আরিফ বিন নজরুল
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ল্যাপটপ আমাদের নিত্যসঙ্গী। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে পড়াশোনা, বিনোদন কিংবা ভ্রমণ—সবকিছুতেই ল্যাপটপ যেন হাতের মুঠোয় এক বিশাল পৃথিবী। কিন্তু ব্যবহারকারীদের অন্যতম বড় দুশ্চিন্তা হলো ব্যাটারির আয়ু। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নতুন ল্যাপটপ কিছুদিন পরই আগের মতো ব্যাকআপ দেয় না। আসলে ব্যাটারি ঠিকভাবে ব্যবহার না করার কারণেই এর স্থায়িত্ব দ্রুত কমে যায়। অথচ কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে ল্যাপটপের ব্যাটারিকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
প্রথমেই জানা দরকার, আধুনিক ল্যাপটপে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। এগুলো পুরোপুরি চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া বা শতভাগ চার্জ হয়ে দীর্ঘ সময় বিদ্যুতের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাটারির চার্জ সবসময় ২০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে রাখাই উত্তম। অর্থাৎ একেবারে শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ব্যবহার না করে মাঝপথে চার্জ দেওয়া এবং পুরো ১০০ শতাংশে দীর্ঘ সময় ধরে না রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
এছাড়া অনেকেই ল্যাপটপে গেম খেলার সময় বা ভারী সফটওয়্যার চালানোর সময় চার্জার লাগিয়ে রাখেন। এতে তেমন সমস্যা না হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে। তাই ভারী কাজের সময় মূল পাওয়ারে ল্যাপটপ ব্যবহার করে মাঝে মাঝে ব্যাটারি খুলে রাখা বা চার্জিং কন্ট্রোল সেটিংস ব্যবহার করা ভালো। বর্তমানে অনেক ল্যাপটপে ‘Battery Health Mode’ বা ‘Smart Charging’ অপশন থাকে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখে।
তাপমাত্রাও ব্যাটারির স্থায়িত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ল্যাপটপ সবসময় সমতল ও বাতাস চলাচল করতে পারে এমন জায়গায় ব্যবহার করা উচিত। বিছানা বা কুশনের ওপর রাখলে ভেন্ট বন্ধ হয়ে যায়, ফলে অতিরিক্ত গরম হয়ে ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়। প্রয়োজনে কুলিং প্যাড ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার সরাসরি রোদ বা আর্দ্র পরিবেশ থেকেও ল্যাপটপকে দূরে রাখা জরুরি।
আরেকটি বিষয় হলো—সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার। অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, অটোস্টার্ট প্রোগ্রাম বা উজ্জ্বল স্ক্রিন সেটিংস ব্যাটারির চার্জ অযথা ক্ষয় করে। স্ক্রিন ব্রাইটনেস মাঝারি রাখা, ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই অপ্রয়োজনে বন্ধ রাখা এবং পাওয়ার সেভিং মোড চালু করলে ব্যাটারির ব্যাকআপ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যায়।
সবশেষে বলা যায়, ল্যাপটপের ব্যাটারি কোনো যন্ত্রাংশ নয় যে একবার কিনে ফেললেই বছর বছর একই পারফরম্যান্স দেবে। এটি যত্নের দাবি রাখে। সঠিক চার্জিং অভ্যাস, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার—এই তিনটি বিষয় মেনে চললে ল্যাপটপের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে আর আপনার ডিজিটাল জীবনও চলবে নিরবচ্ছিন্ন।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ল্যাপটপ আমাদের নিত্যসঙ্গী। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে পড়াশোনা, বিনোদন কিংবা ভ্রমণ—সবকিছুতেই ল্যাপটপ যেন হাতের মুঠোয় এক বিশাল পৃথিবী। কিন্তু ব্যবহারকারীদের অন্যতম বড় দুশ্চিন্তা হলো ব্যাটারির আয়ু। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নতুন ল্যাপটপ কিছুদিন পরই আগের মতো ব্যাকআপ দেয় না। আসলে ব্যাটারি ঠিকভাবে ব্যবহার না করার কারণেই এর স্থায়িত্ব দ্রুত কমে যায়। অথচ কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে ল্যাপটপের ব্যাটারিকে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
প্রথমেই জানা দরকার, আধুনিক ল্যাপটপে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। এগুলো পুরোপুরি চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া বা শতভাগ চার্জ হয়ে দীর্ঘ সময় বিদ্যুতের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাটারির চার্জ সবসময় ২০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে রাখাই উত্তম। অর্থাৎ একেবারে শেষ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ব্যবহার না করে মাঝপথে চার্জ দেওয়া এবং পুরো ১০০ শতাংশে দীর্ঘ সময় ধরে না রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
এছাড়া অনেকেই ল্যাপটপে গেম খেলার সময় বা ভারী সফটওয়্যার চালানোর সময় চার্জার লাগিয়ে রাখেন। এতে তেমন সমস্যা না হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে। তাই ভারী কাজের সময় মূল পাওয়ারে ল্যাপটপ ব্যবহার করে মাঝে মাঝে ব্যাটারি খুলে রাখা বা চার্জিং কন্ট্রোল সেটিংস ব্যবহার করা ভালো। বর্তমানে অনেক ল্যাপটপে ‘Battery Health Mode’ বা ‘Smart Charging’ অপশন থাকে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাটারিকে সুরক্ষিত রাখে।
তাপমাত্রাও ব্যাটারির স্থায়িত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ল্যাপটপ সবসময় সমতল ও বাতাস চলাচল করতে পারে এমন জায়গায় ব্যবহার করা উচিত। বিছানা বা কুশনের ওপর রাখলে ভেন্ট বন্ধ হয়ে যায়, ফলে অতিরিক্ত গরম হয়ে ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়। প্রয়োজনে কুলিং প্যাড ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার সরাসরি রোদ বা আর্দ্র পরিবেশ থেকেও ল্যাপটপকে দূরে রাখা জরুরি।
আরেকটি বিষয় হলো—সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার। অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, অটোস্টার্ট প্রোগ্রাম বা উজ্জ্বল স্ক্রিন সেটিংস ব্যাটারির চার্জ অযথা ক্ষয় করে। স্ক্রিন ব্রাইটনেস মাঝারি রাখা, ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই অপ্রয়োজনে বন্ধ রাখা এবং পাওয়ার সেভিং মোড চালু করলে ব্যাটারির ব্যাকআপ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যায়।
সবশেষে বলা যায়, ল্যাপটপের ব্যাটারি কোনো যন্ত্রাংশ নয় যে একবার কিনে ফেললেই বছর বছর একই পারফরম্যান্স দেবে। এটি যত্নের দাবি রাখে। সঠিক চার্জিং অভ্যাস, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং সফটওয়্যারের সঠিক ব্যবহার—এই তিনটি বিষয় মেনে চললে ল্যাপটপের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে আর আপনার ডিজিটাল জীবনও চলবে নিরবচ্ছিন্ন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে