এই ওষুধগুলো শ্বাসনালির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
* অন্যান্য ওষুধ: কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তার অন্যান্য ধরনের ওষুধও নির্ধারণ করতে পারেন, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক (সংক্রমণের জন্য), মিউকোলিটিক (শ্লেষ্মা পাতলা করার জন্য)।
* অক্সিজেন থেরাপি: যখন রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা খুব কম হয়, তখন অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হয়।
* পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন: এই প্রোগ্রাম শ্বাসকষ্ট কমাতে এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে ব্যায়াম ও শ্বাসকষ্ট পরিচালনার কৌশল শেখানো হয়।
* শল্যচিকিৎসা: গুরুতর ক্ষেত্রে, শ্বাসনালিকে প্রশস্ত করার জন্য বা ফুসফুসের একটি অংশ অপসারণের জন্য শল্যচিকিৎসা করা হতে পারে। জীবনশৈলীর পরিবর্তন-
* ধূমপান ত্যাগ: সিওপিডির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ধূমপান। ধূমপান ত্যাগ করলে রোগের অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।
* সুষম খাদ্য গ্রহণ: সুষম খাদ্য শরীরকে শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
* নিয়মিত ব্যায়াম: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ব্যায়াম করে শ্বাসকষ্ট কমাতে এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করা: ফ্লু ও নিউমোনিয়া ভ্যাকসিন নেওয়া এবং জনবহুল স্থানে যাওয়া এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
সিওপিডির ঝুঁকি ও জটিলতাসমূহ
সিওপিডি’র ফলে বিভিন্ন ঝুঁকি ও জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন-
১. রিসপিরেটরি ইনফেকশনস: সিওপিডিতে আক্রান্ত রোগীদের ফ্লু, সর্দি, নিউমোনিয়া প্রভৃতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। যেকোনো রিসপিরেটরি ইনফেকশনের ফলে শ্বাস গ্রহণ জটিল হতে পারে, যার ফলে পরে লাং টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে।
২. হার্টজনিত সমস্যা: যথাযথভাবে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও সিওপিডি হার্ট অ্যাটাকসহ হার্টজনিত ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
৩. ফুসফুসের ক্যানসার: সিওপিডি ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
৪. ফুসফুসের উচ্চ রক্তচাপ: সিওপিডি’র ফলে ফুসফুসের আর্টারিতে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে, এতে করে ফুসফুসে রক্ত চলে আসে। একে পালমোনারি হাইপারটেনশনও বলা হয়।
৫. ডিপ্রেশন: শ্বাসকষ্টের কারণে রোগী এমন অনেক কিছুই করতে ব্যর্থ হন, যা তিনি করতে চান বা ভালোবাসেন। এসব বিষয় ধীরে ধীরে মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত করে, রোগী হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, নিজেকে অন্যের তুলনায় দুর্বল ভাবতে থাকেন। এসবের ফলে এবং জটিল রোগ মোকাবিলা করতে করতে রোগী ডিপ্রেশনে ভোগেন।
এছাড়া সিওপিডিহীন প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় সিওপিডিতে আক্রান্ত রোগীর দৈনিক কার্যক্রম সীমিত থাকে। হাঁটতে বিশেষ করে উঁচু স্থানে ও সিঁড়ি বাইতে কষ্ট হয়; বহনযোগ্য অক্সিজেন ট্যাংকের মতো বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়; সবার সঙ্গে একা কিংবা বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়া, খেতে যাওয়া, উপাসনালয়ে যাওয়া প্রভৃতি ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে অনিশ্চয়তা; যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা; কাজে বিভ্রান্তি বোধ করা বা ভুলে যাওয়া, ডিপ্রেশনে বা অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ভোগা; হাসপাতালের যাতায়াত বেড়ে যাওয়া, এমনকি রাত যাপনের প্রয়োজন হওয়া; হার্ট-ফেইলিওর, আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, হার্টের করোনারি রোগ, স্ট্রোক ও অ্যাজমা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যার সম্মুখীন হন।
প্রতিকার
সিওপিডি রোগের কারণগুলো যেমন স্পষ্ট, তেমনই এর প্রতিকারের পথও স্পষ্ট। এমনকি এটি ধীরে ধীরে কমিয়ে আনাও সম্ভব। ধূমপায়ীরা সিওপিডি’র প্রধান শিকার। তাই ধূমপান ত্যাগই এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান হাতিয়ার।
দীর্ঘদিন যাবৎ ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এই সহজ বিষয়গুলো ততটা সহজ নাও হতে পারে। বিশেষ করে যদি তারা এর আগে ধূমপান ত্যাগের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে থাকেন, তবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। ধূমপান বন্ধে সাহায্যকারী কোনো প্রোগ্রাম বা পদ্ধতি খুঁজে বের করা মুশকিল হলেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর দ্বারাই ফুসফুসের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
কারখানাকর্মী যারা রাসায়নিক পদার্থ, ধুলোবালি, কালো ধোঁয়া প্রভৃতির সংস্পর্শে কাজ করে, তারা সিওপিডির ঝুঁকিতে থাকে। যদি কর্মক্ষেত্রে ফুসফুসের জ্বালাপোড়া হয় বা কোনো সমস্যা অনুভূত হয়, তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। সেক্ষেত্রে রিসপিরেটরি প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্টের ব্যবহার করা যেতে পারে।
সিওপিডি প্রতিকারে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা হলো- ধূমপান বর্জন করা। এতে করে ফুসফুস এবং হার্টের ঝুঁকি কমে যায়, নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক গ্রহণ। এর মাধ্যমে অসুস্থতার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব; চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ। বিশেষ করে মানসিক অশান্তি, অসহায়ত্ববোধ, একাকিত্ববোধ প্রভৃতি সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত এবং ডিপ্রেশনকে অবশ্যই গুরুত্বসহ নেওয়া উচিত।
লেখক: সাবেক পরিচালক, এনআইডিসিএইচ
সভাপতি, বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪ ঘণ্টা আগে