সুমাইয়া ইয়াসমিন সুম্মু
প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিদিন যে দুটি ডিভাইস সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি, তা হলো কী-বোর্ড ও মাউস। অফিসের কাজ, পড়াশোনা, ডিজাইনিং, প্রোগ্রামিং কিংবা অনলাইন বিনোদন—সবকিছুতেই এই ডিভাইস দুটি আমাদের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, আমরা যতটা যত্ন নিই ল্যাপটপ বা মনিটরের, তার অর্ধেকও দিই না কী-বোর্ড ও মাউসের ক্ষেত্রে। অথচ অল্প কিছু ভুল ব্যবহারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে এই যন্ত্রাংশ, যা শুধু বাড়তি খরচই নয়, বরং কাজের মাঝপথে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কী-বোর্ড নষ্ট হওয়ার প্রধান কারণ হলো ধুলোবালি ও তরল পদার্থ। কফি, চা বা ঠান্ডা পানীয়ের এক ফোঁটা তরল ঢুকে পড়লেই পুরো সার্কিট অকেজো হয়ে যেতে পারে। আবার প্রতিদিনের অগোছালো ব্যবহারে ধুলো ও খাবারের কণা বোতামের ভেতর জমে গিয়ে কী আটকে যায়, কাজ করে না বা চাপ দিতে বাড়তি শক্তি লাগে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার কী-বোর্ড উল্টে হালকা ঝাঁকানো এবং নরম ব্রাশ বা এয়ার ব্লোয়ার দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। বাজারে এখন বিশেষ ধরনের কী-বোর্ড ক্লিনিং জেল পাওয়া যায়, যা বোতামের ফাঁক থেকে সহজেই ময়লা টেনে বের করে আনে।
মাউসের ক্ষেত্রেও অসাবধানতা মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তারযুক্ত মাউসের ক্ষেত্রে বারবার ভাঁজ করলে ভেতরের তার ছিঁড়ে যেতে পারে। ওয়্যারলেস মাউসে আবার নিম্নমানের ব্যাটারি ব্যবহার করলে লিক হয়ে পুরো সার্কিট নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া, অনেকেই সমতল জায়গার বদলে মাউস সরাসরি খসখসে টেবিল বা কাপড়ে ব্যবহার করেন। এতে সেন্সরের কার্যকারিতা কমে যায় এবং কার্সর অস্থির হয়ে ওঠে। তাই সবসময় মাউস প্যাড ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ।
অনেকে জানেন না, কী-বোর্ড হলো জীবাণুর আঁতুড়ঘর। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি বহুল ব্যবহৃত কী-বোর্ডে টয়লেট সিটের চেয়েও বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। বিশেষ করে অফিসে একই কী-বোর্ড একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত জীবাণুনাশক ওয়াইপ বা অ্যালকোহলভিত্তিক দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। এতে শুধু ডিভাইসের আয়ু বাড়বে না, বরং ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত থাকবে।
আমরা প্রায়ই কাজ শেষে কী-বোর্ডের ওপর ভারী বই বা ফাইল রেখে দিই। এতে বোতামের ভেতরের স্প্রিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার কেউ কেউ রাগের মাথায় মাউস টেবিলে জোরে আছাড় মারেন, যা সেন্সর বা বাটনের স্থায়ী ক্ষতি করে। এই ছোট ছোট ভুলই আসলে বড় খরচে রূপ নেয়।
কী-বোর্ড ও মাউস সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য কিছু সহজ কৌশল মেনে চলা যায়। যেমন—কাজ করার সময় পানীয় বা খাবার থেকে দূরে রাখা, নিয়মিত পরিষ্কার রাখা এবং মাসে অন্তত একবার ডিপ ক্লিন করা। ওয়্যারলেস ডিভাইসে মানসম্মত ব্যাটারি ব্যবহার করা। মাউস সবসময় মাউস প্যাডে চালানো এবং কাজ শেষে ডিভাইসগুলোকে আলাদা ও নিরাপদ স্থানে রাখা।
সবশেষে বলা যায়, কী-বোর্ড ও মাউস শুধু যন্ত্র নয়—এগুলো আমাদের প্রতিদিনের কাজের গতি, নির্ভুলতা ও স্বাচ্ছন্দ্যের অন্যতম ভিত্তি। সামান্য অসতর্কতা বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, তবে তা প্রতিরোধ করার দায়িত্বও আমাদের। একটু যত্ন, নিয়মিত পরিষ্কার আর সচেতন ব্যবহারে কী-বোর্ড ও মাউস হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী ও নিরবচ্ছিন্ন কর্মসঙ্গী।
প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিদিন যে দুটি ডিভাইস সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি, তা হলো কী-বোর্ড ও মাউস। অফিসের কাজ, পড়াশোনা, ডিজাইনিং, প্রোগ্রামিং কিংবা অনলাইন বিনোদন—সবকিছুতেই এই ডিভাইস দুটি আমাদের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, আমরা যতটা যত্ন নিই ল্যাপটপ বা মনিটরের, তার অর্ধেকও দিই না কী-বোর্ড ও মাউসের ক্ষেত্রে। অথচ অল্প কিছু ভুল ব্যবহারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে এই যন্ত্রাংশ, যা শুধু বাড়তি খরচই নয়, বরং কাজের মাঝপথে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কী-বোর্ড নষ্ট হওয়ার প্রধান কারণ হলো ধুলোবালি ও তরল পদার্থ। কফি, চা বা ঠান্ডা পানীয়ের এক ফোঁটা তরল ঢুকে পড়লেই পুরো সার্কিট অকেজো হয়ে যেতে পারে। আবার প্রতিদিনের অগোছালো ব্যবহারে ধুলো ও খাবারের কণা বোতামের ভেতর জমে গিয়ে কী আটকে যায়, কাজ করে না বা চাপ দিতে বাড়তি শক্তি লাগে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার কী-বোর্ড উল্টে হালকা ঝাঁকানো এবং নরম ব্রাশ বা এয়ার ব্লোয়ার দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। বাজারে এখন বিশেষ ধরনের কী-বোর্ড ক্লিনিং জেল পাওয়া যায়, যা বোতামের ফাঁক থেকে সহজেই ময়লা টেনে বের করে আনে।
মাউসের ক্ষেত্রেও অসাবধানতা মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তারযুক্ত মাউসের ক্ষেত্রে বারবার ভাঁজ করলে ভেতরের তার ছিঁড়ে যেতে পারে। ওয়্যারলেস মাউসে আবার নিম্নমানের ব্যাটারি ব্যবহার করলে লিক হয়ে পুরো সার্কিট নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া, অনেকেই সমতল জায়গার বদলে মাউস সরাসরি খসখসে টেবিল বা কাপড়ে ব্যবহার করেন। এতে সেন্সরের কার্যকারিতা কমে যায় এবং কার্সর অস্থির হয়ে ওঠে। তাই সবসময় মাউস প্যাড ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ।
অনেকে জানেন না, কী-বোর্ড হলো জীবাণুর আঁতুড়ঘর। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি বহুল ব্যবহৃত কী-বোর্ডে টয়লেট সিটের চেয়েও বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। বিশেষ করে অফিসে একই কী-বোর্ড একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত জীবাণুনাশক ওয়াইপ বা অ্যালকোহলভিত্তিক দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। এতে শুধু ডিভাইসের আয়ু বাড়বে না, বরং ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত থাকবে।
আমরা প্রায়ই কাজ শেষে কী-বোর্ডের ওপর ভারী বই বা ফাইল রেখে দিই। এতে বোতামের ভেতরের স্প্রিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার কেউ কেউ রাগের মাথায় মাউস টেবিলে জোরে আছাড় মারেন, যা সেন্সর বা বাটনের স্থায়ী ক্ষতি করে। এই ছোট ছোট ভুলই আসলে বড় খরচে রূপ নেয়।
কী-বোর্ড ও মাউস সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য কিছু সহজ কৌশল মেনে চলা যায়। যেমন—কাজ করার সময় পানীয় বা খাবার থেকে দূরে রাখা, নিয়মিত পরিষ্কার রাখা এবং মাসে অন্তত একবার ডিপ ক্লিন করা। ওয়্যারলেস ডিভাইসে মানসম্মত ব্যাটারি ব্যবহার করা। মাউস সবসময় মাউস প্যাডে চালানো এবং কাজ শেষে ডিভাইসগুলোকে আলাদা ও নিরাপদ স্থানে রাখা।
সবশেষে বলা যায়, কী-বোর্ড ও মাউস শুধু যন্ত্র নয়—এগুলো আমাদের প্রতিদিনের কাজের গতি, নির্ভুলতা ও স্বাচ্ছন্দ্যের অন্যতম ভিত্তি। সামান্য অসতর্কতা বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, তবে তা প্রতিরোধ করার দায়িত্বও আমাদের। একটু যত্ন, নিয়মিত পরিষ্কার আর সচেতন ব্যবহারে কী-বোর্ড ও মাউস হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী ও নিরবচ্ছিন্ন কর্মসঙ্গী।
সংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
১৬ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
২ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
২ ঘণ্টা আগে