মেহেদী হাসান সজীব
চলছে শীত। আর শীতের সময় শরীরের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে দাঁতের যত্নও অপরিহার্য। শীতের সময় দাঁতের পুরোনো রোগগুলোই জেগে ওঠে। অনেকেরই ঠান্ডা পানির প্রভাবে দাঁতে ব্যথা, শিরশিরানি হওয়া, মাড়ি ফুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে গরম কিংবা ঠান্ডা পানি, এমনকি বাতাসের সংস্পর্শেও দাঁতের ব্যথা বেড়ে যায়। এর প্রধান কারণ সেলুলোজজাতীয় আঁশযুক্ত খাবার খুব সহজে দাঁতের ফাঁকে ও মাড়িতে আটকে যায়। এই খাবার দীর্ঘ সময় আটকে থাকার ফলে মাড়ি ও দাঁত দুটোই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এতে দাঁতে হাল্কা বা তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবে শীতের সময় এটা বেশি দেখা যায়। আর তাই শীতের সময় দাঁতের যত্নে কী করবেন? তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
শীতে নিয়মিত যা করবেন
> নিয়মিত দুবেলা দাঁত ব্রাশ করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে নাশতা খাওয়ার পর।
> সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ব্রাশ সামনে-পেছনে করে দাঁত মাজা ঠিক নয়। এতে দাঁতের ক্ষয় হয়। দাঁত ব্রাশ করতে হবে আস্তে আস্তে ওপরে-নিচে করে। নিচের পাটির দাঁতের জন্য ব্রাশ দাঁতের গোড়ার দিক থেকে ওপরের দিকে নিতে হবে। ঠিক তেমনি ওপরের পাটির জন্য দাঁতের গোড়ার দিক থেকে নিচের দিকে নিতে হবে।
> দেড় থেকে দুই মিনিট দাঁত ব্রাশেই যথেষ্ট। এর বেশি করার দরকার পড়ে না। করলে দাঁত ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।
> দুপুরে খাওয়ার পর ভালো করে কুলকুচি করতে হবে।
> প্রতি দুই মাস অন্তর ব্রাশ ও প্রতি তিন মাস অন্তর টুথপেস্ট পরিবর্তন করতে হবে।
সমস্যা হলে করণীয়
> দাঁতের ব্যথা সাময়িকভাবে কমানো কোনো চিকিৎসা নয়। সব সময় দাঁতের যত্নের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
> মাড়ি থেকে যদি ব্রাশ করার সময় বা অন্য সময়ও রক্ত পড়ে, তাহলে দাঁতের স্কেলিং দরকার।
> মাঝে মাঝে খাবার পর কিংবা অন্য যেকোনো সময় যদি দাঁতব্যথা বা শিরশির করে, তাহলে দেরি না করে ডেন্টিস্টের সঙ্গে দেখা করুন।
> সেনসিটিভিটি কমানোর জন্য ফ্লোরাইডজাতীয় ভালো পেস্ট ব্যবহার করতে হবে।
> অনেক সময় ব্রাশ ব্যবহারে অবহেলা ও অতিরিক্ত ব্রাশের কারণে দাঁত ক্ষয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দাঁতের ক্ষয়ে যাওয়া রোধে ফিলিং ও কোটিং করতে হয়। এতে ক্ষয় পূরণ হয়। বেশি ক্ষয় হয়ে ব্যথা শুরু হলে রুট ক্যানেল চিকিৎসারও প্রয়োজন হতে পারে।
> বছরে অন্তত দুবার ডেন্টিস্টের কাছে দাঁত দেখানো উচিত। এতে আপনার দাঁতে কী সমস্যা হয়েছে সেই অনুযায়ী অল্পতেই সমাধান দেওয়া যাবে।
যা পরিহার করতে হবে
> দাঁতব্যথা করলে গরম সেঁক দেওয়া উচিত নয়। বরফ দিতে হবে। তবে লবণ-গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে।
> দাঁতের পোকা বলে কিছু নেই। তাই ভ্রান্ত ধারণা পরিহার করতে হবে।
> দাঁত দিয়ে নখ কাটা উচিত নয়। এতে দাঁতের ক্ষয় হয়।
> দাঁত দিয়ে কোল্ডড্রিংস-জাতীয় বোতলের মুখ খোলা উচিত নয়।
> কোমলপানীয়, পান, নেশাজাতীয় দ্রব্য যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে।
লেখক: ডেন্টিস্ট, ঢাকা ডেন্টাল কেয়ার
চলছে শীত। আর শীতের সময় শরীরের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে দাঁতের যত্নও অপরিহার্য। শীতের সময় দাঁতের পুরোনো রোগগুলোই জেগে ওঠে। অনেকেরই ঠান্ডা পানির প্রভাবে দাঁতে ব্যথা, শিরশিরানি হওয়া, মাড়ি ফুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে গরম কিংবা ঠান্ডা পানি, এমনকি বাতাসের সংস্পর্শেও দাঁতের ব্যথা বেড়ে যায়। এর প্রধান কারণ সেলুলোজজাতীয় আঁশযুক্ত খাবার খুব সহজে দাঁতের ফাঁকে ও মাড়িতে আটকে যায়। এই খাবার দীর্ঘ সময় আটকে থাকার ফলে মাড়ি ও দাঁত দুটোই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এতে দাঁতে হাল্কা বা তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবে শীতের সময় এটা বেশি দেখা যায়। আর তাই শীতের সময় দাঁতের যত্নে কী করবেন? তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
শীতে নিয়মিত যা করবেন
> নিয়মিত দুবেলা দাঁত ব্রাশ করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে নাশতা খাওয়ার পর।
> সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। ব্রাশ সামনে-পেছনে করে দাঁত মাজা ঠিক নয়। এতে দাঁতের ক্ষয় হয়। দাঁত ব্রাশ করতে হবে আস্তে আস্তে ওপরে-নিচে করে। নিচের পাটির দাঁতের জন্য ব্রাশ দাঁতের গোড়ার দিক থেকে ওপরের দিকে নিতে হবে। ঠিক তেমনি ওপরের পাটির জন্য দাঁতের গোড়ার দিক থেকে নিচের দিকে নিতে হবে।
> দেড় থেকে দুই মিনিট দাঁত ব্রাশেই যথেষ্ট। এর বেশি করার দরকার পড়ে না। করলে দাঁত ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।
> দুপুরে খাওয়ার পর ভালো করে কুলকুচি করতে হবে।
> প্রতি দুই মাস অন্তর ব্রাশ ও প্রতি তিন মাস অন্তর টুথপেস্ট পরিবর্তন করতে হবে।
সমস্যা হলে করণীয়
> দাঁতের ব্যথা সাময়িকভাবে কমানো কোনো চিকিৎসা নয়। সব সময় দাঁতের যত্নের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
> মাড়ি থেকে যদি ব্রাশ করার সময় বা অন্য সময়ও রক্ত পড়ে, তাহলে দাঁতের স্কেলিং দরকার।
> মাঝে মাঝে খাবার পর কিংবা অন্য যেকোনো সময় যদি দাঁতব্যথা বা শিরশির করে, তাহলে দেরি না করে ডেন্টিস্টের সঙ্গে দেখা করুন।
> সেনসিটিভিটি কমানোর জন্য ফ্লোরাইডজাতীয় ভালো পেস্ট ব্যবহার করতে হবে।
> অনেক সময় ব্রাশ ব্যবহারে অবহেলা ও অতিরিক্ত ব্রাশের কারণে দাঁত ক্ষয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দাঁতের ক্ষয়ে যাওয়া রোধে ফিলিং ও কোটিং করতে হয়। এতে ক্ষয় পূরণ হয়। বেশি ক্ষয় হয়ে ব্যথা শুরু হলে রুট ক্যানেল চিকিৎসারও প্রয়োজন হতে পারে।
> বছরে অন্তত দুবার ডেন্টিস্টের কাছে দাঁত দেখানো উচিত। এতে আপনার দাঁতে কী সমস্যা হয়েছে সেই অনুযায়ী অল্পতেই সমাধান দেওয়া যাবে।
যা পরিহার করতে হবে
> দাঁতব্যথা করলে গরম সেঁক দেওয়া উচিত নয়। বরফ দিতে হবে। তবে লবণ-গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে।
> দাঁতের পোকা বলে কিছু নেই। তাই ভ্রান্ত ধারণা পরিহার করতে হবে।
> দাঁত দিয়ে নখ কাটা উচিত নয়। এতে দাঁতের ক্ষয় হয়।
> দাঁত দিয়ে কোল্ডড্রিংস-জাতীয় বোতলের মুখ খোলা উচিত নয়।
> কোমলপানীয়, পান, নেশাজাতীয় দ্রব্য যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে।
লেখক: ডেন্টিস্ট, ঢাকা ডেন্টাল কেয়ার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে