শায়লা পারভিন পপি
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই অনেক ধরনের ডায়েট টার্চ ফলো করে, যেমন কিটো ডায়েট, ড্যাশ ডায়েট, ক্রাশ ডায়েট, জোন ডায়েট, সাইন্ড ডায়েট, অ্যালকালাইন ডায়েট, সাউথ বিচ ডায়েট, পোলিও ডায়েট, এটকিন ডায়েট, হাই প্রোটিন ডায়েট প্রভৃতি। ওজন কমানোর এসব ডায়েটে দু-তিনবার খেতে বলা হয় এবং খাবারের নির্দিষ্ট কিছু উপাদান থাকে। এর ফলে অনেক ধরনের ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের অভাব হয়। এর ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের জটিলতাও বেড়ে যায়, বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, লিভার ডিজিজ, কিডনি ডিজিজ, হাই প্রেশার ও হরমোনাল সমস্যায় ভুগছে। তাছাড়া ভুল ডায়েটের কারণে কারও চুল পড়ে, স্কিনে রিংকেল পড়ে, স্কিন ঝুলে যায়, প্রেশার বেড়ে বা কমে যায়, অ্যাসিডিটি হয়, বাথরুম কষা হয়, মেজাজ খিটখিটে হয় এবং কেউ কেউ ডিপ্রেশনে ভোগে। তাই ওজন কমানোর জন্য ভুল ডায়েট করে নিজের ক্ষতি না করে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ব্যালেন্স ডায়েট করতে হবে। মনে করি, আপনার ওজন ১৫-২০ কেজি বেশি। এই ১০-১৫ কেজি ওজন যদি এক মাসে কমাতে চান, তার ফলাফল কিছুতেই ভালো হবে না, বরঞ্চ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে। তাই একটি রোগ সারাতে গিয়ে আরও ১০টা রোগে যেন আক্রান্ত না হন, সেদিকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। তাই স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমাতে হলে ব্যালেন্স ডায়েট বা সুষম খাবারের কোনো বিকল্প নেই। ব্যালেন্স ডায়েট বলতে খাদ্যের যে ছয়টি উপাদান আছে, তার প্রত্যেকটি উপাদান একজন ব্যক্তির চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করাকে বোঝায়। ব্যালেন্স ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমিয়ে আপনি সে সুবিধাগুলো পাবেন তা হলো—
১. ব্যালেন্স ডায়েট খাবারের ছয়টি উপাদান ব্যক্তির চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী দেওয়া হয় বলে কোনো ধরনের ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের অভাব হয় না।
২. ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউটিয়েন্টের অভাবজনিত রোগগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং জটিলতাও এড়ানো যায়।
৩. ব্যালেন্স ডায়েটে একই পুষ্টিগুণের অনেকগুলো খাবার থাকে। তাই একটি খাবারের পরিবর্তে অন্য খাবার খাওয়া যায়। খাবারে বৈচিত্র্য থাকে, একঘেয়েমি আসে না এবং খাবারগুলো আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করা যায়।
৪. ব্যালেন্স ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমালে প্রতিটি অরগ্যানকে সুস্থ রাখা যায়। চোখ, দাঁত, হার্ট, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ইত্যাদি সুস্থ রাখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিউট্রিয়েন্টের দরকার হয়। ব্যালেন্স ডায়েটের উপাদানগুলো কোনটা কীভাবে ওজন কমায় ও সুস্থ রাখে, তার সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।
কার্বোহাইড্রেট : মোট ক্যালোরির ৪০-৫০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থেকে নিতে হবে। ওজন কমাতে সহজ শর্করা বাদ দিতে হবে, যেমন চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার প্রভৃতি। খেতে হবে জটিল শর্করা, যেমন লাল আটা, লাল চাল, ওটস, কর্নফ্লেক্স ইত্যাদি শস্য ও ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার।
প্রোটিন : মোট ক্যালোরির ১২-২০ ভাগ প্রোটিনজাতীয় খাবার থেকে গ্রহণ করতে হবে, যেমন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাল, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বিচি ইত্যাদি। ওজন কমানোর জন্য যার যত কেজি ওজন তত গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।
ফ্যাট : মোট ক্যালোরির ২৫-৩০ ভাগ ফ্যাট থেকে গ্রহণ করতে হবে। ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর তেল গ্রহণ করতে হবে। যেমন: জলপাই তেল, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, অ্যাভোকাভো ইত্যাদি। ওজন যেন না বাড়ে, সেজন্য ট্রান্স ফ্যাট, স্যাচুরেটড ফ্যাট, ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড ও ডুবোতেলে ভাজা খাবার বাদ দিতে হবে।
ভিটামিন ও মিনারেল : ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন ও মিনারেল-সমৃদ্ধ খাবার। ভিটামিন ও মিনারেল-সমৃদ্ধ খাবার শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল নষ্ট করে এবং জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। তাই ভিটামিন ও মিনারেল-সমৃদ্ধ খাবার পেতে বিভিন্ন কালারের শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণ করতে হবে। যেমন গাঢ় সবুজ, লাল, নীল, হলুদ কমলা ইত্যাদি রঙের শাকসবজি ও ফলমূল।
৫. শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের বিপাক বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই আসুন স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমাতে ব্যালেন্স ডায়েট করি কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
লেখক : ডায়েটেশিয়ান, কনসালট্যান্ট নিউট্রিশনিষ্ট
নারায়নগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতাল
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই অনেক ধরনের ডায়েট টার্চ ফলো করে, যেমন কিটো ডায়েট, ড্যাশ ডায়েট, ক্রাশ ডায়েট, জোন ডায়েট, সাইন্ড ডায়েট, অ্যালকালাইন ডায়েট, সাউথ বিচ ডায়েট, পোলিও ডায়েট, এটকিন ডায়েট, হাই প্রোটিন ডায়েট প্রভৃতি। ওজন কমানোর এসব ডায়েটে দু-তিনবার খেতে বলা হয় এবং খাবারের নির্দিষ্ট কিছু উপাদান থাকে। এর ফলে অনেক ধরনের ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের অভাব হয়। এর ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের জটিলতাও বেড়ে যায়, বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, লিভার ডিজিজ, কিডনি ডিজিজ, হাই প্রেশার ও হরমোনাল সমস্যায় ভুগছে। তাছাড়া ভুল ডায়েটের কারণে কারও চুল পড়ে, স্কিনে রিংকেল পড়ে, স্কিন ঝুলে যায়, প্রেশার বেড়ে বা কমে যায়, অ্যাসিডিটি হয়, বাথরুম কষা হয়, মেজাজ খিটখিটে হয় এবং কেউ কেউ ডিপ্রেশনে ভোগে। তাই ওজন কমানোর জন্য ভুল ডায়েট করে নিজের ক্ষতি না করে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ব্যালেন্স ডায়েট করতে হবে। মনে করি, আপনার ওজন ১৫-২০ কেজি বেশি। এই ১০-১৫ কেজি ওজন যদি এক মাসে কমাতে চান, তার ফলাফল কিছুতেই ভালো হবে না, বরঞ্চ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে। তাই একটি রোগ সারাতে গিয়ে আরও ১০টা রোগে যেন আক্রান্ত না হন, সেদিকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। তাই স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমাতে হলে ব্যালেন্স ডায়েট বা সুষম খাবারের কোনো বিকল্প নেই। ব্যালেন্স ডায়েট বলতে খাদ্যের যে ছয়টি উপাদান আছে, তার প্রত্যেকটি উপাদান একজন ব্যক্তির চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করাকে বোঝায়। ব্যালেন্স ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমিয়ে আপনি সে সুবিধাগুলো পাবেন তা হলো—
১. ব্যালেন্স ডায়েট খাবারের ছয়টি উপাদান ব্যক্তির চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী দেওয়া হয় বলে কোনো ধরনের ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টের অভাব হয় না।
২. ম্যাক্রো ও মাইক্রো নিউটিয়েন্টের অভাবজনিত রোগগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং জটিলতাও এড়ানো যায়।
৩. ব্যালেন্স ডায়েটে একই পুষ্টিগুণের অনেকগুলো খাবার থাকে। তাই একটি খাবারের পরিবর্তে অন্য খাবার খাওয়া যায়। খাবারে বৈচিত্র্য থাকে, একঘেয়েমি আসে না এবং খাবারগুলো আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করা যায়।
৪. ব্যালেন্স ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমালে প্রতিটি অরগ্যানকে সুস্থ রাখা যায়। চোখ, দাঁত, হার্ট, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ইত্যাদি সুস্থ রাখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিউট্রিয়েন্টের দরকার হয়। ব্যালেন্স ডায়েটের উপাদানগুলো কোনটা কীভাবে ওজন কমায় ও সুস্থ রাখে, তার সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।
কার্বোহাইড্রেট : মোট ক্যালোরির ৪০-৫০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থেকে নিতে হবে। ওজন কমাতে সহজ শর্করা বাদ দিতে হবে, যেমন চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার প্রভৃতি। খেতে হবে জটিল শর্করা, যেমন লাল আটা, লাল চাল, ওটস, কর্নফ্লেক্স ইত্যাদি শস্য ও ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার।
প্রোটিন : মোট ক্যালোরির ১২-২০ ভাগ প্রোটিনজাতীয় খাবার থেকে গ্রহণ করতে হবে, যেমন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাল, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের বিচি ইত্যাদি। ওজন কমানোর জন্য যার যত কেজি ওজন তত গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।
ফ্যাট : মোট ক্যালোরির ২৫-৩০ ভাগ ফ্যাট থেকে গ্রহণ করতে হবে। ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর তেল গ্রহণ করতে হবে। যেমন: জলপাই তেল, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, অ্যাভোকাভো ইত্যাদি। ওজন যেন না বাড়ে, সেজন্য ট্রান্স ফ্যাট, স্যাচুরেটড ফ্যাট, ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড ও ডুবোতেলে ভাজা খাবার বাদ দিতে হবে।
ভিটামিন ও মিনারেল : ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন ও মিনারেল-সমৃদ্ধ খাবার। ভিটামিন ও মিনারেল-সমৃদ্ধ খাবার শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল নষ্ট করে এবং জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। তাই ভিটামিন ও মিনারেল-সমৃদ্ধ খাবার পেতে বিভিন্ন কালারের শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণ করতে হবে। যেমন গাঢ় সবুজ, লাল, নীল, হলুদ কমলা ইত্যাদি রঙের শাকসবজি ও ফলমূল।
৫. শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করতে হবে। পানি আমাদের বিপাক বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই আসুন স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমাতে ব্যালেন্স ডায়েট করি কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
লেখক : ডায়েটেশিয়ান, কনসালট্যান্ট নিউট্রিশনিষ্ট
নারায়নগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতাল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
১ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন বিচার
২ ঘণ্টা আগে