
আরিফ বিন নজরুল

ল্যাপটপ কি সবসময় চার্জারে লাগানো থাকা উচিত? নাকি চার্জ পূর্ণ হলে খুলে রাখা ভালো? কেউ বলেন, ‘চার্জ ফুল হলে খুলে ফেলো।’ আবার কেউ বলেন, ‘সংযুক্ত রাখলে কোনো ক্ষতি নেই।’ তাহলে আসল সত্যিটা কী?
প্রথমেই জানা দরকার, আধুনিক ল্যাপটপগুলো সাধারণত লিথিয়াম-আয়ন (Li-ion) বা লিথিয়াম-পলিমার (Li-Poly) ব্যাটারি ব্যবহার করে। এই ব্যাটারিগুলোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এগুলোতে ‘ওভারচার্জ প্রোটেকশন সার্কিট’ থাকে। অর্থাৎ ব্যাটারি শতভাগ পূর্ণ হলেই চার্জ বন্ধ হয়ে যায়। এবং বিদ্যুৎ সরাসরি ল্যাপটপের সিস্টেমে প্রবাহিত হয়। ফলে তাত্ত্বিকভাবে বললে, ল্যাপটপ সারাক্ষণ চার্জারে লাগানো থাকলে ব্যাটারি বিস্ফোরণ বা অতিরিক্ত চার্জ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
তবে এখানেই শেষ নয়। ব্যাটারির আয়ু শুধু চার্জিং সার্কিটের ওপর নির্ভর করে না। বরং নির্ভর করে তাপমাত্রা ও চার্জ সাইকেল নামের দুটি বিষয়ের ওপর। প্রতিবার ব্যাটারি শূন্য শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ চার্জে গেলে একটি চার্জ সাইকেল পূর্ণ হয়। সাধারণত একটি ল্যাপটপ ব্যাটারির জীবনকাল ৪০০-১০০০ চার্জ সাইকেল পর্যন্ত। তাই বারবার পুরোপুরি খালি করে চার্জ দিলে ব্যাটারি দ্রুত পুরোনো হয়। অন্যদিকে, চার্জ সবসময় ৬০-৮০ শতাংশের মধ্যে রাখলে ব্যাটারির আয়ু অনেক বাড়ে।
এখন প্রশ্ন হলো—সবসময় চার্জারে লাগিয়ে রাখলে কি তাপমাত্রা বাড়ে? উত্তর হলো—হ্যাঁ, অনেক সময় বাড়ে। ল্যাপটপের ভেতরে ব্যাটারি, প্রসেসর ও চার্জিং সার্কিট একসঙ্গে তাপ উৎপন্ন করে। যদি ল্যাপটপ দীর্ঘসময় চার্জে থাকে এবং ভেন্টিলেশন ঠিক না হয়, তাহলে ব্যাটারির তাপমাত্রা বেড়ে যায়। দীর্ঘ মেয়াদে এই তাপ ব্যাটারির রাসায়নিক উপাদানকে ক্ষয় করে। ফলে তার ধারণক্ষমতা কমে আসে। এ জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময়, বিশেষত চার্জে থাকলে, কখনোই বিছানা বা বালিশের ওপর ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে তাপ বের হতে পারে না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ল্যাপটপের ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। কিছু ব্র্যান্ড, যেমন : Dell, HP, Lenovo, Asus বা Apple—তাদের ল্যাপটপে ব্যাটারি হেলথ মেইনটেইন করার বিশেষ সেটিংস দেয়। যেমন : Dell-এর ‘Battery Conservation Mode’, Asus-এর ‘Battery Health Charging’ বা Lenovo-এর ‘Conservation Mode’—যেখানে আপনি নির্ধারণ করতে পারেন ব্যাটারি যেন ৮০ শতাংশের বেশি চার্জ না হয়। এই ফিচারগুলো অন করে রাখলে ল্যাপটপ সারাক্ষণ চার্জারে লাগিয়েও ব্যাটারি নিরাপদ থাকে। তবে যদি ল্যাপটপ দীর্ঘসময় ব্যবহার না করেন, ধরা যাক দু-তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। তাহলে ব্যাটারি ৫০ শতাংশ চার্জে রেখে সংরক্ষণ করাই উত্তম। কারণ পুরোপুরি চার্জ করে বা সম্পূর্ণ খালি রেখে রাখলে লিথিয়াম ব্যাটারির রাসায়নিক গঠন দ্রুত নষ্ট হয়।
এখন দেখা যাক, সবসময় চার্জারে লাগিয়ে রাখার সুবিধা কী। একদিকে, চার্জারে লাগিয়ে রাখলে ব্যাটারির ওপর চাপ কম পড়ে, কারণ ব্যাটারি থেকে শক্তি না নিয়ে সরাসরি অ্যাডাপ্টার থেকে বিদ্যুৎ নেয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ সাইকেল কম হয়। আয়ু কিছুটা বাড়ে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত তাপ বা ধুলাবালি জমে ভেন্টিলেশন বন্ধ থাকলে ক্ষতির আশঙ্কাও থেকে যায়।
সুতরাং বিষয়টি এক কথায় বলা কঠিন। এটা নির্ভর করে ব্যবহারের পরিবেশ ও যত্নের ওপর। আপনি যদি এয়ার কন্ডিশনড রুমে, ভালো ভেন্টিলেশনের মধ্যে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন এবং ব্যাটারি হেলথ অপশন অন রাখেন। তাহলে সারাক্ষণ চার্জারে রাখলেও সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি যদি দীর্ঘসময় গরম জায়গায় কাজ করেন বা কুলিং ঠিকমতো না থাকে। তাহলে মাঝে মাঝে চার্জ খুলে দিয়ে ব্যাটারিকে বিশ্রাম দেওয়া ভালো।
সবশেষে, ব্যাটারির আয়ু রক্ষায় কিছু ছোট নিয়ম : ২০ শতাংশের নিচে নামার আগেই চার্জ দিন। ১০০ শতাংশ হয়ে গেলে চার্জ খুলে দিন বা হেলথ মোড চালু রাখুন। ল্যাপটপ সবসময় সমতল ও বাতাস চলাচলযোগ্য জায়গায় রাখুন। অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা জায়গায় ব্যবহার করবেন না। বছরে অন্তত একবার ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন করুন। প্রযুক্তি এখন এমন পর্যায়ে এসেছে, যেখানে ল্যাপটপ নিজেই তার ব্যাটারির যত্ন নেয়। কিন্তু ব্যবহারকারীর সচেতনতা এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ল্যাপটপ কি সবসময় চার্জারে লাগানো থাকা উচিত? নাকি চার্জ পূর্ণ হলে খুলে রাখা ভালো? কেউ বলেন, ‘চার্জ ফুল হলে খুলে ফেলো।’ আবার কেউ বলেন, ‘সংযুক্ত রাখলে কোনো ক্ষতি নেই।’ তাহলে আসল সত্যিটা কী?
প্রথমেই জানা দরকার, আধুনিক ল্যাপটপগুলো সাধারণত লিথিয়াম-আয়ন (Li-ion) বা লিথিয়াম-পলিমার (Li-Poly) ব্যাটারি ব্যবহার করে। এই ব্যাটারিগুলোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এগুলোতে ‘ওভারচার্জ প্রোটেকশন সার্কিট’ থাকে। অর্থাৎ ব্যাটারি শতভাগ পূর্ণ হলেই চার্জ বন্ধ হয়ে যায়। এবং বিদ্যুৎ সরাসরি ল্যাপটপের সিস্টেমে প্রবাহিত হয়। ফলে তাত্ত্বিকভাবে বললে, ল্যাপটপ সারাক্ষণ চার্জারে লাগানো থাকলে ব্যাটারি বিস্ফোরণ বা অতিরিক্ত চার্জ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
তবে এখানেই শেষ নয়। ব্যাটারির আয়ু শুধু চার্জিং সার্কিটের ওপর নির্ভর করে না। বরং নির্ভর করে তাপমাত্রা ও চার্জ সাইকেল নামের দুটি বিষয়ের ওপর। প্রতিবার ব্যাটারি শূন্য শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ চার্জে গেলে একটি চার্জ সাইকেল পূর্ণ হয়। সাধারণত একটি ল্যাপটপ ব্যাটারির জীবনকাল ৪০০-১০০০ চার্জ সাইকেল পর্যন্ত। তাই বারবার পুরোপুরি খালি করে চার্জ দিলে ব্যাটারি দ্রুত পুরোনো হয়। অন্যদিকে, চার্জ সবসময় ৬০-৮০ শতাংশের মধ্যে রাখলে ব্যাটারির আয়ু অনেক বাড়ে।
এখন প্রশ্ন হলো—সবসময় চার্জারে লাগিয়ে রাখলে কি তাপমাত্রা বাড়ে? উত্তর হলো—হ্যাঁ, অনেক সময় বাড়ে। ল্যাপটপের ভেতরে ব্যাটারি, প্রসেসর ও চার্জিং সার্কিট একসঙ্গে তাপ উৎপন্ন করে। যদি ল্যাপটপ দীর্ঘসময় চার্জে থাকে এবং ভেন্টিলেশন ঠিক না হয়, তাহলে ব্যাটারির তাপমাত্রা বেড়ে যায়। দীর্ঘ মেয়াদে এই তাপ ব্যাটারির রাসায়নিক উপাদানকে ক্ষয় করে। ফলে তার ধারণক্ষমতা কমে আসে। এ জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময়, বিশেষত চার্জে থাকলে, কখনোই বিছানা বা বালিশের ওপর ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে তাপ বের হতে পারে না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ল্যাপটপের ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। কিছু ব্র্যান্ড, যেমন : Dell, HP, Lenovo, Asus বা Apple—তাদের ল্যাপটপে ব্যাটারি হেলথ মেইনটেইন করার বিশেষ সেটিংস দেয়। যেমন : Dell-এর ‘Battery Conservation Mode’, Asus-এর ‘Battery Health Charging’ বা Lenovo-এর ‘Conservation Mode’—যেখানে আপনি নির্ধারণ করতে পারেন ব্যাটারি যেন ৮০ শতাংশের বেশি চার্জ না হয়। এই ফিচারগুলো অন করে রাখলে ল্যাপটপ সারাক্ষণ চার্জারে লাগিয়েও ব্যাটারি নিরাপদ থাকে। তবে যদি ল্যাপটপ দীর্ঘসময় ব্যবহার না করেন, ধরা যাক দু-তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। তাহলে ব্যাটারি ৫০ শতাংশ চার্জে রেখে সংরক্ষণ করাই উত্তম। কারণ পুরোপুরি চার্জ করে বা সম্পূর্ণ খালি রেখে রাখলে লিথিয়াম ব্যাটারির রাসায়নিক গঠন দ্রুত নষ্ট হয়।
এখন দেখা যাক, সবসময় চার্জারে লাগিয়ে রাখার সুবিধা কী। একদিকে, চার্জারে লাগিয়ে রাখলে ব্যাটারির ওপর চাপ কম পড়ে, কারণ ব্যাটারি থেকে শক্তি না নিয়ে সরাসরি অ্যাডাপ্টার থেকে বিদ্যুৎ নেয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ সাইকেল কম হয়। আয়ু কিছুটা বাড়ে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত তাপ বা ধুলাবালি জমে ভেন্টিলেশন বন্ধ থাকলে ক্ষতির আশঙ্কাও থেকে যায়।
সুতরাং বিষয়টি এক কথায় বলা কঠিন। এটা নির্ভর করে ব্যবহারের পরিবেশ ও যত্নের ওপর। আপনি যদি এয়ার কন্ডিশনড রুমে, ভালো ভেন্টিলেশনের মধ্যে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন এবং ব্যাটারি হেলথ অপশন অন রাখেন। তাহলে সারাক্ষণ চার্জারে রাখলেও সমস্যা নেই। কিন্তু আপনি যদি দীর্ঘসময় গরম জায়গায় কাজ করেন বা কুলিং ঠিকমতো না থাকে। তাহলে মাঝে মাঝে চার্জ খুলে দিয়ে ব্যাটারিকে বিশ্রাম দেওয়া ভালো।
সবশেষে, ব্যাটারির আয়ু রক্ষায় কিছু ছোট নিয়ম : ২০ শতাংশের নিচে নামার আগেই চার্জ দিন। ১০০ শতাংশ হয়ে গেলে চার্জ খুলে দিন বা হেলথ মোড চালু রাখুন। ল্যাপটপ সবসময় সমতল ও বাতাস চলাচলযোগ্য জায়গায় রাখুন। অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা জায়গায় ব্যবহার করবেন না। বছরে অন্তত একবার ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন করুন। প্রযুক্তি এখন এমন পর্যায়ে এসেছে, যেখানে ল্যাপটপ নিজেই তার ব্যাটারির যত্ন নেয়। কিন্তু ব্যবহারকারীর সচেতনতা এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৪৭২ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে ৭২ হাজার ৮২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ইসকন ঘনিষ্ঠ কুশল বরণ চক্রবর্ত্তীকে পদোন্নতি দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এসবের তোয়াক্কা করে আগামীকাল মঙ্গলবার পদোন্নতি বোর্ড বসাচ্ছে প্রশাসন। চলতি বছরের ৪ জুলাই কুশল বরণের পদোন্নতিতে
৪ ঘণ্টা আগে
সোমবার সকালে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবের স্কাইলাইন রেস্টুরেন্টে আইএসপিএবি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
ফেসবুকে এডিটেড অশালীন ছবি পোস্ট এবং কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহহরীন আমিন ভুঁইয়া মোনামী।
৫ ঘণ্টা আগে