স্তন ক্যান্সার লজ্জা নয়, সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৩১
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৩৬

দেশে প্রতিবছর প্রায় ১৩ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে মারা যান প্রায় ছয় হাজার। দেশে স্তন ক্যানসার প্রায়ই দেরিতে বা শেষ পর্যায়ে শনাক্ত হয়, যার প্রধান কারণ নিয়মিত স্ক্রিনিং ও এ ক্যানসার নিয়ে সচেতনতার অভাব।

এছাড়াও পর্যাপ্ত ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এবং চিকিৎসার ব্যয় অনেক বেশি হওয়ার কারণে অনেক রোগী সময় মতো ও যথাযথ চিকিৎসা পান না। প্রতিবছর অক্টোবর মাস স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়।

বিজ্ঞাপন

দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘লজ্জা নয়, সচেতনতা বাড়ানোর আহবানের মধ্য দিয়ে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি। সকালে সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি প্রেসক্লাব,পল্টন মোড় হয়ে পুনরায় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা শেষে সংগঠনের সভাপতি ড. সৈয়দ হুমায়ন কবির বলেন, আগে স্তন ক্যান্সার মরণব্যাধি হলেও এখন আর নেই। এখন এর পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু আমরা এই রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন নই। এ রোগে আক্রান্তদের পাশে স্বামী, ছেলেসহ নিকট আত্মীয়দেরই থাকতে হবে।

cancer

সর্বোপরি স্তনে কোন ধরনের দাগ, টিউমার জাতীয় কেন কিছু কিংবা ঘামাচির মত কিছু থাকলে লজ্জা নিবারণ করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। সবমিলিয়ে এ বিষয়ে গ্রাম-গঞ্জে মায়েদের-বোনদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

পুরো আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, স্তন ক্যান্সার এমন এক ক্যানসার, যথাসময়ে শনাক্ত করা গেলে ও চিকিৎসা পেলে যা সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে স্তন ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে। এটা হলে চিকিৎসায় সফলতার হার বহু গুণ বেড়ে যায়।

চলি­শোর্ধ্ব নারীদের নিয়মিত ম্যামোগ্রাফি করানো উচিত। যাদের পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস আছে, তাদের আরও আগে থেকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতি মাসে নিজে নিজে স্তন পরীক্ষার অভ্যাস গড়ে তোলা খুব কার্যকর।

তিনি আরো বলেন, সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের অভাবে স্তন ক্যানসার দেরিতে ধরা পড়ায় মৃত্যুর হার কমছে না। দেশের প্রায় ৫শ’ সরকারি হাসপাতালে স্ক্রিনিং করার সুযোগ রয়েছে। লজ্জা না করে স্বজনদের জীবন বাঁচাতে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন বলেন, স্তন ক্যান্সার থেকে বাঁচতে সজাগ হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশে এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

এ ধরনের জটিল রোগীদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা ও ওষুধের দাম কমানোর কথা বলা হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত