আহমেদ আরিফ
যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনে চলমান নির্মম গণহত্যায় ইসরাইলের নারকীয় তাণ্ডব কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। আর এতে যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। অতীতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আকাশ ও স্থলপথে আক্রমণ চালাতে নজরদারি প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহার করত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ফিলিস্তিনে চালানো গণহত্যায় ব্যাপকভাবে এআই প্রযুক্তি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করছে ইসরাইল। বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিন মৃত্যুকূপে পরিণত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ব্যাপক হারে প্রযুক্তির অপব্যবহার।
এআই প্রযুক্তির সহযোগিতায় ২০২৩ সালে প্রায় গাজার ৩৭,০০০ সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মরণঘাতী হামলায় ফিলিস্তিনি এবং লেবাননের প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়। আহতের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। আহত-নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এআই প্রযুক্তির সহযোগিতায় চালানো বোমা হামলায় গাজার প্রায় ৭০ শতাংশ ভবন ধস হয়ে যায় ২০২৪ সালে। বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ফিলিস্তিনের নির্যাতিত অসহায় মুসলমানরা। ফিলিস্তিনে মুসলমান নিধনে একদিকে যেমন ইসরাইলকে অর্থ এবং সামরিক সুবিধা দিয়ে সাহায্য করছে মার্কিন সরকার, আবার প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও দিচ্ছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বের অন্যতম টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট, আমাজন, গুগলসহ অনেক নামিদামি মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই নানাভাবে ইসরাইলকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। একদিকে সম্পদশালী আরব বিশ্বের নীরবতা, অন্যদিকে মার্কিনিদের অর্থ এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ফিলিস্তিনকে জীবন্ত নরকে পরিণত করেছে ইসরাইল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিভিন্ন সময় ফাঁস হওয়া নথিগুলোয় দেখা যায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরো বেশি জোরদার করে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে মাইক্রোসফট তাদের OpenAI-এর GPT-4 মডেল, ChatGPT ইঞ্জিনে ব্যাপকভাবে অ্যাক্সেস প্রদান করে। আরো বেশি স্টোরেজ পরিষেবা এবং হাজার হাজার কর্মঘণ্টা প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে মাইক্রোসফটের সঙ্গে। মাইক্রোসফট বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার এবং মানুষের মানবাধিকারকে প্রতি সম্মানের গল্প শোনালেও প্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহারে ইসরাইলকে সহযোগিতা করে চলেছে। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিতের অংশীদারও মাইক্রোসফট।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইসরাইল সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে গুগল। ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী আমাজনকে ঠেকাতে গুগল এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠে যে, গুগলের একজন কর্মী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, গুগল যদি ইসরাইলের চাহিদা পূরণ না করে, তাহলে আমাজনের দিকে ঝুঁকবে ইসরাইল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এবিসি নিউজের তথ্যমতে, গুগল এবং আমাজন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে ক্লাউড, এআই সেবার জন্য চাহিদামতো সেবা দেয়। যেটির শুরু হয় ২০২১ সালে নিম্বাস প্রজেক্টের অধীনে। এআই পরিচালিত টার্গেটিং সিস্টেম পরীক্ষার জন্য গুগল এবং আমাজনের প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে চুক্তিটি করেছিল ইসরাইল। ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজাজুড়ে নরকযন্ত্রণা শুরু করার হুমকি দিয়েছিলেন। গাজাবাসীকে গাজা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে জর্ডান, মিসরসহ আরবের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দিয়ে গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের ‘রিভেরা বানানোর ঘোষণাও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন আর্থিক, সামরিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার শতভাগ বাস্তবায়নের পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে ইসরাইল।
যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনে চলমান নির্মম গণহত্যায় ইসরাইলের নারকীয় তাণ্ডব কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। আর এতে যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। অতীতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী আকাশ ও স্থলপথে আক্রমণ চালাতে নজরদারি প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল সরঞ্জাম ব্যবহার করত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ফিলিস্তিনে চালানো গণহত্যায় ব্যাপকভাবে এআই প্রযুক্তি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করছে ইসরাইল। বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিন মৃত্যুকূপে পরিণত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ব্যাপক হারে প্রযুক্তির অপব্যবহার।
এআই প্রযুক্তির সহযোগিতায় ২০২৩ সালে প্রায় গাজার ৩৭,০০০ সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মরণঘাতী হামলায় ফিলিস্তিনি এবং লেবাননের প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়। আহতের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। আহত-নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এআই প্রযুক্তির সহযোগিতায় চালানো বোমা হামলায় গাজার প্রায় ৭০ শতাংশ ভবন ধস হয়ে যায় ২০২৪ সালে। বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ফিলিস্তিনের নির্যাতিত অসহায় মুসলমানরা। ফিলিস্তিনে মুসলমান নিধনে একদিকে যেমন ইসরাইলকে অর্থ এবং সামরিক সুবিধা দিয়ে সাহায্য করছে মার্কিন সরকার, আবার প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও দিচ্ছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বের অন্যতম টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট, আমাজন, গুগলসহ অনেক নামিদামি মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই নানাভাবে ইসরাইলকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। একদিকে সম্পদশালী আরব বিশ্বের নীরবতা, অন্যদিকে মার্কিনিদের অর্থ এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ফিলিস্তিনকে জীবন্ত নরকে পরিণত করেছে ইসরাইল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিভিন্ন সময় ফাঁস হওয়া নথিগুলোয় দেখা যায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরো বেশি জোরদার করে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে মাইক্রোসফট তাদের OpenAI-এর GPT-4 মডেল, ChatGPT ইঞ্জিনে ব্যাপকভাবে অ্যাক্সেস প্রদান করে। আরো বেশি স্টোরেজ পরিষেবা এবং হাজার হাজার কর্মঘণ্টা প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে মাইক্রোসফটের সঙ্গে। মাইক্রোসফট বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার এবং মানুষের মানবাধিকারকে প্রতি সম্মানের গল্প শোনালেও প্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহারে ইসরাইলকে সহযোগিতা করে চলেছে। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিতের অংশীদারও মাইক্রোসফট।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইসরাইল সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে গুগল। ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী আমাজনকে ঠেকাতে গুগল এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠে যে, গুগলের একজন কর্মী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, গুগল যদি ইসরাইলের চাহিদা পূরণ না করে, তাহলে আমাজনের দিকে ঝুঁকবে ইসরাইল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এবিসি নিউজের তথ্যমতে, গুগল এবং আমাজন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে ক্লাউড, এআই সেবার জন্য চাহিদামতো সেবা দেয়। যেটির শুরু হয় ২০২১ সালে নিম্বাস প্রজেক্টের অধীনে। এআই পরিচালিত টার্গেটিং সিস্টেম পরীক্ষার জন্য গুগল এবং আমাজনের প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে চুক্তিটি করেছিল ইসরাইল। ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজাজুড়ে নরকযন্ত্রণা শুরু করার হুমকি দিয়েছিলেন। গাজাবাসীকে গাজা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে জর্ডান, মিসরসহ আরবের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দিয়ে গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের ‘রিভেরা বানানোর ঘোষণাও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন আর্থিক, সামরিক সহযোগিতার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার শতভাগ বাস্তবায়নের পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে ইসরাইল।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
১ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
২ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪ ঘণ্টা আগে